বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবারও কি জয় পাবে ধানের শীষ

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:১৩

‘গতবার মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী ছিলাম। মাত্র ১৩ ভোটে হেরেছি। এবার অনেক সাড়া বেড়ে গেছে। জয় এবার আশা করছি।’

রাজশাহীর তানোর পৌরসভার গত নির্বাচনে মেয়র পদে মাত্র ১৩ ভোটে ধানের শীষের প্রার্থীর কাছে হেরেছিলেন নৌকার প্রার্থী। এবার তিনি জয়ের আশা করছেন। তবে ধানের শীষের প্রার্থীর আশা আবার তিনিই জয়ের মুখে দেখবেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে মেয়র পদে তিন জন প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপিতে আছেন বিদ্রোহী। তারপরও ভোটাররা বলছেন, লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষের।

১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত গ শ্রেণির এ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন বিএনপির (ধানের শীষ) প্রার্থী বর্তমান মেয়র উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল হক। এ ছাড়া স্বতন্ত্র (নারিকেল গাছ) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী তানোর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল মালেক।

প্রচারে কয়েক দিন নির্বাচনি এলাকা ছিল উৎসবমুখর। গণসংযোগ ও কর্মী-সমর্থকদের খণ্ড খণ্ড মিছিল, সমাবেশসহ পথসভা ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করেন প্রার্থীরা। শেষ সময়ে জয়-পরাজয়ের হিসাব কষছেন প্রার্থী ও ভোটাররা।

ভোটাররা বলছেন, প্রচারে সোচ্চার ছিলেন নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী। লড়াইটাও তাদের মধ্যেই হবে।

বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিগত সময়েও মানুষের পাশে ছিলাম, এখনও আছি। মানুষ আমাকে ভালোবাসে। মানুষের ভালোবাসায় আবারও মেয়র নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন। এলাকার উন্নয়ন করতে গিয়েও তিনি বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। এর পরও মানুষের পাশে থেকেছেন।

দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী তার ভোটের মাঠে কোনো ক্ষতি করতে পারবেন না দাবি করে মেয়র মিজান বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনিই জয়ী হবেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরুল হক বলেন, ‘আমাদের এখানে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। মাঠও ভালো আছে। আমি এর আগেও দুই বারের কউন্সিলর ছিলাম। গতবার মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী ছিলাম। মাত্র ১৩ ভোটে হেরেছি। এবার অনেক সাড়া বেড়ে গেছে। জয় এবার আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান মেয়র কোথাও কাজ করেননি। এলাকার উন্নয়ন হয়নি। জনগণ চাচ্ছে উন্নয়ন। এ জন্য এইবার আমি ভোট পাব। এবার বিজয়ী হব।’

বিএনপির বিদ্রাহী প্রার্থী আব্দুল মালেক বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। আমি তানোর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলাম, তানোর উপজেলা ছাত্র দলের সহসভাপতি ছিলাম।’

তিনি বলেন, তানোর পৌরসভা আবহেলিত। ন্যূনতম কাজ করেননি বর্তমানের মেয়র। এটিকে ভাগাড়ে পরিণত করেছেন। বিজয়ী হলে তানোরকে অধুনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ব।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুষ্মিতা রায় বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ভালো ভোট হবে।

পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের ১৩টি কেন্দ্রে ৬৮টি কক্ষে ভোট নেয়া হবে। মোট ভোটার ২৪ হাজার ৬৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩৮ জন ও নারী ১২ হাজার ৬২৯ জন।

এ বিভাগের আরো খবর