যশোর সদর পৌরসভা নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারি করা সম্ভব নয়, তবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোট হবে বলে আশা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নতুন সীমানা নিয়ে জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে সাতজন নাগরিক রিট করেন। হাইকোর্ট ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট পরে হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করে। কিন্তু এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র এখনও নির্বাচন কমিশন পায়নি।
এ প্রসঙ্গ টেনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আদেশের কপি আমরা হাতে না পাই, অনেক সময় টেলিভিশনে সাথে সাথে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্প্রচার করা হয়। তখন আমরা মনে মনে প্রস্তুতি নিই, কী করতে হবে। আদেশের কপি পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। এ জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন আদেশ পেতে সময় লাগবে। ফলে ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ এতদিন নির্বাচনের কোনো কার্যক্রম করা যায়নি। টাইম লস হয়ে গেছে। এই টাইমটা দিতে হবে প্রার্থীদের। মোটামুটি ১৪/১৫ দিন টাইম দিতে হয় প্রার্থীদের। এটা আমরা পাইনি।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘মার্চে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কারণ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনটি সম্পন্ন করা যেতে পারে। তারপরও বলব, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে ৬০ শতাংশের ওপর মানুষ ভোট দিচ্ছেন। মিডিয়াতেই বলা হয় কেন্দ্রে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। নারীরা দীর্ঘ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছেন। পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলেই নারীরা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। ফলে নির্বাচন সঠিক, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর সব স্থানেই নির্বাচনে কিছু সহিংস ঘটনা ঘটে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হলে মানুষের মধ্যে সহনশীলতার অভাব দেখা দেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দ্রুত প্রশমনও করে। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, মানুষ ভোট দিচ্ছে না, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না, এসব কথা মানতে একেবারেই রাজি না আমি।’
২৮ ফেব্রুয়ারি কেশবপুর পৌর নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনার এর আগে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।