আজ ১০ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের এদিনে ২৬ মার্চ সূচিত ও বঙ্গবন্ধুঘোষিত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সরকারপ্রধান করে মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠিত হয়। এছাড়া ওইদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও প্রকাশিত হয়। উভয় ঘটনাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যেমন ছিল অপরিহার্য, তেমনি অসাধারণ ও অতুলনীয় মেধা-প্রজ্ঞার সিদ্ধান্তের প্রকাশ হিসেবে অভিহিত করতে হবে। সেই সময় সরকার গঠন করা শুধু জরুরিই ছিল না, এটি ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ সুসংগঠিত করা, দেশের অভ্যন্তরে মানুষের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আস্থা সৃষ্টি ও দেশের বাইরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সরকার এবং জনগণের সমর্থন তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি আস্থা সৃষ্টি করা মোটের ওপর অসম্ভব ব্যাপার হতো। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বৈধ রাজনৈতিক সরকারই সেই পরিস্থিতিকে প্রতিদিনের কাজ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে অগ্রসর করে নেয়ার একমাত্র বৈধ প্রতিষ্ঠান ছিল। ১০ এপ্রিল ইতিহাসের ঐতিহাসিক এই মাইলফলকটি সরকার গঠনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।
একইসঙ্গে এই রাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, সরকারপ্রধানের নাম, ঘোষিত স্বাধীনতার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় গৃহীত হয়। ফলে ১০ তারিখের পর থেকে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত বৈধ সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সামরিক-বেসামরিক, প্রশাসনিক-রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির সম্পর্ক স্থাপনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। স্বাধীনতাযুদ্ধের বিশ্বব্যাপী ইতিহাসে বাংলাদেশেই একটি বৈধ সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গোটা মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত ও নেতৃত্ব প্রদান করেছে। সে কারণে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধ গণযুদ্ধে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, দলে দলে সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, একইসঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব প্রদানে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা সংস্থার নয়, বরং জনগণের নির্বাচিত সরকারের কার্যকারিতা সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব তাই অসামান্য।
সরকার গঠনের অনুকূল পরিবেশ তখন সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত ছিল। ২৫ মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তানি বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নাম দিয়ে একদিকে গণহত্যা শুরু করে, অপরদিকে পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এছাড়া সেনাবাহিনী ইয়াহিয়া সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগসহ স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানকারী অন্যান্য নেতাদের গ্রেপ্তার কিংবা হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের বাড়িঘরে আক্রমণ করে।
পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও রাষ্ট্রের কোনো সেনাবাহিনী স্বাধীনতার আন্দোলন দমনে কখনও ব্যবহৃত হয়নি। সেনাবাহিনী শুধু বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে নিয়োজিত হয়। রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম কিংবা স্বাধীনতাকে দমন করতে কর্তৃত্ববাদী সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেই কেবল ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু পাকিস্তানে ১৯৭১ সালে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকেই ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যেহেতু পশ্চিম পাকিস্তানিদের নেতৃত্বে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে গঠিত হয়েছিল; তাই সেই সেনাবাহিনী ছিল পূর্ব বাংলার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের বিরোধী। সেকারণে ইয়াহিয়া সরকারের গণহত্যা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক সমস্ত আইন, রীতিনীতি ভঙ্গ করে তা পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু গণহত্যার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা এবং পাকিস্তানিদের সব রকমের অত্যাচার, নির্যাতন ও আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জনগণও তার আহবানে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা, বিভিন্ন শহর ও গ্রামে পরিচালিত অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করে। তবে জনগণের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করার প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রও তাদের হাতে ছিল না। সুতরাং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পরিকল্পনা মোতাবেক সেনাবাহিনী সব প্রতিরোধ ভেঙে দিতে সক্ষম হবে এটিই ছিল তাদের ধারণা। হয়তো সেটিই বাস্তবায়িত হতো যদি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার কোনো সরকারব্যবস্থা গঠিত না হতো, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা একটি ন্যায় যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃত ও সমর্থিত না হতো। সেই সমর্থন লাভ করার জন্যই প্রয়োজন ছিল সরকার গঠনের। শুধু যেনতেন কোনো সরকার গঠনই এর প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা পূরণ করতে সমর্থ হতো না। তখন প্রয়োজন ছিল জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈধ সরকার গঠন করা। কিন্তু ২৫ মার্চ পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত জটিল। জনগণের প্রতিনিধিগণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের নামিয়ে এভাবে গণহত্যা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার কিংবা হত্যা করার কথা ভাবতে পারেনি।
সুতরাং তাৎক্ষণিকভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ অনেকটাই অসম্ভব ব্যাপার ছিল। কিন্তু সেই অসম্ভবকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব কিছুটা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পূর্ববর্তী ধারণা লাভ, বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও বিদেশি গণমাধ্যমে পরিবেশিত সংবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য জেনে সীমান্ত অতিক্রম করার মাধ্যমে ভারতে নিজেদেরকে প্রস্তুত করার সুযোগ গ্রহণ করে। বুদ্ধিজীবীদেরও একটি অংশ ভারতে প্রবেশ করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাজউদ্দীন আহমেদ ৩১ মার্চ তারিখে ভারতে প্রবেশ করেন। তার ভারতে প্রবেশের বিষয়টি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী অবহিত হয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার সংযোগ স্থাপন করে দেয়। বিএসএফের তৎকালীন মহাপরিদর্শক গোলক মজুমদার তাজউদ্দীন আহমেদকে সসম্মানে গ্রহণ করেন। বিএসএফের মহাপরিচালক কেফ রুস্তমজী তাজউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বিস্তারিত অবগত হয়ে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারকে তাজউদ্দীন আহমদের আগমন সম্পর্কে অবহিত করেন।
১ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমেদ দিল্লি চলে যান। সেখানে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অশোক মিত্র, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সচিব পি এন হাকসার, দিল্লি স্কুল অব ইকনোমিকসের তৎকালীন অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, আনিসুর রহমান, আইনজীবী আমীর-উল ইসলাম প্রমুখ নানাভাবে সহযোগিতা করেন। অবশেষে ৩ এপ্রিল এবং ৪ এপ্রিল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমেদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভারত অবশ্য ৩১ মার্চ লোকসভা ও রাজ্যসভায় একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে।
‘পূর্ব বাংলা সম্পর্কিত প্রস্তাব’-এ বলা হয়েছিল, “পূর্ব বাংলায় সাড়ে সাত কোটি মানুষের অভ্যুত্থান সফল হবে। এই পার্লামেন্ট আশা করে এবং নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে তাদের লড়াই ও ত্যাগ ভারতের জনগণের সর্বাত্মক সহানুভূতি ও সমর্থন পাবে।” ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আলোচনার পর তাজউদ্দীন আহমেদ স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তাটি তীব্রভাবে অনুভব করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক ধরনের সরকার গঠনের বিষয়টি তাকে অবহিতও করেন। তবে তখন পরিস্থিতি অনুকূল না থাকায় সেটি গোপন ছিল।
তাজউদ্দীন আহমেদ দিল্লি থেকে কলকাতায় সেখানে উপস্থিত হওয়া আওয়ামী লীগ এবং যুবনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন। সরকার গঠনের বিষয়টি নিয়ে সেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত করা মোটেও সহজ ছিল না। অনেকের কাছেই স্বাধীনতার যুদ্ধটি তখন কীভাবে পরিচালিত হবে, যুদ্ধের রূপটি কী হবে- সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না। তবে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দ্রুতই একটি সরকার গঠনের ঘোষণা প্রদান জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাজউদ্দীন আহমেদ কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও এমএনএদের একটি সভা আহ্বান করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীগুলোর সর্বাধিনায়ক করে সরকার গঠন করার। উপরাষ্ট্রপতি পদে সৈয়দ নজরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করবেন।
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও সর্বাধিনায়ক পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া তাজউদ্দীন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী ও এএইচএম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন-বিষয়কমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়। এই ঘোষণাটি ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার গঠনের ঘোষণা প্রচারিত হওয়ার পর দেশের অভ্যন্তরে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বন্দুকের মুখে দাঁড়িয়েও মানুষ তখন সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে দলে দলে সীমান্ত অতিক্রম করতে থাকে। মানুষ তখন বুঝতে পারে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা লাভ করতে হবে।
ওইদিন নতুন সরকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রচার করে। তাতে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাধীনতা লাভের পর নতুন দেশটি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সাম্যকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে অবস্থান গ্রহণ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করে। গঠিত সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ জাতির উদ্দেশে গোপন একটি বেতার কেন্দ্র থেকে ভাষণ প্রদান করেন। তারা উভয়েই দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান, সরকারের পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত অবহিত করেন।
নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মহলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বৈধ নেতৃত্বের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাই অবহিত হতে সক্ষম হয়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার জনগণের সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধ তখন থেকে নতুনভাবে উদ্দীপনা জাগাতে সক্ষম হয়। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সরকার নিয়মতান্ত্রিক ধারায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করা শুরু করে। ১৭ এপ্রিল এই সরকার তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় শপথ গ্রহণের আয়োজন করে। সেই দৃশ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। বিশ্ব তখন পূর্ব বাংলার জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হয়।
লেখক: গবেষক-অধ্যাপক