ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিনা খাতুন। বয়স শত বছরের কাছাকাছি। বয়সের ভারে হাঁটতেও পারেন না।
রোববার ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনে সেই আমিনা খাতুন ভ্যানে শুয়ে নাতিদের সঙ্গে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের দুখুমিয়া বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে প্রকাশ করেন উচ্ছ্বাস।
তিনি বলেন, ‘বাড়ির লগেই ভোটঘর, তাই ভোট দিতাম আইছি। কষ্ট হইলেও ভোট দিসি, এতে আনন্দ লাগতাছে। নাতিরা নিয়া আইছে, অরাই সব করছে।
‘১৩ বচ্ছর বয়সে বিয়া হইছে, হের পরেতে (এরপর থেকে) এইনে (এখানে) ভোট দেই। আল্লাহ এই হন্ত (পর্যন্ত) বাঁচায়া রাখছে। জীবনে আর কোনো দিন ভোট দিতারি কি না জানি না, তাই ইবার ভোট দিতাইছি।’
আমিনা খাতুনের নাতবউ মুক্তা আক্তার বলেন, ‘আমাদের এক নিকট প্রতিবেশী প্রার্থী হয়েছেন। সেই জন্যে দাদু ভোট দিসে আগ্রহী ছিলেন। ইচ্ছে পূরণে দাদুকে ভোট দিতে নিয়ে আসছি।’
ত্রিশাল পৌরসভায় সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারের ভিড়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সব কেন্দ্রে ভোটারের লম্বা লাইন দেখা গেছে। তবে দুপুর ১টার পর থেকে ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। লম্বা লাইনও আর হয়নি।
ময়মনসিংহের এ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপির প্রার্থীসহ চার জন। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৮২২। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ২৩০ ও নারী ভোটার ১৩ হাজার ৫৯২।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক মিয়া জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর কিছু হয়নি।