সীমানা জটিলতা-সংক্রান্ত এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় যশোর পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট বাতিলে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগও।
এর ফলে ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচনের ভোট গ্রহণে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আপিল বিভাগ সোমবার এই আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মোরশেদ। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু ও পংকজ কুমার কুণ্ডু।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করেছিল চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগ চেম্বার আদালতের আদেশটি বহাল রেখেছেন। ফলে এই পৌরসভার নির্বাচনে আর কোনো বাধা রইল না।’
এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেছিল হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হলে চেম্বার আদালত সেটি স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠায়। এরপর আপিল বিভাগও সেটি বহাল রাখে।
রিটে বলা হয়েছিল, গত বছর যশোর পৌরসভার সীমানা বর্ধিত করা হয়েছে। নতুন ৯টি মৌজা যশোর পৌরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট হয়েছে। গেজেট হওয়ার পরও নতুন মৌজাগুলোকে কোনো ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ এই ৯ মৌজার অধিবাসীদের কাছ থেকে টাক্স নেয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বেআইনি। এটা সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন।
তাই যশোর পৌরসভায় নতুন সংযুক্ত হওয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহসহ তিন জন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
যশোর সদর পৌরসভায় পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করা হয়েছে। এই ধাপে ৩১ পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা।
এর আগে ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায়, ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ও তৃতীয় ধাপে ৬২টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোট হয়।
ষষ্ঠ দফার ভোটের মাধ্যমে দেশের তিন শতাধিক পৌরসভার নির্বাচন শেষ হওয়ার কথা আগামী ৭ এপ্রিল।