বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবি, বাস্তবতা ও বিএনপির আন্দোলন

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩২

গত ৯ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিউ থেকে সাধারণ কেবিনে নেয়া হয়েছে। তার মানে তার শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে ভালো হয়েছে। দেশে তার চিকিৎসা নেই এই দাবিটি এখন আর জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। এই সত্যটি বোঝার পর অনেকেই বিএনপির এতদিনকার দাবিটি যে সত্য ছিল না সেটিই ধরে নিতে পারে। এর মানে হচ্ছে বিএনপি নেতৃবৃন্দের অনেক কথাই রাজনৈতিক, দলীয় ।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার’ রায়ে ২০১৮ সাল থেকে কারাভোগ করছেন। তার শারীরিক কিছু রোগের কারণে প্রায় প্রথম থেকেই তাকে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। যদিও ব্যক্তিগতভাবে তিনি এবং তার দল বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী ছিলেন না, ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। তখন অবশ্য তার চিকিৎসার ব্যপারে গঠিত মেডিক্যাল টিম নিয়মিত তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমে বিবরণ জানাত।

বিএনপি সেসব প্রতিবেদন গ্রহণ করত না। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে প্রতিদিনই বিএনপি নেতৃবৃন্দ বেশ উদ্বেগজনক খবর গণমাধ্যমে প্রচার করত- যা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত মেডিক্যাল টিমের প্রতিবেদনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। যা জনমনে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। যারা সরাসরি তার শারীরিক অবস্থা প্রতিদিন তদারকি করতেন তারা সত্য বলছেন, নাকি যারা শারীরিক অবস্থা না দেখে কথা বলছিলেন তারা- এ নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি চলছিল। মূলত এটি রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে বিএনপি রাজনৈতিক সুবিধা লাভের অবস্থান থেকেই কথা বলছিল, যা সবাই বিশ্বাস করতে পারছিল না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য গঠিত ডাক্তারি টিম তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর কোনো তথ্য দিতে পারেন না, এটি চিকিৎসক-মহল বিশ্বাস করলেও রাজনীতিতে সেই বিশ্বাসের অবস্থান খুব একটা পাত্তা পায় না- এটিই তখন মনে হয়েছিল। যারা বিএনপির সমর্থক কিংবা সরকারবিরোধী চিন্তাভাবনা করেন তারা গঠিত ডাক্তারি টিমকেও সরকারবিরোধী মনোভাব থেকে দেখার বাইরে খুব একটা যেতে চাননি। বিএনপি সেই অবস্থানটিকেই কাজে লাগিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি ও সরকারের বিরুদ্ধে মনোভাব জাগ্রত করার প্রচারণায় তখন তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য প্রদান করত।

বিএনপিপন্থি ডাক্তারদের দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে যে ধারণা তখন প্রতিদিন গণমাধ্যমে অব্যাহত রেখেছিল সেটি যদি পুরোপুরি সত্য হতো তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার বেঁচে থাকা নিয়েই এতদিন কেউ যদি সন্দেহ পোষণ করেন তাহলে খুব বেশি অমূলক হবে না। তবে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসাদানে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে এবং জাতিকে আশ্বস্ত করেছে যে তার যেসব জটিল রোগ রয়েছে সেগুলোর চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া সম্ভব এবং সেগুলো তারা নিজেরা দিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং চিকিৎসক দল দেশবাসীকে তার সুচিকিৎসার ব্যাপারে সবসময় আস্থা রাখার অনুরোধ করেছিল।

তাদের অনুরোধ সবাই বিশ্বাস করেছে এমনটি শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় না। সন্দেহপ্রবণরা তাতে আস্থা রাখেনি আবার যারা চিকিৎসাবিজ্ঞানের নৈতিকতা সম্পর্কে ধারণা রাখে এবং বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসার মান সম্পর্কে অবগত আছে তারা চিকিৎসকদের বক্তব্য বিশ্বাস করত। কিন্তু বিএনপির কাউকেই সেটি বিশ্বাস করানো যায়নি। তারা একবাক্যে তা প্রত্যাখ্যানই শুধু করত না, ইউনাইটেড হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়ারও দাবি অনবরত করতে থাকে। কিন্তু কখনও তারা বেগম খালেদা জিয়ার একমাত্র বিদেশেই চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে এমনটি দাবি করেনি।

২০২০ সালের করোনার সংক্রমণ বাংলাদেশে ধরা পড়ার পর বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষ ব্যবস্থায় হাসপাতাল থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় চিকিৎসা গ্রহণের অনুমতি প্রদানের যে আবেদন করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনি বিধান অনুযায়ী সেই ব্যবস্থায় অনুমতি দেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পরিবারের অনুরোধে নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে প্রথমে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। পরে ওই আদেশ ৬ মাস করে বাড়ানো হয়। তিনি গুলশানস্থ তার বাসায় এই সময় অবস্থান করতেন।

উক্ত বাসায় তিনি একবার করোনা আক্রান্ত হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে যাওয়ার কিছুদিন পর তাকে আবারও হাসপাতালে অন্য রোগের চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতে হয়। এরই মধ্যে বিএনপি তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন সভা-সমিতি ও জনমত সৃষ্টি করতে থাকে। গত ১৩ নভেম্বরের তিনি আবার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিউতে ভর্তি হন। সেখানে তার চিকিৎসা চলতে থাকে। তবে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক টিমের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়নি।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমে তার শারীরিক অবস্থার প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে বলে জানাচ্ছিলেন। কিন্তু বিএনপির কোনো নেতৃবৃন্দ এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়ার সুযোগ পেতেন না বলে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। তখন থেকে দাবি করা হচ্ছিল যে তার চিকিৎসা এদেশে কোনোভাবে সম্ভব নয়।

একমাত্র বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দিয়েই তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে বলে দাবি করা হয়। বিএনপির নেতৃবৃন্দ তিনটি দেশের নাম উল্লেখ করে তাকে সেখানে পাঠানোর দাবি করছিলেন। দেশ তিনটি হচ্ছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র। কেন অন্য কোনো দেশে নয় সেটি অবশ্য তারা বলতেন না। শুধু বলা হতো যে তিনটি দেশেই নাকি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন যাদের কাছে তিনি চিকিৎসা পেলেন সুস্থ হতে পারেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোনো মন্তব্য কেউ কখনও জানতে পারেননি। এ নিয়ে বিএনপির অবস্থান বেশ রহস্য সৃষ্টি করে। গত নভেম্বর থেকেও বিএনপি নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়ার স্টমাকে রক্তক্ষরণের যে খবারখবর প্রতিদিন দিচ্ছিলেন তাতে তার অবস্থা আঁৎকে ওঠার মতোই বিশ্বাস করার কথা মনে হতে থাকে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ তখন ক্রমাগত দাবি করছেন যে, তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তার চিকিৎসা এদেশে আর সম্ভব নয়, তাকে এখনই এয়ারবাসযোগে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিতে তারা সরকারের নিকট দাবি জানাতে থাকেন। বিএনপির এসব দাবি নিয়ে সমর্থক নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও বাইরের মানুষ বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগার তেমন বড় ধরনের কোনো অবকাশ ছিল না।

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত চিকিৎসক টিমের কোনো বক্তব্য যেহেতু ছিল না তাই সরকারের কোনো হাত বা বেহাতের বিষয় অনুমান করার সুযোগ ছিল না। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক টিমের কোনো বক্তব্য না দিয়ে বিএনপি পুরোপুরি রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যেই বেগম খালেদা জিয়া ও তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বক্তব্য দিচ্ছে এটি সবার কাছে স্পষ্ট হতে থাকে। বিএনপির এসব বক্তব্যে নেতাকর্মীরা আয়োজিত বিভিন্ন সমাবেশে জড়ো হতে থাকে।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেগুলোতে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিতে থাকেন। বেগম খালেদা জিয়ার ভাইবোন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে দুবার আবেদন করেছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয় যে, যেহেতু তিনি সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত তাই একই আইনের সরকারের ভিন্ন কোনো সিদ্ধন্ত নেয়ার সুযোগ নেই।

সরকার থেকে বলা হয়েছিল যে, এ ব্যাপারে পরিবারের সদস্যগণ সর্বোচ্চ আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করতে পারেন কিংবা রাষ্ট্রপতির কাছে। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা এবং দলীয়ভাবে বিএনপির উচ্চ আদালতে তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য জামিন প্রার্থনা করে করে কোনো আবেদন করেনি, রাষ্ট্রপতির কাছেও কোনো প্রার্থনা জানানো হয়নি।

কেন তারা সর্বোচ্চ আদালত বা রাষ্ট্রপতির কাছে যাননি সেটির জবাব তারাই ভালো দিতে পারবেন। তবে আইন ও বিচারের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন যে সরকার যখন বিএনপিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল তখন ধরেই নেয়া যায় যে ডাক্তারি রিপোর্ট, সুপারিশ এবং দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের মতামত উচ্চ আদালত আইন ও বিধিসম্মতভাবে গ্রহণ করলে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস হয়তো এর বিরোধিতা করত না।

বিএনপির আইনজ্ঞরাও এই বিষয় সম্পর্কে কম জানেন না। কিন্তু বিএনপি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন না হওয়ায় এবং ঘটনাবলির অবস্থা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে, বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে দেশে জনমত সৃষ্টি করতে অনেক বেশি আগ্রহী ছিল এবং প্রকৃত চিত্র জনগণকে বুঝতে দিতে চায়নি। সরকার বিষয়টি সম্পর্কে যে অবহিত ছিল না, তা নয়। বিএনপির মনোভাব, উদ্দেশ্য এবং তাদের অবস্থান সরকারের নিকট স্পষ্ট থাকায় মনে হচ্ছিল সরকার নিজস্ব অবস্থানে অনড় ছিল।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ যেভাবে তার মৃত্যু ঘটলে সরকারের বিরুদ্ধে দেশে গণ-আন্দোলন, অভ্যুত্থনা সংঘটিত হওয়ার ‘জুজুর ভয়’ দেখাচ্ছিল সেটি জনগণ হয়তো ভালোভাবে না-ও জানতে পারে কিন্তু সরকারের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রতিদিনের খবরাখবর নিশ্চয়ই জানা থাকত সেকারণে কোনটা জুজুর ভয় কোনটা প্রকৃত ভয় সেই হিসাব সরকারের হয়তো ছিল। তবে নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়টিকে নিয়ে সরকারের ওপর যে চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল সেটি সফল হয়নি।

একটি বিষয়ে বিএনপি কিছুটা সফল হয়েছে বলা চলে। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এতদিন যে গা ছাড়া ভাব ছিল সেটি কাটিয়ে ওঠার একটি সুযোগ তারা নিয়েছে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে তারা জনসভা অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ তারা কাজে লাগিয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা চাঙাভাব ফিরে এসেছে। তবে সেটিও আবার কিছুটা নেতিয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

গত ৯ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিউ থেকে সাধারণ কেবিনে নেয়া হয়েছে। তার মানে তার শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে ভালো হয়েছে। দেশে তার চিকিৎসা নেই এই দাবিটি এখন আর জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। এই সত্যটি বোঝার পর অনেকেই বিএনপির এতদিনকার দাবিটি যে সত্য ছিল না সেটিই ধরে নিতে পারে। এর মানে হচ্ছে বিএনপি নেতৃবৃন্দের অনেক কথাই রাজনৈতিক, দলীয় ।

এটিও তাই প্রমাণ করল। তাছাড়া এখন বিশ্বে যেভাবে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে তাতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানিতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া অনেকের জন্যই নিরাপদ নয়। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশে বসেই যতটা ভালোভাবে নেয়া যেতে পারে, ততটাই তার এবং তার দলের জন্য মঙ্গলজনক।

লেখক: গবেষক-অধ্যাপক।

এ বিভাগের আরো খবর