বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেন্দ্রে লাইন, কারচুপি-বর্জনে শেষ পৌরসভায় ভোট

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:৩৫

সৈয়দপুর পৌরসভায় সংঘর্ষে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকের মৃত্যু। কারচুপির অভিযোগ এনে নীলফামারীর সৈয়দপুর, জামালপুর, ঝিনাইদহের মহেশপুর, রাজশাহীর চারঘাট ও জয়পুরহাট পৌরসভায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।

পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট শেষ হলো।

আগের চার দফার মতোই এবারও সকাল থেকে কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায়। আবার কোনো কেন্দ্রে ভোটার ছিল একেবারেই কম।

কোথাও ভোট নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ নেই, আবার কোথাও আছে বিস্তর অভিযোগ। সংঘর্ষ-সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।

২৯ পৌরসভায় রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরুর পর প্রথম কয়েক ঘণ্টা কোনো রকম সহিংসতা ছাড়া নির্বিঘ্নেই কাটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভোট বর্জন।

নীলফামারীর সৈয়দপুর, জামালপুর, ঝিনাইদহের মহেশপুর, রাজশাহীর চারঘাট ও জয়পুরহাটে ভোট বর্জন হয়েছে।

রাজশাহীর চারঘাট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্রের বাইরে হয়েছে ককটেল বিস্ফোরণ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে। নীলফামারীতে নির্বাচনি সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন।

এর আগে প্রথম দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারি, তৃতীয় দফায় ৩০ জানুয়ারি ও চতুর্থ দফায় ভোট হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি।

নীলফামারী

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা প্রদান, কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম।

সৈয়দপুরে জাতীয় পার্টির প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

এরপর বেলা সোয়া ১টার দিকে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

হাসপাতালে ছোটন অধিকারীর মরদেহ। ছবি: নিউজবাংলা

সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতের নাম ছোটন অধিকারী। তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে।

জামালপুর

জামালপুর পৌরসভায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন।

শহরের সরদারপাড়ায় নিজ কার্যালয়ে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পুনরায় ভোট নেয়ার দাবি জানান।

ওয়ারেছ আলী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘পৌরসভার সব কয়টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিতে পারছেন না। তাই ভোট বর্জন করলাম।’

ঝিনাইদহ

কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খান চুন্নু। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তার কাছে আসেনি।

চুন্নু বলেন, ‘ভোট শুরুর পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থকরা নির্দিষ্ট প্রতীকে জোরপূর্বক ভোট নিচ্ছেন। শুরু থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্ট বের করে দিয়েছেন।’

কালীগঞ্জ পৌরসভায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।

পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেদী হাসান সজল ও আরিফুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে।

পুলিশ ও বিজিবি তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি, ভোটও স্বাভাবিকভাবে চলছে বলে জানান কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

পৌর এলাকার সরকারি কলেজ ভোটকেন্দ্রের পাশের সড়কে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ জানান, ককটেল বিস্ফোরণের কোনো খবর তিনি পাননি। তার দাবি, সব ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

রাজশাহী

রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার বিএনপির প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

মিঞাপুরের নিজ বাড়িতে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার প্রহসনের নির্বাচন করছে। সব কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রে বিএনপির সমর্থক ও ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।’

এর আগে সারদা থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১০টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি ককটেলের মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়। অন্যটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় ছিল। পরে পুলিশ সেটি নিষ্ক্রিয় করে।

ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের এই ঘটনার জন্য প্রধান দুই প্রার্থী একে অন্যকে দুষছেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী একরামুল হক বলেন, ‘এটা বিএনপি ও জামায়াত ক্যাডারদের কাজ। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতেই এ হামলা ঘটিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর