কোথাও বর্জন, কোথাও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, কোথাও সংঘাতের মধ্য দিয়ে চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনেও গেল তিন ধাপের মতোই বড় জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত ৫৫ পৌরসভার মধ্যে ৫৩টিরই বেসরকারি ফল পাওয়া যায়। এতে দেখা গেছে, মেয়র পদে নৌকার প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৪৮টিতে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মেয়র হয়েছেন চার পৌরসভায় এবং বিএনপির প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছেন মাত্র একটি পৌরসভায়। নির্বাচনি সহিংসতার কারণে দুই পৌরসভার ফল ঘোষণা স্থগিত রয়েছে।
এর আগে ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের ভোটে ৬২ পৌরসভার মধ্যে ৪৫টিতেই মেয়র হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বিএনপি জয় পায় কেবল তিনটিতে।
১৪টিতে জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের ১০ জনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন।
প্রথম দুই দফায় পরিবেশ ছিল অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ। বিতর্কও ছিল কম। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় ভালো ভোট হওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের বাধা দেয়া, সহিংসতাও দেখা গেছে।
তবে গত কয়েক বছরের মধ্যে তৃণমূলের এই ভোটে কেন্দ্রে ভোটার ফেরা নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
চার ধাপে বিএনপির ৩৫ জনের মতো প্রার্থী কারচুপিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন।
চতুর্থ দফা ভোটের আগে দুটি এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে’ না যাওয়ার হুমকি নিয়ে ছড়ায় উত্তাপ, উৎকণ্ঠা। যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা আশা করেন, ভোট হবে শান্তিপূর্ণ।
চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৌরসভায় মোট মেয়র প্রার্থী ২২৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৯৯ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৯ জন প্রার্থী লড়েন।
মোট ভোটার ১৭ লাখ ৬২৪। এর মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৬ ও নারী ভোটার ৮ লাখ ৫১ হাজার ২২৭।
পঞ্চম ধাপে ৩১ পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা ২৮ ফেব্রুয়ারি। দেশের তিন শতাধিক পৌরসভার বাকিগুলোর ভোট হতে পারে আগামী ৭ এপ্রিল।