বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারের পেছনের সরকার

  •    
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫৩

সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষার ভিত শক্ত না হলে সব আয়োজন চোরাবালিতে ডুবে যেতে পারে। প্রায় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ না থাকার মতো অবস্থায় থেকেও সরকার পরিচালকরা কেন যে নিজদলের সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে শক্ত হতে পারছে না তা এক বিস্ময়। এরাই সরকারের পেছনে আরেকটি সরকার গড়ে তুলেছে যেন। আর এই অদৃশ্য সরকার যেন ক্রমে দৃশ্যমান সরকারের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে পড়ছে। এদের কারণে প্রধানমন্ত্রীর সব সৎ উদ্যোগ নড়বড়ে হয়ে না পড়ে এই আশঙ্কা এখন সচেতন মানুষের।

বিরোধী দল আর দলসমূহ অনেক বছর ধরেই কোণঠাসা অবস্থায় আছে। যদিও বিএনপি সম্প্রতি সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু এতে দলের ভাঙা অবস্থাকে সহসা মেরামত করতে পারবে বলে তেমন মনে হয় না। প্রথমত, সরকারে থাকার সময় যেসব নেতানেত্রী দুর্নীতিসহ নানা ধরনের দুর্বলতায় প্রশ্নবিদ্ধ ছিলেন তাদের অনেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে। দ্বিতীয়ত, জাতীয় ও জনসংকটের কোনো ইস্যু নয় দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করার চেষ্টা করছে।

সুতরাং তৃণমূল পর্যন্ত এভাবে শক্তিশালী গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা কঠিন। এসব বিচারে মনে হয় না অদূর ভবিষ্যতে সরকারবিরোধী দলসমূহ সহজে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণে নিজেকে অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছে। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের সোপান পার হচ্ছে একে একে। কিন্তু এ কথা মানতে হয়, কখনও কোনো দেশে কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়নের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও সে উন্নয়ন টেকসই হবে তা হলফ করে কেউ বলতে পারে না। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষার ভিত শক্ত না হলে সব আয়োজন চোরাবালিতে ডুবে যেতে পারে। প্রায় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ না থাকার মতো অবস্থায় থেকেও সরকার পরিচালকরা কেন যে নিজদলের সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে শক্ত হতে পারছে না তা এক বিস্ময়।

এরাই সরকারের পেছনে আরেকটি সরকার গড়ে তুলেছে যেন। আর এই অদৃশ্য সরকার যেন ক্রমে দৃশ্যমান সরকারের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে পড়ছে। এদের কারণে প্রধানমন্ত্রীর সব সৎ উদ্যোগ নড়বড়ে হয়ে না পড়ে এই আশঙ্কা এখন সচেতন মানুষের। এমন এক হযবরল অবস্থা যে আজ দায়িত্বশীলরা জনকল্যাণমুখী একটি সিদ্ধান্ত জানান তো কালই সুবিধাভোগীদের রক্তচক্ষু দেখে সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়া থমকে দাঁড়ায়। এসবের কারণে ক্রমে মানুষের চোখে আদালত দুর্বল হয়ে পড়ছে। সরকারের ঘোষিত নীতির প্রতি আস্থা রাখা যাচ্ছে না।

কতবার আদালত নদী দখলমুক্ত করার পক্ষে রায় দিলেন কিন্তু কার্যকর করা সম্ভব হয় না। ঢাকা থেকে সাভারের পথে যেতে চোখ পড়ে প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট করে হয়েছে ফদিপুর-গোপালগঞ্জ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদীর নামে বিশাল টাউন। পত্রিকায় দেখেছি আদালতের রায় হয়েছিল এটি অবৈধ দখল। দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ। অর্থাৎ পুনরায় জলাধার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া। কিন্তু মহাসড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে দেখি আদালতের রায়ের অসহায় দশা। জলাধার ফিরিয়ে দেয়া তো দূরের কথা- প্রতিদিন নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে সেখানে। নিশ্চয়ই সরকারের চেয়ে বড় সরকার সেখানে ছড়ি ঘোরাচ্ছে।

পাঠক, নিশ্চয় মনে করতে পারবেন একবার কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে সরকারের একজন যুগ্মসচিব-ভিআইপির জন্য বিলম্ব করতে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আহত কিশোর মারা যায়। এ নিয়ে দেশজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এরপর আদালত বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত জানান। পর্যবেক্ষণে বলা হয় দেশে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ ভিআইপি নন। বাকি সবাই রাষ্ট্রের কর্মচারী মাত্র। গণমাধ্যমে আদালতের এই বক্তব্য প্রচারের পর আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। ভিআইপি-বিড়ম্বনা থেকে বাঁচা যাবে ভেবে স্বস্তি পাওয়ার বদলে শঙ্কিত হয়েছিলাম।

শঙ্কা এই জন্য যে আদালত যদি আবারও জনগণের কাছে দুর্বল হয়ে যায়! ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছিলাম ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না’ কথাটি। এখন তো মনে হয় এ ছিল সত্যযুগের কথা। আদালতের রায় নিয়ে কটাক্ষ করলে আদালত অবমাননার দায়ে এখনও সাধারণ মানুষকে কাঠগড়ায় ঠিকই দাঁড়াতে হয় আর রাজনৈতিক শক্তি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করলে এমনকি আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করলেও আদালত অবমাননা হয় না। ধরে নিচ্ছি এসবের পেছনে হয়তো আইনের ফাঁক আছে। কিন্তু সেসব তো সাধারণ মানুষ জানবে না। এর ব্যাখ্যাও কখনও দেয়া হয় না। তাই আদালতের সম্মান নিয়ে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হতেই পারে।

আদালতের দেয়া ভিআইপির সংজ্ঞা নিয়ে আমার শঙ্কার কারণটি এখন বলি। এতকালের সুবিধাভোগী ভিআইপিরা শেষ পর্যন্ত আদালতের এমন ব্যাখ্যা মেনে নেবেন কি না এ নিয়ে আমার সন্দেহ ছিল। না মানলে আবার তো আদালত সাধারণ মানুষের চোখে দুর্বল হয়ে যাবে। গত সপ্তাহে আমার পরিচিত পুরান সংজ্ঞার একজন ভিআইপি আমলা একান্তে আমাকে জানিয়েছিলেন, আদালতের এই ব্যাখ্যা টিকানো সম্ভব নয়। কারণ তিনি জানেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এখন কাদের ভিআইপি নিরাপত্তা আর মর্যাদা দেবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়েছে। একজন আদালত-সংশ্লিষ্ট ভিআইপি মাওয়া ঘাট পার হবেন। অন্যসময় তিনি বা তারা ভিআইপি প্রটোকল পেয়ে আসছেন। এখন তা থেকে বঞ্চিত হতে চান না। আর আমলা ভিআইপিরা তো অনেক বেশি শক্তিমান। তারা সাধারণত নিজেদের জন্য সুবিধা বাড়াতে চান। খর্ব করার তো প্রশ্নই ওঠে না।

দুর্বল গণতন্ত্রের দেশে ভোটের রাজনীতিতে প্রশাসনের আমলাদের অন্ধকার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সরকারপক্ষীয় রাজনীতিকদের এই দুর্বলতা আমলারা জানে। তাই প্রতি নির্বাচনের আগে নিজেদের নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে নেন। যাঁরা জ্ঞান বিতরণ করে এসব আমলা ভিআইপিদের সফল শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরি করে দেন তেমন প্রবীণ অধ্যাপক ছাড়াও আন্তর্জাকিতভাবে খ্যাতিমান বিজ্ঞানী-গবেষক, ডাক্তার কারো কোনো মূল্য নেই। ভিআইপির সংজ্ঞায় তারা যুক্ত হন না। দলীয় সরকার টিকে থাকতে চায় আমলা আর নিজদলীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে। এরা সবাই গড়ে তোলেন সরকারের পেছনের সরকার। এভাবে অন্য পেশাজীবী ও সাধারণ অ-ভিআইপি নাগরিকরা অনেকটা যেন অস্পৃশ্য হয়ে পড়েন।

আমার আশঙ্কাই ঠিক হয়েছিল। এরপর একদিন আগে কাগজে দেখেছিলাম আদালতের ভিআইপি সংজ্ঞা নীরবে বাতিল করে দিয়ে আগের নির্ধারিত সবাই ভিআইপি সম্মান ফিরে পেয়েছেন। এ সত্যটি আমাদের মানতেই হবে সুবিধা ভোগকারী গোষ্ঠী যত যুক্তিই থাকুক সুবিধা হারাতে চাইবে না।

সরকারের ভেতরের সরকার এভাবেই শক্তিশালী হয়ে পড়ে দৃশ্যমান সরকারের চেয়েও। একই কারণে ঋণ খেলাপিদের ঋণের মাত্রাই কেবল বাড়ে। আর শাস্তির বদলে এরা সহাস্য বদনে সরকারের ডানে বামে অবস্থান নেয়। অ-ভিআইপিরা ঘর-সংসার ফেলে বিদেশে ঘাম ঝরিয়ে দেশের জন্য টাকা পাঠায় আর সম্মানিত ভিআইপিদের অনেকে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। এদের বিরুদ্ধে সরকারের কিচ্ছুটি করার নেই। সরকারের ভেতরের সরকার শক্তিশালী বলে ঘুষ-দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে আমাদের মুক্তি নেই।

গণতান্ত্রিক দেশের সরকার ও সরকারি দল বরাবরই একটি বেকায়দা অবস্থায় থাকে। যেহেতু মানুষের যাবতীয় নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব থাকে সরকারের ওপর এবং জনগণের অধিকার রক্ষা ও নিয়ন্ত্রণকারী যাবতীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত থাকে সরকারযন্ত্রের হাতে। তাই সামগ্রিক সাফল্যের গৌরব ও ব্যর্থতার দায় তাদেরই বহন করতে হয়। এ দেশের স্বার্থবাদী বিরোধী রাজনীতিকরা বরাবরই সরকারকে দুর্বল করার জন্য নৈরাজ্য উসকে দিতে ভূমিকা রাখে। ফলে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সরকারকেও গ্রহণ করতে হয় নানা রাজনৈতিক কৌশল।

এ ব্যাপারে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ভূমিকা রাখতে পারে সরকারি দল। সরকারি দলের ইতিবাচক ভূমিকার জন্যই গণবিচ্ছিন্ন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে সরকার, প্রাজ্ঞ রাজনীতিকদের পরামর্শে সরকারযন্ত্রের নিষ্ক্রিয়তা ও দুর্বলতাগুলো অপসৃত হতে পারে। সরকারি দলের রাজনীতিকদের সতর্ক দৃষ্টি ও মনিটরিংয়ের কারণে সতর্ক হয়ে যেতে পারে দুর্নীতিপরায়ণ আমলাতন্ত্র বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী তৎপরতায় সরকারযন্ত্র যখন সমালোচিত হতে থাকে তখন সরকারি দলের কর্মীদেরই ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা এই সমস্ত নৈরাজ্য প্রতিহত করে সরকারকে কালিমার হাত থেকে বাঁচাতে।

এসব চরম বাস্তব যুক্তি হলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে সব যেন স্বপ্নবিলাস। বরাবরই আমাদের দেশে সরকারি দলের ভূমিকা ছিল এবং আছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগ, ছাত্রদল, ছাত্রলীগ বা এরশাদবাহিনী যে যখন ক্ষমতায় থেকেছে নিজ সরকারকে জনপ্রিয় করায় কোনো ভূমিকা রাখেনি। বরং যাবতীয় অন্যায়ের চালিকাশক্তি, প্রেরণা প্রদানকারী হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে। তাই সরকারের পেছনের এই সরকার অর্থাৎ সরকারি দলের অনেকেই যখন সরকারি শক্তিকে পুঁজি করে অনাচারে লিপ্ত থাকে তখন সরকারযন্ত্রের যাবতীয় বক্তব্য ফাঁকা বুলি হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে যায়।

সন্ত্রাস আর দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ সমাজের মানুষ। প্রতিদিন সাধারণ নাগরিকের সম্পদ লুণ্ঠিত হচ্ছে। সামান্য উপলক্ষে খুন হয়ে যাচ্ছে মানুষ। অসহায় মানুষ বুঝতে শিখেছে, এর মধ্য দিয়েই তাদের বেঁচেবর্তে থাকতে হবে। সরকারযন্ত্র এ ক্ষেত্রে নিরুপায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের পরিচয় সরকারি দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে আছে। ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের দাবি পূরণে বাধ্য হয়। কারণ তারা জানে, ওদের টিকিও ছোঁবে না আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই বাহিনীর সেই ক্ষমতাইবা কোথায়! কারণ চাঁদাবাজদের ‘গডফাদার’ সরকারি দলের নেতার ধমক সইতে হয় তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা থেকে কর্মী হতে পারাও এখন সংশ্লিষ্টরা সৌভাগ্যের প্রতীক বিবেচনা করে।

কারণ অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যেকোনো নির্মাণকাজে একটি বখরা নেতাকর্মীদের হাতে আসতেই হবে। বিষয়টি এত প্রথাসিদ্ধ হয়ে গেছে যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তারা চাঁদাবাজদের বখরা দিতে হবে বিবেচনায় একটি বর্ধিত হার ধরে দেন ঠিকাদারদের। এ সমস্ত তস্করবৃত্তি সরকারি দলের ঊর্ধ্বতন স্তরের অগোচরে হয়- এ বিশ্বাস একমাত্র স্বপ্নলোকের বাসিন্দারাই করতে পারে। কারণ এরা মনে করেন পেশিশক্তি ছাড়া তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

আবার এই পেশি শক্তিকে টিকে থাকতে হলে এদের হাতে অস্ত্র ও অর্থের জোগান দিতে হবে। আর এভাবেই অর্থ সংগ্রহ করার অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে তারা। এমনও শোনা যায়, চাঁদাবাজির অর্থের ভাগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত চলে যায়। এসব অভিযোগ বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় তখনই যখন দেখা যায় সরকারি সংগঠন বা অঙ্গ সংগঠনের নামে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি হচ্ছে এবং তা পত্রিকায় বিস্তারিত প্রকাশিত হচ্ছে অথচ দল নীরবে হজম করে নিচ্ছে অভিযোগ। সরকারি দল বা অঙ্গ সংগঠনের সাইনবোর্ড থাকছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের টিকি ছোঁয়ারও চেষ্টা করছে না।

এরা সবাই সরকারের পেছনের সরকার। মাঝে মাঝে মনে হয় এরাই নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারকে। প্রধানমন্ত্রীর যতই সদিচ্ছা থাকুক সরকারের পেছনের সরকারকে শক্তিশালী রেখে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সম্ভব নয় টেকসই উন্নয়ন।

লেখক: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এ বিভাগের আরো খবর