বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটের আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেয়া ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির প্রার্থী। একই অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী অবশ্য বলছেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। কাউকে বাধা দেয়া হয়নি।
এ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘ভোটের মাঠ এখনও ভালো আছে। তবে দুই-এক জায়গায় আওয়ামী লীগ আমাদেরসহ বিভিন্ন দলের কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাইতেছে।’
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ধানের শীষের বিজয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হকও। দলের প্রার্থীকে না মেনে ভোটে দাঁড়ানোয় জিয়াউল হক ও তিন নেতাকে কিছু দিন আগে অবশ্য বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
জিয়াউল বলেন, ‘নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। আমার সাধ্যমতো আমি চেষ্টা করছি প্রচার চালানোর।’
স্থানীয় সংসদ সদস্যও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন জানিয়ে জিয়াউল বলেন, প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের প্রচারআওয়ামী লীগের প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র শীল অবশ্য প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। কাউকেই প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে না। বানারীপাড়া পৌরসভায় আমি দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন করছি। উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ করেছি।’
তিনি দাবি করেন, দলীয় কর্মকাণ্ড এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে বানারীপাড়াবাসীর নৌকার প্রতি আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। তাই মানুষ নৌকাকে জয়ী করবেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে অবশ্য কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
বানারীপাড়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। কেন্দ্রে গিয়ে ভোট যেন ঠিকভাবে দিতে পারি।’
একই এলাকার বাসিন্দা তবিবুর হোসেন জানান, ‘আমরা তাকেই ভোট দেব, যে সভ্য ও ভদ্র। মানুষের পাশে থাকে, এমন মেয়র চাই।’
বানারীপাড়া পৌরসভায় তিন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ১২৭ জন। রোববার এখানে ভোট হবে ব্যালটে।