লালমনিরহাটে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে জয়ের মুকুট কার মাথায় উঠবে তা জানা যাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তিস্তা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন। দুই বারের মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু ও সদ্য বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম স্বপনকে পেছনে ফেলে নৌকার মনোনয়ন পান মোফাজ্জল।
রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদের আশ্বাস পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও ভোটের মাঠে থেকে গেছেন রেজাউল করিম স্বপন। তিনি লড়ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন রানা ও জাপার মেয়র প্রার্থী এসএম ওয়াহেদুল হাসান সেনা
দল থেকে বিভিন্ন সময় বঞ্চিত কয়েকজন নেতা-কর্মী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া একটি পক্ষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন পাচ্ছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম তপন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। দলের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে, তবে কোনো কোন্দল নেই। দিন শেষে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ বিজয় ছিনিয়ে আনবে।’
ভোটের মাঠে পিছিয়ে নেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন রানা এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী এসএম ওয়াহেদুল হাসান সেনা। তারাও ছুটছেন ভোটারদের কাছে নির্বাচনি প্রচারের জন্য।
এস এম ওয়াহেদুল হাসান বলেন, ‘জাপার চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের সংসদীয় আসন লালমনিরহাট সদর। সেখানে তার ক্লিন ইমেজ ও ভোটব্যাংক রয়েছে। দলীয় ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে জয়ী হতে চাই। আশা করি, পৌরবাসী নিরাশ করবে না।’
বিএনপির প্রার্থী সাবেক মেয়র মোশাররফ হোসেন রানা বলেন, ‘উঠান বৈঠকে লোক সমাগম হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় নির্বাচনে পৌরবাসী আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারও পৌরবাসী আমার সঙ্গে থাকলে জয়ী হবই।’
লালমনিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন চার জন। কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নয়টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৪৭ হাজার ৭৭৯। এর মধ্যে নারী ভোটার ২৪ হাজার ১৮২ ও পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৫৮৭ জন। এ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ১৮টি কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ১৫০টি।