অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইমাম হোসেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি এই ঘোষণা দেন।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপি প্রার্থী বলেন, ‘সকাল বেলা বিএনপির এজেন্টরা কেন্দ্রে যায়…কিন্তু তাদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারা হচ্ছে…নৌকা প্রতীক প্রার্থীর এক জন ছেলে এএসপি পদে রয়েছেন। তিনি যখন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পরিচয় দেন, তখন ওনাকে স্যালুট দিচ্ছে এবং উনি নিজে ব্যালট পেপার নিয়ে সিল মারছেন। তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে গিয়ে ভোটের বাক্স ব্যালট দিয়ে ভর্তি করছেন।’
ইমাম আরও বলেন, ‘আমাদের ধানের শীষের কোনো ব্যালট নাই। সেগুলো আগেই নৌকার সিল মেরে ভর্তি করে রেখেছে।
‘নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, আমাদের কিছুই করার নেই; আপনারা বাড়ি চলে যান। আমার এজেন্টদেরকে অবস্থান করতে দেয়া হচ্ছে না। তাই আমি নির্বাচন বয়কট করলাম।’
ইমাম জানান, গত ২৭ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তখন প্রশাসন আশ্বাস দেয় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত লোকজন মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু সেটি ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য নয়; তা দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট কাটার জন্য।’
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শিউলী হরি বলেন, ‘নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোনো প্রার্থী যদি নির্বাচন বয়কট করেন, সেটা তার ও তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছি। প্রচুর ভোটার ভোট কেন্দ্রগুলোতে আসছেন। তারপরও নির্দিষ্ট করে কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের জানালে আমরা সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।’
এই পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জনের পর এখন লড়াইয়ে আছেন নৌকা প্রতীকের আবুল খায়ের পাটোয়ারী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দেলোয়ার হোসেন।