বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেবক ও মানবিক শেখ হাসিনা

  • খায়রুল আলম    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:৫০

শেখ হাসিনার মতো দূরদর্শী নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। একজন মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সারাক্ষণ দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা কাজ করে চলেছেন। করোনার এই মহামারিতেও সব বাধা অতিক্রম করে মানবতার সেবায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে যিনি ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপদান করে চলেছেন। ক্ষমতার উচ্চ আসনে অবস্থান করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গরিব-দুঃখী, খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবছেন ও তাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

“আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে, আমি শাসক নই, মানুষের সেবক। জনগণের সেবা ও কল্যাণ করাটাকেই আমি সব থেকে বড় কাজ বলে মনে করি। সেই ব্রত নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি।” সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিজের অবস্থান পুনরায় এভাবে তুলে ধরেন। তার এ অবস্থান একদিনে সৃষ্টি হয়নি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে, অবিরাম মানুষের পাশে থেকে শোষকের সঙ্গে আপোস না করে নিজের এমন ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন; যা তাকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। সেই বাস্তবতা তুলে ধরা বর্তমান অবশ্যই প্রাসঙ্গিক।

একনাগাড়ে টানা তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে চলছেন। বর্তমান বৈশ্বিক এই দুর্যোগেও সারা বিশ্বে তিনি শুধু মানবিকতার গুণে হয়ে উঠেছেন অনন্য। আপন মহিমায় শেখ হাসিনা হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা, হিমাদ্রিশিখর সফলতার মূর্তস্মারক, উন্নয়নের কান্ডারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে করোনা সংকট মোকাবিলা করে দেশ আজ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বের বিস্ময়। বঙ্গবন্ধু রাজনীতির রোল মডেল, আর উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে শেখ হাসিনার নাম চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন। শেখ হাসিনার মতো দূরদর্শী নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। একজন মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সারাক্ষণ দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা কাজ করে চলেছেন।

করোনার এই মহামারিতেও সব বাধা অতিক্রম করে মানবতার সেবায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে যিনি ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপদান করে চলেছেন। ক্ষমতার উচ্চ আসনে অবস্থান করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গরিব-দুঃখী, খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবছেন ও তাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার ছোঁয়া দেশ ছাড়িয়ে বৈশ্বিক পর্যায়েও স্থান করে নিয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে, মানুষের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ। করোনা সংকট মোকাবিলায় দ্রুত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস ম্যাগাজিনসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তিনি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং করোনা মহামারির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। একইসঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন কার্যকরী পদক্ষেপ। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে কৃষি ও শিল্পসহ অর্থনৈতিক খাতগুলোতে সময়োপযোগী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। যা বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়। করোনায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেই রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের জন্যই করোনাকালে দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮.২ ধরে সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট পাস করা হয়েছে। পররাষ্ট্রনীতিতে নিজ দেশের মর্যাদা সমুন্নত রেখে কি প্রতিবেশী, কি ক্ষমতাধর রাষ্ট্র সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেই বাংলাদেশ উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশে তো বটেই, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নেতৃত্বে এখন শেখ হাসিনার অবস্থান সবার শীর্ষে। দক্ষিণ এশিয়া তথা সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত যা পারেনি; বাংলাদেশ তা করে দেখিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিকদের জন্য শেখ হাসিনা একজন অনুকরণীয় নেতৃত্ব। তিনি দেশ-বিদেশের নেতাদের কাছে এখন আস্থা ও ভরসাস্থল।

খাদ্য ও নগদ সহায়তা: করোনা মহামারির প্রথম ধাক্কার মতো দ্বিতীয় ধাক্কার এই দুঃসময়েও জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য আবারও মানবিক সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতি দরিদ্র, কর্মহীন, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক এবং কৃষকসহ মহামারির ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প-আয়ের মানুষের জন্য মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্তদের কষ্ট লাঘবে ইতোমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। করোনাকালে অসহায়, গরিব-দুস্থ, খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে খাদ্য ও নগদ অর্থসহ মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তা সারা বিশ্বে এক অনন্য নজির। করোনার সংক্রমণ রোধে আরোপিত লকডাউনে শ্রমজীবী ও স্বল্প-আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। এছাড়া, অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার শুরু থেকেই খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে অব্যাহতভাবে এসব মানুষের পাশে আছেন।

ঈদের আগে অসহায় ব্যক্তি ও দুস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য নিজ উদ্যোগে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী।

ফোন কলে খাবার সরবরাহ: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মধ্যবিত্তদের গোপনে সহায়তা দিতে সরকারের ৩৩৩ কল সেন্টার চালু হয়েছে। এই সেবাটি যারা প্রকাশ্যে কোনো সহায়তা ও খাদ্য সরবরাহ চাইতে পারে না মূলত তাদের জন্যই করা হয়েছে। কেউ যদি ৩৩৩ নম্বরে কল করে সাহায্য চান তাহলে জেলা প্রশাসন তাদের পরিচয় গোপন রেখে সহায়তা করে যাচ্ছে।

গৃহহীনদের ঘর উপহার: ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মুজিব শতবর্ষে দেশেই নির্মিত হচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য এই ‘স্বপ্নের নীড়’। সারা দেশে ভূমি ও গৃহহীন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ এটিই হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার।

২০২০ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। তার এই মহান ব্রতকে সামনে রেখেই মুজিববর্ষে প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারই পাচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় সেমিপাকা ঘর, আর দুই শতাংশ জমির মালিকানা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা বাড়ি পাচ্ছেন গৃহহীন ও ভূমিহীনরা। সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের এই মহাযজ্ঞ প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা ভ্যাকসিন ও কূটনীতি: অতিমারি করোনা দুর্যোগে বদলে গেছে বিশ্ব পরিস্থিতি। উন্নত বিশ্বেও রাষ্ট্রনায়করা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন পরিস্থিতি মোকাবিলায়। গত এক শতকে বিশ্ববাসী এমন দুর্যোগ আর দেখেনি। করোনায় আক্রান্ত কয়েক লাখ মানুষ জীবন হারিয়েছে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে। স্বজন হারানোর বেদনায় শোকার্ত সারা পৃথিবী। বিশ্বব্যাপী থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জীবনের আনন্দ প্রায় নির্বাসিত।

এক অজানা আতঙ্ক গ্রাস করছে মানব জীবনকে। চারদিকে অস্থিরতা। জীবনের কোলাহল প্রায় থেমে গেছে। স্বাভাবিক কর্মজীবনে চরম স্থবিরতা। বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়কও রীতিমতো ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ সামলাবেন কীভাবে? বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষকে করোনা থেকে নিরাপদে রাখার পাশাপাশি এ দুর্যোগ মোকাবিলায় তিনি কতটুকু সফল হবেন? অসহায় ও অসচ্ছল মানুষকে কতটুকু খাদ্যনিরাপত্তা দিতে পারবেন তিনি? বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়করাই যেখানে প্রকৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করছেন তখন শেখ হাসিনা কতটুকু সাহস জোগাবেন দেশবাসীকে? এমন অসংখ্য প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা তার অসীম সাহসিকতা আর মানবিকতা দিয়েই জয় করছেন সবকিছু। করোনাযুদ্ধে একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা আনা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের অনেক ধনী দেশও যখন এ টিকা পায়নি, তখন দেশের মানুষের জন্য বিনামূল্যে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। অতি সম্প্রতি ভারত করোনা টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী কদিন আগে এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন- ‘যত টাকা লাগুক, টিকা আনবই’। সরকারের তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘মানুষের কল্যাণ এবং ইশতেহার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে’। অর্থাৎ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ যে ভিশন দেয়, তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।

শ্রমজীবী ও গার্মেন্টস-কর্মীদের সুরক্ষা: চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের কী হবে? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়বে কিনা? আমাদের গণমাধ্যম শিল্পের কী হবে? দীর্ঘ সময় কাজের বিরতিতে কর্মহীন চলচ্চিত্রশিল্পীদের কী হবে? বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস বন্ধ থাকলে শিক্ষকরা চলবেন কীভাবে? বেসরকারি খাতে করোনার ধাক্কায় কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়লে বেকারত্ব স্থায়ী হবে না তো?

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে পরিবহন খাতের শ্রমিকরাই বা বাঁচবেন কী খেয়ে? এ যাত্রায় পরিবহন মালিকদের সংকট কাটবে তো? গার্মেন্টশিল্পে অচলাবস্থা হলে কর্মজীবী নারীরা কোথায় দাঁড়াবেন? খেটে খাওয়া শ্রমিকরা বাড়িভাড়া দেবেন কীভাবে? বিশ্বময় পরিস্থিতি যখন চরম সংকটে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মহাপরিকল্পনায় সব শ্রেণিপেশার মানুষের পাশে দাঁড়ালেন নির্ভরতার অভিভাবক হিসেবে। দেশের ১৭ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ করল একজন সাহসী রাষ্ট্রনায়ককে। সময়ের দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্ট শ্রমিকদের কথা ভেবে পোশাকশিল্পে শ্রমিকদের বেতনবাবদ প্রথম পর্যায়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ প্রণোদনা ঘোষণা করলেন। শ্রমিকরা তাদের অসহায় চোখে দেখতে পেলেন বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন।

পর্যায়ক্রমে সব শ্রেণিপেশার মানুষের দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী রীতিমতো চমকে দিলেন সবাইকে। সব শ্রেণিপেশার মানুষ জীবনের এক চরম সন্ধিক্ষণে আশার আলো পেল প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসবাণীতে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প বাঁচাতে আর্থিক সহায়তা আর প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েই বসে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৫০ লাখ পরিবারকে করোনা সংকটে খাদ্যসহায়তা দিয়ে রীতিমতো ইতিহাস গড়লেন। বিশ্ব দেখল শেখ হাসিনার অসীম সাহসিকতা আর একজন পরম মানবতাবাদী নেত্রীকে। জাতিসংঘ মহাসচিবও অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করলেন উন্নয়নশীল দেশের একজন জনদরদি নেত্রীকে। বিশ্বনেতাদের প্রশংসায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমকর্মীরাও দেখলেন জাতির চরম সংকটে একজন সরকারপ্রধানের সম্মোহনী নেতৃত্ব।

৯ হাজার কোটি টাকার মডেল মসজিদ: বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৯০ ভাগের বেশি মুসলমান। এই মুসলমানদের পবিত্র উপসনালয় হলো মসজিদ। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য আধুনিক এবং উন্নতমানের ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই অর্ধশতাধিক মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই মডেল মসজিদ করতে ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। প্রতি জেলা, উপজেলা এবং উপকূল এলাকায় মসজিদগুলো তৈরি হচ্ছে। বিশ্বে কোনো মুসলিম শাসকের একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ এই প্রথম।

দরিদ্র সুরক্ষা: চলমান করোনা মহামারিতে সংক্রমণ রোধে আরোপ করা বিধিনিষেধে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব ও নিম্ম-আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩ হাজার ২ শ’ কোটি টাকার ৫টি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনার প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে খেটে খাওয়া, হতদরিদ্র ও ভাসমান মানুষ। তাদের কথা মাথায় রেখে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। সারা দেশে নিম্ন-আয়ের মানুষদের ১০ টাকা কেজি দরে ৫০ লাখ পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, ছয় মাসের খাদ্য এবং নগদ অর্থ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা, সেটা যেন কখনও ব্যর্থ না হয়ে যায় সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এই অর্জনের সুফলটা যেন বাংলাদেশের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম পেতে পারে এবং ভবিষ্যতে প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পায় সেদিকে লক্ষ রেখেই দেশের উন্নয়নের কাজগুলো করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

লেখক: সাংবাদিক, কলাম লেখক।

এ বিভাগের আরো খবর