বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘উদ্ভট উটের পিঠে’...

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:১০

সাদা পোশাকে নাগরিকদের ধরে নেয়া যাবে না বলে সর্বোচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ২০১৬ সালের ২৪ মে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও রিমান্ড-সংক্রান্ত ১৬৭ ধারা নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। যেখানে বলা হয়েছে, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

বড় বড় অপরাধ দমনে অনেক সময় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এমনকি অপরাধীদের সামাজিকভাবে বয়কটের দাবি তোলা হয়। স্মরণ করা যেতে পারে, বছর কয়েক আগে দেশে পর পর অনেকগুলো শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে অনেকেই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করাই শুধু নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ধর্ষকদের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন। ধর্ষকদের ক্রসফায়ারে হত্যার পক্ষেও জনমত ছিল বা এখনও আছে।

আর এই জনমতকে পুঁজি করেই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত অনেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। জনমতের চাপে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বা অপরাধীদের সামাজিকভাবে বয়কট বলতে কী বুঝায় বা এর মানদণ্ড কী? প্রশ্নটি নতুন করে সামনে এসেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সাম্প্রতিক একটি পদক্ষেপে।

গণমাধ্যমের খবর বলছে, হবিগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে চাপে ফেলতে বাড়িতে বাড়িতে দুই রকমের সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে বিজিবি। সাইনবোর্ডে লেখা: ‘চোরাকারবারির বাড়ি’, ‘মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি’। খবরে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি বিজিবি–৫৫ ব্যাটালিয়ন মাধবপুর, চুনারুঘাট ও শ্রীমঙ্গল সীমান্ত এলাকায় অন্তত দেড়শ চিহ্নিত চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে এসব সাইনবোর্ড টানিয়েছে। যদিও স্থানীয় পুলিশ বলছে, এসব সাইনবোর্ড প্রসঙ্গে তারা কিছু জানে না। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর স্বভাবতই সমালোচনা শুরু হয়। কারণ বিষয়টি স্পষ্টতই মানবাধিকার লঙ্ঘন।

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অর্থ এই নয় যে, সেখানে অপরাধীর মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হবে কিংবা একজনের অপরাধের দায়ে তার পরিবারের অন্যদেরকেও সামাজিকভাবে অসম্মানিত করা হবে কিংবা তাদের জীবনজীবিকা ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হবে। হবিগঞ্জে মূলত এই কাজটিই করা হয়েছে। একজন ব্যক্তি হয়ত চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাকে হয়ত একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তারও করেছে। কিন্তু আইনের ফাঁক গলিয়ে তিনি হয়ত বেরিয়ে এসেছেন। তার অর্থ এই নয় যে, তার বাড়িতে ‘মাদক কারবারি’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়ে দিতে হবে।

যদি মাদক কারবারি হিসেবে চিহ্নিত ওই লোক সত্যিই অপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তির মুখোমুখি করার উপায় আছে। আইনের ফাঁক গলিয়ে যদি তিনি বেরিয়ে আসেন বা শাস্তি না পান, তাহলে এর জন্য দায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতা কিংবা বিচার ব্যবস্থার ত্রুটি। সীমান্তে চোরাকারবারি ঠেকাতে না পারার ব্যর্থতার দায়ও বিজিবি এড়াতে পারে না।

প্রশ্ন হলো, কোন আইনে বিজিবির মতো একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী অন্তত দেড়শ লোকের বাড়িতে ‘মাদক কারবারি’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়ে দিল? গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে: ‘অনেকেই চোরাই মালামালসহ আটক হন। কারাভোগের পর আবারও সেই কাজ করেন। পুনরায় মামলা হয়েছে। কেউ পলাতকও আছেন। সামাজিকভাবে চাপে ফেলতেই এ ধরনের সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে। আত্মসমর্পণ করলে সাইনবোর্ডগুলো খুলে নেয়া হবে।’

অনেকে মনে করেন, সামাজিকভাবে চাপে পড়ে অভিযুক্তরা মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেবেন। এটি হয়ত এক অর্থে সঠিক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ব্যক্তির অপরাধের দায় তার স্ত্রী-সন্তান বা পরিবারের অন্য সদস্যরা কেন নেবেন? যেসব বাড়িতে এরকম সাইনবোর্ড টানানো হলো, সেসব বাড়িতে যদি বিবাহযোগ্য নারী থাকেন, তাহলে ওই বাড়ির মেয়েদের সঙ্গে কি তার ছেলে বা আত্মীয়কে বিয়ে দিতে রাজি হবেন?

বিবাহযোগ্য ওই নারীর কোনো অপরাধ নেই। এসব বাড়িতে নিশ্চয়ই অনেক শিশু আছে। সেই শিশুরা যখন স্কুলে যাবে, তখন তাদের সহপাঠীরা তাদের মাদক কারবারির বাড়ির ছেলেমেয়ে বলে কি টিপ্পনি কাটবে না? এই শিশুদের অপরাধ কী? শৈশবেই যদি তাদের এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে সেই ট্রমা তাদের সারা জীবন বহন করতে হবে।

উপরন্তু এসব বাড়িতে যেসব কিশোর-তরুণ রয়েছেন, তারা যদি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তার দায় কি রাষ্ট্র নেবে? এসব বাড়িতে যেসব প্রবীণ আছেন, সন্তানের অপরাধের দায়ে বৃদ্ধ বয়সে তারা কেন সামাজিকভাবে অসম্মানিতে হবেন? এই সাইনবোর্ড টানানোর পরে তারা আর মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ছেন কি না বা পড়তে পারছেন কি না— সেটি অনুসন্ধান করা দরকার।

মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মোহনপুর গ্রামের একজন নারী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের বাড়ির সামনে লাল সাইনবোর্ড লাগানোর পর থেকে শিশুরা বাড়ির বাইরে বা স্কুলে যেতে পারছে না। গ্রামের লোকজন তাদের নানা কথা বলছে। আবার যাদের বাড়িতে এরকম সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে, তারা যে সবাই মাদক কারবারি বা তাদের অনেকে যে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার নন, এমন উপসংহারে পৌঁছানোও কঠিন।

কারণ ‘ভিলেজ পলিটিক্স’ বলে একটা কথা আমাদের দেশে চালু আছে— যার শিকার হয়ে অসংখ্য মানুষ শুধু সর্বস্বান্ত হয়েছেন তাই নয়, এলাকাছাড়াও হয়েছেন। সুতরাং, প্রশ্ন হলো- যাদের বাড়ির সামনে এরকম সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে, তারা সকলেই কি প্রকৃত অপরাধী? আর অপরাধী হলেও তাদের বিচারের জন্য ফৌজদারি আইন রয়েছে। বিজিবি কোন আইনে সাইনবোর্ড টানিয়ে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করল? একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কি এই অধিকার রয়েছে? একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী কি মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে পারে?

২.

সম্প্রতি আরেকটি ইস্যু সামনে এসেছে। সেটি হলো সাদা পোশাকে তুলে নেয়ার পরে নির্যাতনের অভিযোগে কার্টুনিস্ট কিশোর র‌্যাবের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে যে মামলা করেছিলেন, তার তদন্তে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট- পিবিআই বলেছে যে, কিশোরকে কারা তুলে নিয়েছিল সেটি অজানা। তার উপরে র‌্যাবের নির্যাতনের কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন হলো- তাহলে কিশোরকে কারা তুলে নিয়েছিল এবং তাকে কারা নির্যাতন করেছিল?

গত ৫ মার্চ জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে প্রথম আলোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর বলেছিলেন, গত বছরের ২ মে তাকে বাসা থেকে তুলে নেয়ার পরে অজ্ঞাত স্থানে ৬৯ ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে তার কার্টুন নিয়ে নানারকম প্রশ্ন করা হয়, মারধর করা হয়। নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। নিজের কান দেখিয়ে বলেন, পুঁজ পড়ছে। দেখান কালশিটে পড়া দুই পা। কারাগারের ১০ মাসে সুচিকিৎসা পাননি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। যদিও কিশোরের এই বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে র‌্যাব। পিবিআইয়ের তদন্তেও বলা হচ্ছে, কিশোরকে নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ফলে প্রশ্ন হলো, ৫ মে গ্রেপ্তার দেখানোর আগে ২ মে কারা তাকে সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল; কোথায় নিয়ে গিয়েছিল এবং কারা তাকে নির্যাতন করেছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খুব কঠিন। কারণ এরকম সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও অসংখ্য নাগরিককে এভাবে তুলে নেয়া হয়েছে এবং তাদের অনেককে আর খুঁজেও পাওয়া যায়নি। তারা জীবিত নাকি মৃত— তাদের পরিবারও তা জানে না। ফলে তারা ‘গুম’ হয়েছেন বলে বিশ্বাস করাই সংগত। যদিও রাষ্ট্র কখনও ‘গুম’ বিষয়টি স্বীকার করে না।

এরকম পরিচয় না দিয়ে সাদা পোশাকে নাগরিকদের ধরে নেয়া যাবে না বলে সর্বোচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ২০১৬ সালের ২৪ মে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও রিমান্ড-সংক্রান্ত ১৬৭ ধারা নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। যেখানে বলা হয়েছে, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

আটকের তিন ঘণ্টার ভেতর কারণ জানাতে হবে। রায়ে ছয় মাসের মধ্যে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার ও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রচলিত বিধি সংশোধন করার পাশাপাশি ওই ধারা সংশোধনের আগে কয়েক দফা নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয় সরকারকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- বিনা পরোয়ানায় এভাবে সাদা পোশাকে পরিচয় না দিয়ে নাগরিকদের তুলে নেয়ার ঘটনা বন্ধ হয়নি— যা স্পষ্টত আদালত অবমাননার শামিল।

ভিন্নমত বা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে উন্নত বিশ্বও নানা কৌশল অবলম্বন করে। জনগণের পয়সায় পরিচালিত আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীগুলো নাগরিকদের জন্যই আতঙ্কের বস্তুতে পরিণত হয়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু কোনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আগে কাউকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্যাতন কিংবা তুলে নেয়ার পরে কারো হদিশ না পাওয়ার মতো ঘটনা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।

একজন নাগরিক ফৌজদারি অপরাধ করলে তার জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। প্রচলিত আদালত রয়েছে। কিন্তু সেই আদালত ও বিচারব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে বা উপেক্ষা করে রাষ্ট্রের কোনো বাহিনী যদি নিজেরাই বিচার করে বসে; অপরাধ প্রমাণের আগেই যদি তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হয়— তাহলে আর আদালতের প্রয়োজন থাকে না।

কার্টুনিস্ট কিশোর যদি সত্যিই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে প্রচলিত আইনেই তার বিচার হওয়া সম্ভব। কিন্তু এটি প্রমাণ করতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বলতে কী বুঝায়, এর মানদণ্ড কী, কার্টুন বা এরকম সৃজনশীল কর্মকাণ্ডকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বা অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে কি না— আইনে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে। তার অর্থ এই নয় যে, একজন নাগরিককে পরিচয় না দিয়ে তুলে নেয়া হবে এবং অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হবে, আবার রাষ্ট্রের একটি বাহিনী সেটির সত্যতাও খুঁজে পাবে না!

জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে কিশোর তার উপরে নির্যাতনের যে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছেন; যে ঘরে তাকে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরের যে বর্ণনা দিয়েছেন—তাতে মনে হয় না তিনি মিথ্যা বলছেন। কিন্তু রাষ্ট্রের একটি দায়িত্বশীল বাহিনী যদি সেই সত্য খুঁজে না পায়, তাহলে জনমনে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকবে যে, কোনটি সত্য?

উল্লেখ্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কিশোরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। সুতরাং বিচারে যদি কিশোর সত্যিই অপরাধী প্রমাণিত হন, তাহলে তা প্রচলিত আইনেই তার সাজা হবে। কিন্তু অপরাধ প্রমাণের আগেই যে তার উপরে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ এল; যে নির্যাতনের অভিযোগে তিনি রাষ্ট্রের একটি বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন; যে মামলায় তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে থাকলেন এবং যে ঘটনাপ্রবাহে কিশোর শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে— তার দায় কি রাষ্ট্র এড়াতে পারে? বিচারের বাইরে কি এই বিচারের সংস্কৃতি— সেটি কি কোনোদিন বন্ধ হবে?

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

এ বিভাগের আরো খবর