এগিয়ে আসছে পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোটের দিন। সব কিছু ঠিক থাকলে আর মাত্র দুই দিন পরই ভোট নেয়া হবে জয়পুরহাট পৌরসভায়।
এই হিসেবে প্রার্থীদের হাতে প্রচারের সময় কম। শনিবার মধ্যরাতের পর আর গণসংযোগ করতে পারবেন না তারা। শেষ মুহূর্তের আগে তাই প্রচারে মুখর নির্বাচনি এলাকা।
জয়পুরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে প্রচার। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নেই প্রার্থীদের তেমন কোনো অভিযোগ।
সারা শহর ছেয়ে গেছে নির্বাচনি পোস্টারে। একটু পরপরই চলছে বিভিন্ন প্রার্থীর মিছিল। ভোট চেয়ে ভোটারদের দরজায় কড়া নাড়ছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
জয়পুরহাট পৌরসভায় এবার মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচ প্রার্থী। নেই কোনো দলের বিদ্রোহী প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে জয়পুরহাট পৌরসভার জনগণ আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছিল। আমি গত পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন করেছি, বিগত ৪০ বছরেও তা হয়নি। আমি আশা করি, জনগণ এসব বিচার করে এবং আগামীতে জয়পুরহাট পৌরসভার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমাকে আবারও জয়যুক্ত করবে।’
বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুল হকও তার জয়ের বিষয়ে আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি। মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। যদি সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হয় তাহলে আমি নির্বাচিত হবো।’
মেয়র পদের বাকি তিন প্রার্থী হলেন জগ মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসিবুল আলম, ইসলামী শাসনতন্ত্রের জহুরুল ইসলাম এবং নারকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র বেদারুল ইসলাম বেদিন।
২৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রথম শ্রেণির এই নির্বাচনে ভোট দেবেন ৫২ হাজার ২৭৩ জন।
পৌরসভার আমতলী এলাকার ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক জানান, সব দল যেন সুন্দরভাবে নির্বাচন করতে পারে এটাই তার আশা।
প্রফেসর পাড়ার এক ভোটার বলেন, ‘যখনই নির্বাচন আসে, প্রার্থীরা আমাদের কাছে এসে ভোট চান আর বলতে থাকেন এটা দেব সেটা দেব। যা করতে পারবেন তাও দিতে চান, আবার যা পারবেন না তাও দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচিত হলেই সব ভুলে যান।’
তাজুর মোড় এলাকার আরেক ভোটারেরও একই অভিযোগ, ভোট শেষে প্রার্থীরা সব অঙ্গীকার ভুলে যান।
জয়পুরহাট পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৭০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৬ জন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সার্বক্ষণিক টহল থাকবে। আশা করি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’