বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আখাউড়ায় বিএনপির এজেন্ট হতে চাচ্ছেন না কেউ

  •    
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:২৬

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর এজেন্টদের নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে রোববার ভোট। এখানে মেয়র পদে লড়ছেন চার প্রার্থী। তাদের বিএনপির প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী এজেন্ট সমস্যায় ভুগছেন।

হুমকি, মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে নৌকার বিপক্ষে কেউই এজেন্ট হতে চাচ্ছেন না বলে প্রার্থীরা জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার রাতেই শেষ হয়েছে মেয়রসহ সব ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার।

এর আগে নৌকার প্রার্থী তাকজিল খলিফা কাজল প্রচারে ছিলেন সোচ্চার। দলীয় কোন্দলের কারণে কোণঠাসা বিএনপির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন প্রচারে তেমন সরব ছিলেন না।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক পৌর মেয়র নুরুল হক ভূঁইয়া (নারকেল গাছ) ও পৌর মৎস্যজীবী লীগের সাবেক সহসভাপতি যুবলীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম খান (মোবাইল ফোন)। তাদেরও জোরালো প্রচারে দেখা যায়নি।

এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুলিশ উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর এজেন্টদের নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে।

পুলিশ গত বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খানের ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম খানকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি তার ভাইয়ের নির্বাচনের প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। তাকে একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

একই রাতে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রাম থেকে ‘বিনা কারণে’ স্থানীয় কামাল মিয়া ও ঢাকা থেকে আসা বিএনপি প্রার্থীর স্বজন সাহারুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের ছেড়ে দেয়।বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘শুক্রবার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন ছিল। খুব ভালো একটা প্রচার করতে পেরেছি বলে আমি মনে করি না। রাতে প্রত্যেক ওয়ার্ডে বিএনপির নেতা-কর্মীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ হানা দিয়েছে। তা ছাড়া আমার লোকদের দেখাচ্ছে মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়। যার কারণে এখন তো এজেন্ট খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। কেউই এজেন্ট হতে রাজি হচ্ছে না। যে অবস্থা দেখতাছি আমি তো নির্বাচনে এজেন্টই দিতে পারব না। নির্বাচনের নয়টি কেন্দ্রই আমার কাছে মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ।’আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খান জানান, ‘শনিবার সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমি অনেকটাই শঙ্কিত। এজেন্ট নিয়ে বিরাট সংকটে আছি। প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে।’ আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে যেন নির্বাচনের দিন এজেন্ট না থাকে। আমার ওপর হামলাও চালানো হয়েছে। তারপরও আমি এজেন্ট দিয়ে যাচ্ছি। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমার শঙ্কা রয়েছে। নৌকার প্রার্থী জানেন, সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি জয়ী হবেন না।’তমামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখানোর অভিযোগ সম্পর্কে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ বলেন, ‘এটা একদম মিথ্যা কথা। নির্বাচনে এ রকম মিথ্যা কথা বলা একটা রীতি হয়ে গিয়েছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা মামলা বা অযথা গ্রেপ্তার করার কোনো এখতিয়ার নেই আমাদের।’

এ বিভাগের আরো খবর