মাদারীপুরের কালকিনিতে পৌরসভা নির্বাচনের ভোট চলাকালে দুইটি কেন্দ্রে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। একটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণও হয়েছে।
পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিকারমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টা ও দুপুর সাড়ে ১২টায় এই সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তা পুলিশ নিশ্চিত করেনি।
কেন্দ্রগুলোর পরিদর্শক সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল সি, নারায়ণগঞ্জ) আবির হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এসএম হানিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
‘আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিজিবি মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, ভোটও চলছে।’
তবে কী কারণে সংঘর্ষ, তা জানা যায়নি।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানার জন্য দুই প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কারও পক্ষে সাড়া মেলেনি।
কালকিনিতে চলছে স্থগিত হওয়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোট।
মেয়র হতে এখানে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামী লীগের এস এম হানিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান সবুজ, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, বিএনপির কামাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লুৎফার রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রুবেল রানা।
এর মধ্যে বিএনপি প্রার্থী কামাল হোসেন ২১ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘ভোট কারচুপি, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড, পৌরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন বর্জন ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’
এই পৌরসভায় ভোটের নির্ধারিত দিন ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি।
এর আট দিন আগে ৬ ফেব্রুয়ারি স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজের নিখোঁজ হওয়ার জেরে কালকিনিতে তিন ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে।
এরপরই ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে কালকিনির ভোট স্থগিতের আদেশ দেয়া হয়।