বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মতলবে ভোটের আগেই বর্জন বিএনপির

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:০৯

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী এনামুল হক বাদল বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য দশটি অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি... আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি প্রদান করছে, আমার নির্বাচনি পোস্টার প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে।’ তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানালেন, মাঠে না নেমেই হামলার অভিযোগ করছে বিএনপি।

হামলা-মামলা থেকে নেতা-কর্মীদের রক্ষা করার কারণ দেখিয়ে চাঁদপুরের মতলব পৌরসভা নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।

দলের মেয়র প্রার্থী এনামুল হক বাদলের অভিযোগ, তার নেতা-কর্মীরা নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারছেন না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, তার প্রচারসামগ্রীতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। বিষয়গুলো প্রশাসনকে জানালেও সুফল মেলেনি।

সোমবার চাঁদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন ধানের শীষের প্রার্থী।

২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপে দেশের যেসব পৌরসভায় ভোট হবে, তার মধ্যে আছে চাঁদপুরের এই পৌরসভাটি।

তবে ব্যালটে বিএনপি নেতার নামও থেকে যাবে। কারণ, ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে আগেই।

যদিও রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলছেন, বিএনপির প্রার্থী প্রচারেই নামেননি। আর তিনি যেসব অভিযোগ তার কাছে করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে।

বিএনপি প্রার্থী বলেন, ‘আমি দলের মার্কাকে সম্মান করে নানা বাধা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নিই। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন অসহযোগিতা করে আসছে।

‘নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ১০টি অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি প্রদান করছে, আমার নির্বাচনি পোস্টার প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে।’

বাদল জানান, এসব অভিযোগ জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভায় তোলা হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রশাসনের অসহযোগিতা, সরকারদলীয় লোকজনের হুমকি-ধমকি, মামলা-হামলা থেকে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিরাপদে রাখার জন্য পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বলে সাংবাদিকদের জানান বাদল।

ভোটারদেরও নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।

নির্বাচনী কর্মকর্তার অস্বীকার

বিএনপির প্রার্থী যেসব অভিযোগ করেছে, সেগুলো সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন রিটার্নি কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যখন অভিযোগ পেয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে তা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তবে তিনি নির্বাচনের গণসংযোগে না নেমেই হামলার অভিযোগ করেছেন।’

তোফায়েল জানান, নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা মাঠে তৎপর রয়েছেন।

বিএনপির প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় এখন তিনজনের মধ্যে এখানে মেয়র পদের লড়াই হবে। তারা হলেন আওয়ামী লীগের আওলাদ হোসেন লিটন, জাতীয় পার্টির ডি এম আলাউদ্দিন কবির ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর