বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ না মেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে পারেননি জয়পুরহাট পৌরসভার ভোটার তমেজ উদ্দিন।
পৌর শহরের কাশিয়াবাড়ি স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল ভোট দিতে না পারায় হতাশ বসে আছেন রাজমিস্ত্রি তমেজ।
শহরের কবিরাজপাড়ার এই বাসিন্দা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিক। মেশিনে শো করসে। তারপর বুড়া আঙুলের ছাপ দিতে গেলে আসল ছাপ আর নাই।’
আফসোস করে তিনি বলেন, ‘আমি সারা দিন রাজমিস্ত্রির হেলপারের কাজ করি। ইট, পাথর, বালু, সিমেন্ট আর রড় টানাটানি করতে গিয়া আঙুল ছেড়াবেড়া হয়ে গেসে। এখন আর ভোট দিতে পারলাম না। কী মিশিন (যন্ত্র) এটা? আমি লোকটা তো ঠিক আসি।’
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, যারা এ রকম পেশায় কাজ করেন, তাদের আঙুলের ছাপ ঠিক থাকে না। এমন অভিযোগ বিছিন্নভাবে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি জানান, এই পেশার মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বেলা ৩টার দিকে তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রে আসতে বলা হচ্ছে। প্রার্থী বা তাদের এজেন্টদের আপত্তি না থাকলে এবং ওই ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিক থাকলে তাদের ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও বিএনপির শামছুল হকসহ তিনজন।