বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আনন্দ কুমার দাসের নির্বাচনি মিছিলে কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শহরের নাটাইপাড়ার তন্ময় কুমার দত্ত, উত্তর চেলোপাড়ার টুলু ব্যাপারী, দক্ষিণ চেলোপাড়ার মো. বাতেন ও মধ্য চেলোপাড়ার বিষ্ণু। তারা সবাই ওই ওয়ার্ডের বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী পরিমল চন্দ্র দাসের সমর্থক-কর্মী।
হামলার ঘটনায় আনন্দ কুমার ৩৭ জনের নামে শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে একটি মিছিল শেষ করে কর্মীরা দত্তবাড়ি থেকে চেলোপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। মিছিলে হর্ন বাজানো নিয়ে পরিমলের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিছিলটি কিছু দূর গেলে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এ সময় আনন্দ কুমারের কর্মী মোহাম্মদ আলী শান্ত, মো. মিলন ও মো. নিপুল আহত হন। এরা সবাই চেলোপাড়ার বাসিন্দা।
এদের মধ্যে শান্ত ও মিলনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেয়া হয়।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনায় যারা ভর্তি রয়েছেন তারা সবাই শঙ্কামুক্ত।’
ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সহিংসতার এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী পরিমল চন্দ্র দাসকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রোববার পঞ্চম ধাপে বগুড়া সদর পৌরসভায় ভোট। ১৪৫ বছরের প্রাচীন বগুড়া পৌরসভায় ভোটারসংখ্যা ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০। মেয়র পদে ৪ জন, ২১টি সাধারণ ও ৭টি সংরক্ষিত আসনে সাধারণ কাউন্সিলর ১৩০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বগুড়া পৌরসভায় ১১৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৫৬ কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করেছে। প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে।