অতীতের অনেক ঘটনার মতো শ্রীলঙ্কার রাজনীতি এবং অর্থনীতি মহাসংকটে পরার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে শুরু হয়েছে এক ধরনের মনগড়া আলোচনা-সমালোচনার প্রতিযোগিতা। অনেক আলোচক শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ঘটনাকে বাংলাদেশের জন্য শিক্ষণীয় বলতে চেষ্টা করছেন। শ্রীলঙ্কা মাত্রাতিরিক্ত ঋণ নিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করে এখন দেউলিয়ার পথে। বাংলাদেশেও যেহেতু অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং তার অর্থায়নে ভালো অংকের ঋণও গ্রহণ করেছে, তাই অনেকেই ভাবছে যে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতো সমস্যায় পড়তে পারে। যারা এমনটা ভাবছেন বা বাংলাদেশও একসময় শ্রীলঙ্কার পরিণতি বরণ করতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করছেন তারা বিষয়টির গভীরে কতটা যেতে পেরেছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
মাত্রাতিরিক্ত ঋণ নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বা অবকাঠামো নির্মাণ করলেই যদি একটি দেশ দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে আমেরিকা কানাডাসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের বেশ আগেই দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। স্ট্যাটিসটা ডট কমের তথ্য অনুযায়ী আমিরিকার জাতীয় ঋণের (ন্যাশনাল ডেট) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাদের জিডিপির (দেশজ উৎপাদনের) ১৩৩%। কানাডার জাতীয় ঋণের পরিমাণ প্রায় এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাদের জিডিপির ৪৩%।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় ঋণের পরিমাণ প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড যা তাদের জিডিপির ৮৫%। ফ্রান্সের জাতীয় ঋণের পরিমাণ প্রায় তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাদের জিডিপির ৯৮%। জার্মানির জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাদের জিডিপির ৬০%। উন্নত দেশ বিশেষ করে জি–৭ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কানাডা এবং জার্মানির অবস্থা যথেষ্ট ভালো, যদিও তাদের জাতীয় ঋণ এবং জিডিপির অনুপাত ৪০%-এর উপরে। শুধু তাই নয়, আমেরিকা এই ঋণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্ড ছাড়ার ক্ষেত্রে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কারণ আমেরিকার ট্রেজারি বিভাগ ত্রিশ বছর মেয়াদ থেকে শুরু করে শত বছর মেয়াদি বন্ড বাজারে ছেড়েছে। অর্থাৎ যে সরকার এই বন্ড ছেড়েছে তারা তো বটেই, আগামী প্রজন্মের সরকারকেও এই বন্ড পরিশোধ করতে হবে না। আর যারা এই বন্ড ক্রয় করেছে তাদের জীবদ্দশায় তো এই বন্ডের অর্থ পাবেই না, এমনকি তাদের পরবর্তী প্রজন্মও পাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে, যদি না এই বন্ড বাজারে আগেই বিক্রি করে দেয়া হয়।
এ তো গেলো উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্রীয় ঋণের অবস্থা। এসব দেশে রাষ্ট্রীয় খাতের মতো ব্যক্তিপর্যায়েও রয়েছে পাহাড় সমান ঋণের বোঝা। এসব দেশের মাথাপিছু গড় ব্যক্তিগত ভোগ্যঋণ (মর্টগেজ ঋণ ব্যতিরেকে সকল প্রকার ব্যক্তিগত ঋণ) গড় আয়ের ১৫০% বা তার বেশি। এরকম মাত্রাতিরিক্ত রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিগত ঋণ থাকা সত্ত্বেও এসব দেশ বা এখানকার জনগণের দেউলিয়া হওয়া তো অনেক পরের কথা, তাদের ক্রেডিট রেটিং হ্রাস বা ডাউনগ্রেড করার কথাও কোনো ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুখে উচ্চারণ করার সাহস দেখায় না।
একবার ওবামা প্রশাসনের সময় আমেরিকার সার্বভৌম রেটিং সামান্য একটু ডাউনগ্রেড করা হয়েছিল তাতেই বিশ্বব্যাপী সোরগোল পড়ে যায়। অথচ বাংলাদেশের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ১০৬ বিলিয়ন ডলার যা জিডিপির ৪১%। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২.৩৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাদের জিডিপির ৬০%।
শ্রীলঙ্কার জাতীয় ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাদের জিডিপির ১০৩%। তাছাড়া শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যা মাত্র দুই কোটি, সেখানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সতেরো কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়সহ অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বা প্যারামিটার বিবেচনায় নিলে বংলাদেশে প্রায় বারো কোটি মানুষ এখন শিল্পজাত ভোগ্যপণ্য বা ডিউরেবল কনজিউমার প্রোডাক্ট ভোগ করতে পারে।
এত বড় শিল্পপণ্যের বাজার বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে। তাছাড়া কৃষি উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, গার্মেন্টসসহ রপ্তানির বহুমুখীকরণ এবং প্রায় এক কোটি প্রবাসীর প্রেরিত রেমিটেন্সসহ অর্থনীতির অধিকাংশ প্যারামিটারই যে স্থানে উন্নীত হয়েছে তাতে কোনো অবস্থায়ই বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করা শোভা পায় না। এরপরও যারা এই কাজটি করছেন তারা কেন করছেন তা মোটেই বোধগম্য নয়। আসলে ঋণ গ্রহণ কোনো সমস্যা নয়। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিলে ঋণ গ্রহণ করতেই হবে।
মূল সমস্যা হচ্ছে ঋণের যথাযথ ব্যবহার এবং সেই ঋণের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। যদি কোনো দেশ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিবিশেষ ঋণ নিয়ে ভোগবিলাসিতায় ব্যয় না করে সম্পদ আহরণ করে তাহলে সেই ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে কোনোরকম সমস্যা হবে না। আর সেক্ষেত্রে দেউলিয়া হওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। একটি রাষ্ট্র যদি ঋণ নিয়ে দেশের দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো নির্মাণ করে দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থ, বিশেষ করে আর্থিক এবং অর্থনৈতিক লাভের দিকটা মাথায় রেখে তাহলে সেই রাষ্ট্র কখনই ঋণের জন্য কোনোরকম সমস্যায় পড়বে না।
শ্রীলঙ্কার সমস্যা মূলত অন্যত্র। তাদের রাজনৈতিক সমস্যা তো আছেই। তাছাড়া তারা দেশের অর্থনীতি সেভাবে ম্যানেজ করতে পারেনি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য শুধু পর্যটন খাতের উপর নির্ভর করেছিল, যার চরম খেসারত দিতে হয়েছে এই দুবছর ধরে চলা করোনা অতিমারির সময়।
এমনকি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রীলঙ্কার নাগরিক প্রবাসে থাকলেও রাজনৈতিক কারণে তাদেরকে আস্থায় নিতে পারেনি, ফলে তারা সেভাবে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করে না। বেশ কয়েক বছর ধরে সেদেশের ব্যাংকগুলোর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে বিশ্বের, বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের ব্যাংক শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করতে চায়নি। এগুলো তো গেল অর্থনৈতিক কারণ। এর বাইরে রাজনৈতিক কারণ বিশেষ করে বর্তমানে যে বিশ্ব রাজনীতির অবস্থা তার প্রভাব যে থাকবে না তেমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
শুধু অর্থনৈতিক কারণে যদি কোনো দেশের এমন দৈন্যদশা হয় তাহলে বিশ্বের অনেক দেশেরই এমন অবস্থা হতো অনেক আগেই। আগামীতে বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এমনকি পাকিস্তানের মতো সরকার পরিবর্তনের লক্ষণও দেখা দিতে পারে, ঠিক যেমনটা আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে।
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে নয়, বিশ্ব রাজনীতিতে যে নতুন মেরুকরণ হতে চলেছে এবং দেশের অর্থনীতি যে অবস্থায় উন্নীত হয়েছে এবং আগামীতেও হবে তাতে আমাদের দেশকে বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু উন্নয়নকাজ অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিদেশি সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণ করতেই হবে, তাই এই ঋণের টাকা আকস্মিক ফেরত চেয়ে বসলে যাতে বিপাকে পড়তে না হয় সেজন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থায়ী এবং দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক মুদ্রার একটি বাফার রিজার্ভ সৃষ্টি করে রাখতে হবে।
আমাদের দেশ চাইলে এই কাজটি খুব সহজেই করতে পারে, কারণ প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি প্রবাসে বসবাস করে। এর অর্ধেক প্রবাসী অর্থাৎ পঞ্চাশ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির কাছে জনপ্রতি পঁচিশ হাজার ডলার মূল্যের দশ, বিশ বা ত্রিশ বছর মেয়াদি প্রবাসী ডলার বন্ড বিক্রি করতে পারলে বাংলাদেশ এখান থেকেই প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে যা বর্তমান রিজার্ভের তিনগুণ।
এত বিশাল অংকের নিজস্ব বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল সংরক্ষণের কারণে কোনো রাষ্ট্রের উপর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ সৃষ্টি করা যায় না। তাই দেশ যাতে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে কোনোরকম চাপের মধ্যে না থাকে সেজন্যই প্রবাসী ডলার বন্ড বিক্রি করে ভালো অংকের বৈদেশিক মুদ্রার বাফার স্টক গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। যদিও বর্তমানে ইউএস ডলার বন্ড এবং ওয়েজ আনার্স ডেভলপমেন্ট বন্ড চালু আছে কিন্তু এগুলো প্রবাসীদের মাঝে বিক্রির জন্য জনপ্রিয় করে তোলার কোনোরকম প্রচেষ্টা নেই। উল্টো সবকিছুতে জাতীয় পরিচয়পত্রকে একমাত্র বাধ্যতামূলক আইডি করে প্রবাসীদের এসব বৈদেশিক বন্ড ক্রয়ের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এমনকি প্রবাসীরা এখন জাতীয় পরিচয়পত্রের অভাবে ইতোমধ্যে ক্রয় করা বন্ড নবায়ন করতে না পেরে সেই ডলার বিদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হবেন। সরকার যদি জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি বিকল্প আইডি বিশেষ করে পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ না দেন তাহলে এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। কারণ অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই এবং সরকার এখনও প্রবাসীদের মাঝে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের কাজ শুরুই করেনি।
আরেকটি বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন আছে এবং তা হলো দেশের ব্যাংকিং খাত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিকে তরান্বিত এবং টেকসই করতে দেশের ব্যাংকিং খাতকে একটি মানসম্পন্ন অবস্থানে নিতেই হবে। এর কোনোরকম বিকল্প নেই। এখনই আমাদের দেশের অনেক ব্যাংকের ইস্যু করা এলসি বা গ্যারান্টি উন্নত বিশ্বের ব্যাংক গ্রহণ করতে চায় না। ব্যাংকিং খাতের মান উন্নত করতে না পারলে আগামীতে আন্তর্জাতিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। মানসম্পন্ন ব্যাংকিং থাকলে অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল রাষ্ট্রও বিশ্বে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে।
জার্মানি বিশ্বের অন্যতম একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ অথচ নানান কারণে তাদের ব্যাংকিং খাতের মান খারাপ হয়ে যাওয়ায় তারা আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আগের মতো সুবিধা করে উঠতে পারছে না। পক্ষান্তরে স্পেন ইউরোপের মধ্যে যথেষ্ট দুর্বল অর্থনীতির দেশ হলেও তাদের ব্যাংকিং খাত যথেষ্ট মানসম্পন্ন, ফলে তাদের ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক স্থানে আছে। তাই দেশের ব্যাংকিং খাতেকে একটি মানসম্পন্ন স্থানে উন্নীত করার কোনো বিকল্প নেই।
সবচেয়ে বড় কথা অন্য কোনো দেশের কী হবে সেটি বড় কথা নয়। তার চেয়ে বড় কথা আমাদের নিজেদের স্বার্থেই কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশের অর্থনীতির যে আকার ধারণ করেছে এবং ভবিষ্যতে যেভাবে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে তাতে সরকারের একার পক্ষে সব কিছু করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। এখন দেশে জাতীয় অর্থনৈতিক পরামর্শক কমিটি, ব্যাংকিং খাত শক্তিশালী করার পরামর্শক কমিটি, অবকাঠামো উন্নয়ন পরামর্শক কমিটির মতো বেশ কটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। দেশের বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, প্রকৌশলী এবং পেশাদার ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এসব কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
দেশের উন্নয়নে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে এবং সরকারি সংস্থা ও প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কমিটির সুপারিশ এবং পরামর্শ অবশ্যই থাকতে হবে। কমিটির সব সুপারিশ বা পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে তেমন নয়। কিন্তু এরকম সুপারিশ বা পরামর্শ থাকলে এতটুকু অন্তত নিশ্চিত হওয়া যায় যে কোনোরকম ভুল সিদ্ধান্ত খুব সহজে গৃহীত হবে না। জাতীয় পরামর্শক কমিটি থাকলে যে কতটা সুবিধা হয় তা তো সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করার সময় বেশ ভালোভাবেই বোঝা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঞ্চমার্ক রেট বা ব্যাংক রেট নির্ধারণের জন্য আছে এক বিশেষজ্ঞ কমিটি।
আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক যুগান্তকারী সব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যেমন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর, ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং ডেল্টা প্রকল্পের বাস্তবায়ন। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিতে হলে বিশেষজ্ঞের মতামত এবং পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
লেখক: ব্যাংকার-কলাম লেখক। টরনটো, কানাডাপ্রবাসী