বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রায়পুরে আচরণবিধি ‘মানছে না’ আ. লীগ

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:৩৩

পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অলিতে গলিতে ঝুলছে সাদাকালো পোস্টার। নৌকার পোস্টার প্রচুর দেখা গেলেও ধানের শীষের পোস্টার নেই বললেই চলে। তবে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন করে’ ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ, তার প্রচার মাইক ভাঙচুর ও গণসংযোগে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ভয়ে তার কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে নামতে পারছেন না।

২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ছয় জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট, বিএনপির এবিএম জিলানী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল খালেক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মনির আহম্মদ প্রতীক (মোবাইল ফোন), নাছির উদ্দিন প্রতীক (জগ) ও মো. মাসুদ উদ্দিন প্রতীক (নারিকেল গাছ)।

পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অলিতে গলিতে ঝুলছে সাদাকালো পোস্টার। নৌকার পোস্টার প্রচুর দেখা গেলেও ধানের শীষের পোস্টার নেই বললেই চলে।

তবে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালচ্ছেন সাবেক সাংসদ হারুনুর রশীদ, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন নৌকার কর্মী-সমর্থকরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রায়পুর মৎস্য গবেষণা ও সংরক্ষণ দপ্তরের সভাকক্ষে রোববার বিকেলে আলেচনা সভার আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। সভায় পৌর মেয়র এবং প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এতে আওয়ামী লীগসমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দলের কাউন্সিলর প্রার্থীরা অংশ নেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌর এলাকায় মেয়র-কাউন্সিলররা দিনরাত চালাচ্ছেন প্রচার। ছবি: নিউজবাংলা

আসন্ন নির্বাচন কেন্দ্রিক বিভিন্ন আলোচনা করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী নিশ্চিত করেছেন।

তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনি কোনো আলোচনা হয়নি, সভায় শুধুমাত্র সাংগঠনিক আলোচনা করা হয়েছে। সরকারি দপ্তরের সভাকক্ষে নির্বাচনি আলোচনাকে কেন্দ্র করে পৌরবাসীর মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের এই অনুষ্ঠানে চিহ্নিত জামায়াত-শিবিরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাইন উদ্দিন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সোহাগ। কিন্তু আজ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ এই সভাতে তিনিও যোগ দিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের সমর্থন দাবি করেন। জেলা বা উপজেলা নেতারা কোনো প্রতিবাদ করেননি। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।’

এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবিএম জিলানী বলেন, ‘আমি এর আগে দুই বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। এবারও দল আমাকে সমর্থন করেছে। বর্তমানে সরকার দলীয় লোকজন আমাকে প্রচার চালাতে দিচ্ছেন না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমার লোকদের ভয় দেখাচ্ছেন। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোথাও কোনো লাভ হয়নি।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, ‘আমরা কাউকে প্রচার চালাতে নিষেধ করিনি। কেউ বাধা দিচ্ছে না। সবাই সবার প্রচার চালাচ্ছে। তাদের যেসব অভিযোগ, সেসবের কোনো ভিত্তি নেই। জামায়াত-বিএনপি মিলে আমাদের বিরুদ্ধে গুজব রটাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণ উন্নয়নের পক্ষে থাকবে। আমি যেখানে যাচ্ছি, ভোটাররা বলছেন আমার সঙ্গে থাকবেন। দলের সবার সর্বাত্মক সহযোগিতাও পাচ্ছি।’

রায়পুরকে ১৯৯৪ সালে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। ৯.০৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভার মোট ভোটার ২৩ হাজার ৬৩১ জন।

পৌর মেয়র পদে ছয় জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫১ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ছয় জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টার্নিং অফিসার মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্বহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বলা হয়েছে। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জেলা আওয়ামী লীগ রায়পুর মৎস্য গবেষণা ও সংরক্ষণ দপ্তরে সভার আয়োজন করার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর