বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কে কাকে ‘স্যার’ বলবে?

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৪১

গণকর্মচারীরা জনগণকে কী বলে সম্বোধন করবেন, সে বিষয়ে এখন আইন সংশোধনেরও সময় এসেছে। উন্নত ও সভ্য রাষ্ট্রে সরকারি কর্মচারীরা সেবা নিতে যাওয়া নাগরিকদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন। বাংলাদেশেও এখন সরকারি কর্মচারী আইন সংশোধন করে সেখানে ‘সম্বোধন’ নামে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা দরকার, যেখানে স্পষ্ট বলা থাকবে, ‘সেবাগ্রহীতাদের সংশ্লিষ্ট অফিসার-কর্মচারী স্যার বলে সম্বোধন করিবেন’। এই আইন করা হলে গণকর্মচারীদের অহংকার কমবে।

গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি একাধিক পত্রিকার শিরোনাম ছিলো: মিনিটে ১৬ বার ‘স্যার’ বলেন ভারতীয় আমলারা। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, ভারতের একজন আমলা এক-দুবার নয়, মিনিটে ষোলোবার ‘স্যার’ বলেন। ‘পলিসিমেকারস জার্নাল: ফ্রম নিউ দিল্লি টু ওয়াশিংটন ডিসি’ নামে একটি স্মৃতিচারণামূলক বইতে তিনি নিজের চোখে দেখা ভারতীয় আমলাদের কিছু পছন্দ-অপছন্দ ও প্রথা সম্পর্কে বিশদ তুলে ধরেন।

পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ভারতের আমলারা যেখানে মিনিটে গড়ে ষোলোবার স্যার বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা কী? বস্তুত আমাদের এখানে স্যার বলার চেয়ে স্যার শোনার প্রতি আমলাদের আগ্রহ বেশি। জুনিয়র সহকর্মীর কাছ থেকে তো বটেই, তারা প্রত্যাশা করেন যে, সবাই তাদের স্যার সম্বোধন করবেন। এমনকি তথ্য বা সাক্ষাৎকার আনতে গিয়ে সাংবাদিকরাও তাদের স্যার বলবেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে।

এমতাবস্থায় গত ৭ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার বা ম্যাডাম বলে সম্বোধনের কোনো রীতি নেই। তিনি বলেন, স্যার শব্দের অর্থ মহোদয়, আর ম্যাডাম অর্থ মহোদয়া। রুলস অব বিজনেসে দুটোর কোনোটিই নেই।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কীভাবে কাজ করতে হবে— সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নির্দেশনা ছিল- ‘যারা সেবা নিতে আসেন তাদের দিকে তাকাও, তারা তোমার বাবার মতো, ভাইয়ের মতো, আত্মীয়ের মতো। সেবা নিতে আসে জনগণ। তাদের টাকায় তোমাদের বেতন হয়।’ ফরহাদ হোসেন তার সহকর্মীদের মনে করিয়ে দেন, ‘হাসিমুখের অ্যাটিচিউট খুবই ইম্পর্টটেন্ট। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল, এটা কখনো করা যাবে না।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে রসিকতা করে লিখেছেন, স্যারদের স্যার বলার প্রয়োজন নেই বলার পরে প্রতিমন্ত্রীর চাকরি হালকা হয়ে যাবে না তো? মানুষের এ জাতীয় তীর্যক মন্তব্যের বাস্তবতাও আছে। কারণ সাম্প্রতিক সরকারের আমলানির্ভরতা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রশাসনের লোকজনের দৌরাত্ম্য নিয়ে খোদ জাতীয় সংসদেই তর্ক হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই আমলারা বা প্রশাসনের লোকজন এত বেশি প্রভাবশালী ছিলেন না বা তারা এত বেশি খবরদারি করার সুযোগ বা সাহস পাননি। কেন সরকার এত বেশি আমলানির্ভর হয়ে গেল, এর পেছনে খোদ রাজনীতিবিদদের দায় কতটুকু— তা নিয়েও আলোচনা আছে। তবে সেই আলোচনা পাশে রেখে বরং ‘স্যার সংস্কৃতি’ নিয়ে এগোনো যাক।

সরকারি কর্মচারীরা যে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে স্যার শব্দটি শুনতে চান—তার পেছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক কারণ। তারা মনে করেন, যেহেতু সরকারি চাকরি করেন অতএব তারা অন্যদের চেয়ে বেশি মেধাবী। যদিও তাদের মধ্যে অনেকেই নানারকম কোটার সুবিধা নিয়ে, ঘুষ দিয়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি বাগিয়েছেন। কিন্তু তারপরও তারা মনে করেন, অন্যদের চেয়ে তারা ‘প্রিভিলেজড’।

যেহেতু তাদের চাকরির নিশ্চয়তা অন্য যেকোনো পেশার মানুষের চেয়ে বেশি; যেহেতু তারা রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের দোহাই দিয়ে অনেক সময় অন্যায় করেও পার পেয়ে যেতে পারেন; যেহেতু তাদের যেকোনো অন্যায় কাজে বাধা দিলেও তারা সেটিকেও রাষ্ট্রীয় কাজে বাধাদান বলে অভিহিত করতে পারেন; যেহেতু অন্যায় করলেও অনেক সময় ‘সরল বিশ্বাসে কৃত অপরাধ’ বলে পার পেয়ে যাওয়ার আইনি সুযোগ রয়েছে— ফলে তাদের মধ্যে অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস কাজ করে। তারা জানেন সহজে তাদের চাকরি যাবে না। আবার এক সরকারের আমলে চাকরি চলে গেলে পরবর্তী সরকারের আমলে সেই চাকরি ফেরত পাওয়ারও সুযোগ আছে।

নাগরিকদের সেবা না দিলেও মাস শেষে বেতন ঠিকই পাবেন। অবসরে যাওয়ার পরে মোট অংকের পেনশন পাবেন। রাজনৈতিক যোগাযোগ ভালো থাকলে অবসরের পরে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক কাজের সুযোগ পাবেন। রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে সংসদ সদস্য এমনকি মন্ত্রী হওয়ারও সুযোগ আছে।

তাদের সন্তানদের জন্যও রাষ্ট্রের বহুবিধ সুযোগ বিদ্যমান। সবকিছু মিলিয়ে তারা অন্য যেকোনো পেশার মানুষের চেয়ে নিজেদের বেশি ক্ষমতাবান মনে করার সুযোগ পান। ফলে প্রত্যাশা করেন যে সবাই তাদের স্যার বলবেন এবং এটাকে অনেকে অধিকার বলে মনে করেন।

বিপরীতে একজন সরকারি কর্মকর্তা যখন কোনো কাজে কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে যান, তিনি তখন ওই পত্রিকা বা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এমনকি সম্পাদককেও ভাই বলে সম্বোধন করেন। অথচ সেই কর্মকর্তাই প্রত্যাশা করেন, সাংবাদিকরাও তাকে স্যার বলবেন।

স্থানীয়পর্যায়ে অনেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমনকি থানার ওসিকেও স্যার সম্বোধন করতে হয়। স্যার না বললে তারা মাইন্ড করেন। অসহযোগিতা করেন। অর্থাৎ পুরো বিষয়টি এখন এমন একটি বাজে সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে যে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বললেন বলেই যে আগামীকাল থেকে এই স্যার সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়ে যাবে, তার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এবার একটু মুদ্রার অন্যপিঠ নিয়ে আলোচনা করা যাক। স্যার শব্দের অর্থ মহোদয়। এখন আর ম্যাডাম শব্দটি ব্যবহৃত হয় না। বরং স্যার শব্দটি উভলিঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যে কারণে নারী কর্মকর্তাদেরও স্যার বলা হয়। যেহেতু স্যার মানে মহোদয়, সেহেতু কেউ যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে তথা নিতান্তই সম্মান দেখানোর খাতিরে কোনো সরকারি কর্মকর্তা এমনকি তৃতীয় শ্রেণির কোনো কর্মচারীকেও স্যার বলে সম্বোধন করেন— তাহলে সেটি ওই সম্বোধনকারীর বিনয়। কিন্তু সম্বোধিত ব্যক্তি যদি মনে করেন যে, তাকে স্যার বলতেই হবে, না হলে তিনি সেবা দেবেন না বা তিনি কেন স্যার বললেন না বলে প্রশ্ন করেন, ক্ষুব্ধ হন, তাহলে সেটি ওই সম্বোধিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মানসিক দৈন্য। কেউ তাকে স্বপ্রণোদিত হয়ে সম্মান দেখানোর জন্য স্যার বলে সম্বোধন করবে। কেউ করবে না। বস্তুত, শিক্ষক ছাড়া আর কাউকে স্যার বলার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

প্রশ্ন হলো, সরকারি অফিসে গিয়ে একজন সাধারণ নাগরিক সংশ্লিষ্ট অফিসারকে কী বলে সম্বোধন করবেন? ইউরোপ-আমেরিকায় বড়দেরও নাম ধরে ডাকাটাই স্বাভাবিক। এটিকে অভদ্রতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। যেমন কোনো অফিসের কর্তার নাম যদি হয় ড্যাভিড কুইন, তাহলে যেকোনো নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে অনায়াসে তাকে মি. ডেভিড বলে সম্বোধন করতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে সেই সংস্কৃতি নেই। এখানে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম যদি হয় ইসমাঈল হোসেন, তাহলে তাকে মি. হোসেন বা মি. ইসমাঈল বললে তিনি মাইন্ড করবেন।

একজন সাধারণ মানুষ কোনো কাজে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে যদি স্যার বলে সম্বোধন করেন, সেটি নিশ্চয়ই দোষের কিছু নয়। কিন্তু তাকে স্যার না বললে যদি তিনি মাইন্ড করেন বা তিনি যদি মনে করেন যে তাকে স্যার বলতেই হবে, তাহলে বুঝতে হবে এটি তার রুচি ও সংস্কৃতির সংকট।

প্রশাসনে চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পরে যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, সেই প্রশিক্ষণের সময়ই যদি এটি পরিষ্কার করে দেয়া হয় যে, যে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় আপনার বেতন হচ্ছে, তারা আপনাকে স্যার বলতে বাধ্য নন, বরং আপনিই সেবাগ্রহীতা জনগণকে স্যার বলবেন—তাহলে সমস্যাটা এত জটিল হয় না। কারণ এই প্রশিক্ষণটিই তাদের মানসিকতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।

বাস্তবতা হলো, আমাদের প্রশাসনে যেহেতু ব্রিটিশ আমলের তথা কলোনিয়াল একটা লিগেসি আছে, ফলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নিজেদের ‘জমিদার’ ভাবার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এটা প্রশাসনের কাঠামোগত সমস্যা। কখনও এই কাঠামো পরিবর্তনের খুব একটা চেষ্টা হয়নি। আর এই কাঠামোর কারণেই তারা যে জনগণের কর্মচারী বা সেবক, সেই বোধটি তাদের ভেতরে জাগ্রত হয় না।

যে কারণে নানা সময়ে ‘স্যার’ না বলায় সরকারি কর্মচারীদের ক্ষুব্ধ বা রুষ্ট হওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। গত বছরের এপ্রিলেও নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ইউএনওকে স্যার না বলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর উপরে ক্ষেপে যান স্থানীয় থানার ওসি। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষার্থী ইসলামিক স্টাডিজে পড়েন জানতে পেরে ওসি এমন মন্তব্যও করেন যে, ‘ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট হলো মাইগ্যা ডিপার্টমেন্ট, এখানে তো মাইগ্যারা পড়ে’। প্রশ্ন হলো, একজন পুলিশ অফিসার এ জাতীয় মন্তব্যের সাহস কোথায় পান?

এর আগে যশোরের অভয়নগরের একজন সাংবাদিক ‘ভাই’ সম্বোধন করায় তার দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসেন একজন কৃষি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমি একজন বিসিএস ক্যাডার, আমার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় জানেন না?’ একইরকম ঘটনা ঘটে পাবনার বেড়া উপজেলায়। সেখানেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানমকে ‘ম্যাডাম’ না বলে ‘আপা’ বলায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ওপর ক্ষেপে যান তিনি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, দুদক চায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবাপ্রার্থী নাগরিকদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করবেন। তিনি বলেন, এটা প্রত্যাশিত এবং স্বাভাবিক একটি ব্যাপার ছিল। কিন্তু ‘কলোনিয়াল লিগ্যাসির’ ধারাবাহিকতায় আমরা একে অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার করে তুলেছি।

ঔপনিবেশিক কায়দায় এ বঙ্গে উল্টো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘স্যার’ বলে সেবাপ্রার্থীর জান জেরবার হয়ে যায়। দুদক চেয়ারম্যান মনে করেন, সরকারি কর্মচারীরা জনগণের কাছ থেকে যে ‘স্যার’ সম্বোধন পেতে চান, এটি একধরনের হীনন্মন্যতাবোধ। ইনফেরিওর কমপ্লেক্সিটি। সরকারি কর্মচারীদের প্রতি তার প্রশ্ন, আপনাকে যদি অসম্মান না করে কেউ নাম ধরে ডাকেন, তাতে আপনার সমস্যা কী? আপনি তো প্রভু নন। সেবাপ্রার্থী জনগণ আপনার দাস নন।

বস্তুত, গণকর্মচারীরা জনগণকে কী বলে সম্বোধন করবেন, সে বিষয়ে এখন আইন সংশোধনেরও সময় এসেছে। উন্নত ও সভ্য রাষ্ট্রে সরকারি কর্মচারীরা সেবা নিতে যাওয়া নাগরিকদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন। বাংলাদেশেও এখন সরকারি কর্মচারী আইন সংশোধন করে সেখানে ‘সম্বোধন’ নামে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা দরকার, যেখানে স্পষ্ট বলা থাকবে, ‘সেবাগ্রহীতাদের সংশ্লিষ্ট অফিসার-কর্মচারী স্যার বলে সম্বোধন করিবেন’। এই আইন করা হলে গণকর্মচারীদের অহংকার কমবে।

একজন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা এসি ল্যান্ডও যখন সেবা নিতে যাওয়া পানের দোকানদার বা রিকশাচালককে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করবেন, তখন ওই অফিসার বা কর্মচারী নিজেকে জনগণের প্রভু বা জমিদার ভাববেন না। তিনি সবসময় নিজেকে জনগণের সেবক হিসেবেই ভাববেন। তিনি গলা উঁচু করে কথা বলার সাহস পাবেন না। তিনি মনে করবেন যে, এই সাধারণ মানুষের করের পয়সায়ই তার বেতন হয়। অতএব, তাদের সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে। তাদের ইজ্জত করে কথা বলতে হবে। কারণ তারাই মালিক।

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

এ বিভাগের আরো খবর