বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগ-জাপার পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ, হয়নি মামলা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:০৩

সৈয়দপুর পৌর শহরের গোলাহাট এলাকায় শনিবার মধ্যরাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষই দাবি করে, অপর পক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়।

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটা সংঘর্ষ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।

দুই পক্ষেরই দাবি, অপর পক্ষ তাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে রোববার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি বলে জানান সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান।

কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলমও।

পৌর শহরের গোলাহাট এলাকায় শনিবার মধ্যরাতে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে গিয়ে আগুন নেভান।

সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করছেন নেতা-কর্মীরা।

এই পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের রাফিকা আকতার জাহান ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।

সিদ্দিক জানান, শনিবার রাতে গোলাহাট এলাকায় নির্বাচনি প্রচার শেষে প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে ফিরছিলেন তিনি ও তার সমর্থকরা। ফেরার পথে পড়ে ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হিটলার চৌধুরীর বাড়ি।

সিদ্দিকের অভিযোগ, ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান হিটলারের কর্মীরা। তাদের মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয় ও ভাঙচুর করা হয়।

সিদ্দিকের দাবি, এই হামলায় তাদের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন।

পাল্টা অভিযোগে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন জানান, লাঙ্গল প্রতীকের নির্বাচনি পথসভায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গালমন্দ করা হয়। স্থানীয় লোকজন এর প্রতিবাদ করায় লাঙ্গলের প্রার্থী ও জাপা নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হন। এ কারণে শনিবার রাতে তার (হিটলার) বাসায় হামলা চালানো হয়।

হিটলার অভিযোগ করেন, হামলা চালিয়ে একটি জিপগাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ছবিও ভাঙা হয়। এ ঘটনায় তার দুই কর্মী আহত হন।

সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, ওই এলাকায় সংঘর্ষ হচ্ছে এমন খবরে সেখানে যায় পুলিশের একটি দল। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি মোটরসাইকেল। সেগুলো থানায় নেয়া হয়েছে। তবে কত জন আহত হয়েছেন তা নিশ্চিত করা যায়নি।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর শুনেছি। যেহেতু সেখানে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেহেতু ক্ষতিগ্রস্তরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। মামলা হলে সে অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আর যদি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ পাই, তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এই পৌরসভায় ভোট হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।

এ বিভাগের আরো খবর