১৯৭০ ও ১৯৭১ সালের কয়েকটি ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। প্রথমেই বলতে হয় ১৯৭০ সালের নির্বাচনের কথা। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করার পর কার্যত পাকিস্তানের রাজনীতির দৃশ্যপট বদলে যেতে থাকে দ্রুত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এই বিজয় ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছে অপ্রত্যাশিত। বাঙালির হাতে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছে জেনেশুনে বিষ পানের মতো।
তারা শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের ‘শত্রু’ মনে করত। তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার বদ মতলব থেকে তারা নানা অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাকে বার বার জেলে পোরা হয়েছে। আগরতলা মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝোলানোর মতলবও আঁটা হয়েছিল। কিন্তু শাসকদের বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো হয়েছে শেখ মুজিবের জন্য। নির্বাচনে গণরায় শেখ মুজিবের পক্ষে যাওয়ার পর শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে ধৈর্যের পরীক্ষায় ফেলা হয় শেখ মুজিবকে। তারা ভেবেছিল, শেখ মুজিব ফাঁদে পা দেবেন, এমন হটকারি কিছু করে বসবেন, যাতে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়।
শেখ মুজিব শাসকগোষ্ঠীর এই মতলব বুঝতে পেরে তিনিও ধীরে চলার নীতি নিয়ে মানুষের কাছে শাসকদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি স্পষ্ট করার কৌশল নেন। তবে শেষে ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহ্বান করেও আকস্মিকভাবে ১ এপ্রিল দুপুরে তা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়। এতে বাঙালি গর্জে ওঠে। প্রতিবাদে উত্তাল হয় ওঠে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ।
স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার দাবি সোচ্চার হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে বাংলাদেশের মানুষ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে জনগণকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। অসহযোগ আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ কার্যত পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রশাসন পরিচালিত হতে থাকে। দেশের মানুষ একটি লক্ষ্যে সেদিন একাত্ম হয়েছিল।
অসহযোগ আন্দোলনের সময় শুধু সেনাছাউনি ছাড়া বাংলাদেশের সব কিছু চলছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। একপর্যায়ে পাকিস্তানি শাসকদের প্রতিনিধি ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রতারণামূলক আলোচনার নামে সবাইকে বিভ্রান্ত করার কৌশল নিয়ে সময়ক্ষেপণ করে এবং বাংলাদেশে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে বাঙালিনিধনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ রাতে শুরু করে জঘন্যতম গণহত্যা– জেনোসাইড। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেসে পাঠিয়ে দেন।
২৬ মার্চেই চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান বঙ্গবন্ধুর ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’র কথা বার বার প্রচার করে বলেছেন: “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ প্রদান করে বলেছেন- “এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানে আছেন, আপনাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে সেনাবাহিনীর দখলদারীর মোকাবিলা করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আপনাদেরকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’।”
এই ঘোষণা প্রচারের আগেই অবশ্য সারা দেশে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। ঘোষণা শোনার পর মানুষ আরও উদ্দীপিত হয়। এখন স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষক নিয়ে কূটতর্ক যারা করেন, তাদের উদ্দেশে বলার কথা হলো: পাকিস্তানের প্রসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের আরো আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল, আমি ভুল করেছি। দিস টাইম হি উইল নট গো আনপানিসড।’ তিনি আর কারো নাম উল্লেখ করেননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক অন্য কেউ হলে ইয়াহিয়া নিশ্চয়ই তার নাম উল্লেখ করে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করতেন।
বঙ্গবন্ধু তার সহকর্মীদের নিরাপদ স্থানে গিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার নির্দেশনা গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই সবাইকে দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদের লেখা থেকে জানা যায়, কলকাতা গিয়ে তাদের কোথায় উঠতে হবে সে নির্দেশনাও আগেই দেয়া ছিল। বঙ্গবন্ধুর পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী নেতারা ভিন্ন ভিন্ন পথে সীমান্ত অতিক্রম করেন। বিএসএফের তৎকালীন প্রধান রুস্তমজীর সহযোগিতায় দিল্লিতে যোগাযোগ করলে প্রধানমন্ত্রীর ইন্দিরা গান্ধীর দপ্তর থেকে তাজউদ্দীন আহমেদ ও আমীর-উল ইসলামকে দিল্লি যাওয়ার কথা জানানো হয়। ২ এপ্রিল দিল্লি গিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন তাজউদ্দিন আহমদ। দিল্লির ওই সভায় তাজউদ্দীন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেন। ওই বৈঠকে তাজউদ্দীন আহমদ ইন্দিরা গান্ধীর কাছে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে অনুরোধ করেন। ইন্দিরা গান্ধী তাকে এই বলে আশ্বস্ত করেন, উপযুক্ত সময়ে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হবে।
এভাবেই অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ধারণার সূচনা। বৈঠকে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে সব রকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলে তাজউদ্দীন আহমদ সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তে অধিবেশন আহ্বান করেন। ১০ এপ্রিলের ওই অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা হলেন: এএইচএম কামারুজ্জামান, এম মনসুর আলী ও খোন্দকার মোশতাক আহমেদ।
ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচনা করেন, যা দলের সভায় অনুমোদন করা হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাকে অনুমোদন করা হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে আরও যা ঘোষিত হয় তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ‘সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন এবং রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।’ রাষ্ট্রপতিশাসিত এই ব্যবস্থায় ‘ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা’, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রয়োজন মনে করিলে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগের’ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করার বিধান রাখা হয়। এছাড়াও যেহেতু বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি, সেহেতু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে এই মর্মে বিধান রাখা হয় যে, ‘কোন কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা যদি রাষ্ট্রপ্রধান কাজে যোগদান করিতে না পারেন অথবা তাহার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধান প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপরাষ্ট্রপ্রধান পালন করিবেন।’
‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ মোতাবেক উপরাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন এবং জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী, জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও খোন্দকার মোশতাক আহমেদকে পররাষ্ট্র ও আইন বিষয়কমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দান করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের সভায় কর্নেল ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করা হয়। ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’-এই সাংবিধানিক দলিলটির মহত্তর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আমরা ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ সদস্যগণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম, ‘আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ছাব্বিশে মার্চ হইতে কার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে।’
অর্থাৎ যেদিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেছিলেন সেই দিন থেকে কার্যকর হয়। জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা অনুসারে প্রণীত ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ মোতাবেক স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম বাগানে, যা পরে মুজিবনগর বাংলাদেশের প্রথম সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান হয়েছিল নিরাপত্তার কারণে অনাড়ম্বর পরিবেশে সংক্ষিপ্ত আকারে। শতাধিক বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পুলিশ ও আনসার বাহিনীর একটি দল মন্ত্রিসভাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।
স্থানীয় মিশনারি শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ পরিবেশন করে। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। একটি ছোট মঞ্চে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ছাড়াও আরও দুএকজন উপস্থিত ছিলেন। আবদুল মান্নান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বৈদ্যনাথতলার নাম ‘মুজিবনগর’ নামকরণ করেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমপর্ণ পর্যন্ত মুজিবনগর ছিল অস্থায়ী সরকারের রাজধানী।
৫১ বছর আগে এক বিশেষ পরিস্থিতিতে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকারটি সব বিবেচনাতেই ছিল একটি সফল সরকার। এই সরকারের বড় সাফল্য হলো- ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অকুণ্ঠ সমর্থন ও নানামাত্রিক সহযোগিতা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষিত করে মাত্র ৯ মাসে হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে বিজয় অর্জন করা। বিশ্বজনমতকে বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও এই সরকার অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু ও প্রচারণা, মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ, শরণার্থীদের দেখাশোনা, যৌথ সামরিক কমান্ড গঠনও এই সরকারের কৃতিত্ব।
খোন্দকার মোশতাকসহ সরকারের ভেতর পাকিস্তানি ও মার্কিনি মনোভাবাপন্নদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা ও ক্ষেত্র বিশেষে তাদের নিষ্ক্রিয় রাখা, দলের মধ্যে মতভিন্নতা পরিহার করে বা এড়িয়ে মূল লক্ষ্যে অবিচল থাকা নিষ্ক্রিয় রাখা, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য বিশ্বজনমত সৃষ্টিও এই সরকারের সাফল্য। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ নয় মাস ধৈর্য ও সহনশীলতা-প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে সব মহলের প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। ইতিহাস দখলের অপচেষ্টা যেমন নিন্দনীয়, তেমনি ইতিহাসে কারো অবদানের স্বীকৃতি যথাযথভাবে না দেয়াও সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। ইতিহাস কাউকে মার্জনা করে না– এ কথা মনে রেখে আমরা বাংলাদেশের প্রথম সরকারের ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ করতে চাই।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক