বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগ ৪৮, স্বতন্ত্র ৪, বিএনপি ১

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০১:৫৯

প্রথম তিন দফা পৌর নির্বাচনের মতো চতুর্থ দফাতেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিপুল ব্যবধানে জিতেছে। এবারও বিভিন্ন পৌরসভায় যেমন ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে, আবার কারচুপির অভিযোগ এনে ৯টি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীদের ভোট থেকে সরে দাঁড়াতেও দেখা গেছে।

চতুর্থ দফার পৌর নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই জয় পেয়েছেন সিংহভাগ পৌরসভায়। ৫৫টি পৌরসভায় বিএনপি এবার জয় পেয়েছে কেবল একটিতে।

বাকিগুলোর মধ্যে দুটিতে ফলাফলের মীমাংসা হয়নি। গোলযোগের কারণে যেসব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছে, সেসব কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা এগিয়ে থাকা প্রার্থীর ভোটের চেয়ে বেশি হওয়ায় সেখানে ভোট শেষেই হবে ফলাফল।

বাকি ৫৩টির মধ্যে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা জিতেছেন ৪৮টিতে। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা জিতেছেন চারটিতে।

প্রথম দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারি, তৃতীয় দফায় ৩০ জানুয়ারিও একই চিত্র দেখা যায়। বিএনপির প্রার্থীরা খুব কমসংখ্যক পৌরসভায় জিতেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে তখনও ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের সিংহভাগই আসলে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনেরই নেতা।

ওই তিন দফার মতোই এবারও সিংহভাগ পৌরসভায় ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। কোথাও কোথাও আবার অভিযোগ এসেছে কারচুপির।

রোববার যেসব এলাকায় ভোট হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সাতটিতে বিএনপির প্রার্থীরা কারচুপির অভিযোগ এনে বর্জন করেছেন ভোট। একটিকে বিএনপির প্রার্থী আগে থেকেই ফলাফল বর্জন করেছেন। তবে বাকিগুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা ভোটে ছিলেন। তেমন কোনো অভিযোগও আনেননি।

রোববার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চতুর্থ ধাপে ২৯ পৌরসভায় ভোট হয়েছে ইভিএমে, বাকি ২৬ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে।

সব পৌরসভাতেই ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন নিউজবাংলার প্রতিনিধিরা। তাদের দেখা বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন, আর পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল বেশি।

সিলেটের কানাইঘাটে ভোট ঘিরে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। সকালে কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে ভোটার উপস্থিতি। ভোট চলাকালে অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

একই রকম দৃশ্য দেখা যায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। সেখানে ইভিএমে ভোট হলেও কেউ কোনো সমস্যার কথা বলেনি। আর পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল ঢের বেশি। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির প্রার্থীসহ কেউ কোনো অভিযোগ তোলেননি।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয় রাজশাহীর নওহাটা, গোদাগাড়ী, তানোর ও তাহেরপুরে। চারটি পৌরসভার বেশির ভাগ কেন্দ্রেই দেখা যায় ভোটারদের লম্বা লাইন।

নওহাটার একটি কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও ভোট প্রদান বিঘ্নিত হয়নি।

ময়মনসিংহের ফুলপুর ও ত্রিশালে ভোট হয় আমেজের সঙ্গে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভোটার। পৌরসভা দুটিতে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।

কুমিল্লার দাউদকান্দি ও হোমনায় ভোট হয় ইভিএমে। সেখানেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি ছিল, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দেয় তারা।

বাগেরহাট সদর পৌরসভায় সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে। ভোটারদের লাইনে নারীদেরই বেশি দেখা যায়; কোনো অনিয়মের অভিযোগও ওঠেনি।

যশোরের চৌগাছায় একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর ভয়ভীতির অভিযোগ ছাড়া সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। ভোটারদের উপস্থিতিও ব্যাপক। জেলার বাঘারপাড়া পৌরসভায় কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই দীর্ঘ লাইন।

অনিয়ম, কারচুপি ও নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ৯টি পৌরসভায় কয়েকজন মেয়র প্রার্থী ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে, বরিশালের বানারীপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, বাগেরহাট, নাটোরের বড়াইগ্রাম ও চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। আর ঠাকুরগাঁও সদরে বিএনপির প্রার্থী আগেই ফলাফল বর্জন করেন।

রংপুর বিভাগ

লালমনিরহাট পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা রেজাউল করিম স্বপন জিতেছেন ১১ হাজার ৩৬ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৫ ভোট।

পাটগ্রামে আওয়ামী লীগের রাশেদুল হাসান সুইট জিতেছেন ১২ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল পেয়েছেন ২ হাজার ২২১ ভোট।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় প্রথম নারী মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা। পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৯৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ ভোট।

রাণীংশকৈল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান ২ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসাইন পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬৯ ভোট।

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী জেলার তানোরে আওয়ামী লীগের ইমরুল হক ১২ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ৭ হাজার ২১৭ ভোট।

গোদাগাড়ীতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল ইসলাম বাবু। পেয়েছেন ৮ হাজার ৮১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির গোলাম কিবরিয়া রুলু পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৯২ ভোট।

তাহেরপুরে জিতেছেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ। পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৪০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু নঈম শামসুর রহমান মিন্টু ৯০৩ ভোট পেয়েছেন।

পবা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের হাফিজুর রহমান হাফিজ ১৪ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল বারি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৮৬ ভোট।

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভায় প্রথম নারী মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের রাবেয়া সুলতানা। পেয়েছেন ৯ হাজার ১৭৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাজ্জাদুর রহমান তালুকদার সোহেল পেয়েছেন ৮০০ ভোট।

আক্কেলপুরে আওয়ামী লীগের শহীদুল আলম চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলমগীর চৌধুরী বাদশা পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৬ ভোট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জয়ী নৌকা প্রতীকের মনিরুল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ওজিউল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৯৯ ভোট।

নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মাজেদুল বারী নয়ন জিতেছেন ১০ হাজার ২৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইসাহাক আলী পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ ভোট। তিনি ভোট বর্জন করেছেন।

খুলনা বিভাগ

যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগের নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল জিতেছেন ৬ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা কামাল আহমেদে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭ ভোট।

একই জেলার বাঘারপাড়ায় আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান বাচ্চু জিতেছেন ৪ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আবু তাহের পেয়েছেন ১ হাজার ১০৮ ভোট।

সাতক্ষীরা সদরে জয়ী হয়েছেন বিএনপির তাজকিন আহমেদ চিশতি। পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিম ফারুক খান মিঠু পেয়েছেন ১৩ হাজার ২২১ ভোট।

বাগেরহাট পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের খান হাবিবুর রহমান। পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮৩৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাইদ নিয়াজ হোসেন পেয়েছেন ৩৩৯ ভোট।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম জিতেছেন ১৩ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহজাহান কবির পেয়েছেন ৭৬৬ ভোট।

একই জেলার আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের হাসান কাদির গনু জিতেছেন ৭ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম সবেদ আলী ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৩ ভোট।

এই দুটিতেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে।

রবিশাল বিভাগ

বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সুভাষ চন্দ্র শীল জিতেছেন ৫ হাজার ৪২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মিণ্টু পেয়েছেন ৬৯৮ ভোট।

একই জেলার মুলাদীতে আওয়ামী লীগের শফিকুজ্জামান রুবেল জিতেছেন ৭ হাজার ৫৪৮ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা দিদারুল আহসান খান ২ হাজার ৬৫ ভোট।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জিতেছেন ৩ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৫ ভোট।

ঢাকা বিভাগ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬২৭ ভোট।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এহেসান কুফিয়া পেয়েছেন ৬৯৭ ভোট। তিনি সকালেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

একই জেলার হোসেনপুর পৌরসভায় ৭ হাজার ৫১৭ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের আ. কাইয়ুম খোকন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৫১ ভোট।

করিমগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মুসলেহ উদ্দিন ১০ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫২ ভোট।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নুরুন্নবী সরকার জিতেছেন ১১ হাজার ৩৫০, বিএনপির আলী আকবর জব্বার ৭ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়।

গোপালপুরে রকিবুল হক ছানা ১৮ হাজার ৯৬৭, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন ৪ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের নিমাই সরকার জিতেছেন ২ হাজার ১৯৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ২২৮ ভোট।

রাজবাড়ী পৌরসভায় জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর শেখ তিতু। পেয়েছেন ১৫ হাজার ২০৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী চৌধুরী পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৩ ভোট।

গোয়ালন্দ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম মণ্ডল ৬ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. নজরুল পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৭ ভোট।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ফলাফল স্থগিত হয়েছে দুটি কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে।

মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম জিতেছেন ২০ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৮৬৮ ভোট।

নরসিংদীর মাধবদীতে আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেন মানিক জিতেছেন ১৭ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ার হোসেন অনু পেয়েছেন ৪২৪ ভোট।

নরসিংদী পৌরসভায় ফলাফল স্থগিত আছে।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফল স্থগিত করা হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে পরে ভোট নিয়ে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহের ফুলপুরের আওয়ামী লীগের শশধর সেন বিপুল জিতেছেন ৬ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা রফিকুল হাসান ৩ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে।

একই জেলার ত্রিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুজ্জামান আনিস জিতেছেন ১২ হাজার ২০ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নবী নেওয়াজ সরকার ৭ হাজার ৪৮৬ ভোট।

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম খান জিতেছেন ২৯ হাজার ১২৯ ভোট পেয়ে। বিএনপির আবদুল্লাহ আল মামুন দ্বিতীয় হয়েছেন ৯ হাজার ৭৩৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

জামালপুরের মেলান্দহে আওয়ামী লীগের শফিক জাদেহী রবিন জিতেছেন ১৩ হাজার ৪৬০ ভোট পেয়ে। বিএনপির মনোয়ার হোসেন হাওলাদার দ্বিতীয় হয়েছেন ৩ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে।

শেরপুর পৌরসভায় ২৯ হাজার ৬ ৩৬ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৯৬ ভোট।

একই জেলার শ্রীবরদীতে ৬ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী লাল।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল হাকিম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪২ ভোট।

সিলেট বিভাগ

সিলেটের কানাইঘাটে আওয়ামী লীগের লুৎফুর রহমান ৩ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সোহেল আমিন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৬ ভোট।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সাইফুল আলম রুবেল জিতেছেন ৬ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাজিম উদ্দিন শামছু পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৫ ভোট।

চট্টগ্রাম বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জিতেছেন আওয়ামী লীগের তাকজিল খলিফা কাজল। ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জয়নাল আবেদীন আবদুল পেয়েছেন ৭৭৮ ভোট। তিনি অবশ্য কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন।

কুমিল্লার হোমনায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম জিতেছেন ১১ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল লতিফ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ ভোট।

একই জেলার দাউদকান্দিতে আওয়ামী লীগের নাঈম ইউসুফ সেইন জিতেছেন ১৪ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নূর মোহাম্মদ সেলিম পেয়েছেন ৮২৯ ভোট।

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আওয়ামী লীগের মেজবাহ উদ্দিন মেজু জিতেছেন ১০ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবি আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৪৫৫ ভোট।

নোয়াখালীর চাটখিলে আওয়ামী লীগের নিজামউদ্দিন জিতেছেন ১১ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা বামাল পেয়েছেন ২ হাজার ৯৬১ ভোট।

সোনাইমুড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নুরুল হক জিতেছেন ৯ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে। বিএনপির মোতাহের হোসেন মালিক দ্বিতীয় হয়েছেন ৪ হাজার ১ ভোট।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও ফেনীর পরশুরামে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইয়ুব বাবুল ১৪ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়েছেন জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নুরুল ইসলাম সওদাগর পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৪ ভোট।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে নৌকা প্রতীকে মাহবুবুল আলম খোকা জিতেছেন ১৫ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপির আইনুল কবির ছাতা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯১৬ ভোট।

ভোটে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ৫ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের সামছুল হক।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৮ ভোট।

রাঙ্গামাটি পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী জিতেছেন ২২ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মামুনুর রশীদ মামুন পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৫ ভোট।

বান্দরবান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ ইসলাম বেবী জিতেছেন ৯ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাবেদ রেজা পেয়েছেন চার হাজার ৫৩৩ ভোট।

এ বিভাগের আরো খবর