বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুলাদীতে বহিষ্কারেও অটল আ. লীগের বিদ্রোহী নেতা‍

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:৫১

দলের প্রার্থীকে না মেনে ভোটে দাঁড়ানোয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আহসান খান ও তার নয় সঙ্গীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। তারপরও ভোট থেকে না সরার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। কোনোভাবেই সরে দাঁড়াব না।’

বরিশালের মুলাদী পৌরসভায় ১০ বছর ধরে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগের শফিকুজ্জামান রুবেল। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেও দলের প্রার্থী তিনি। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আহসান খানের দাবি আগের মেয়র কোনো উন্নয়নই করেননি।

উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক দিদারুল বলেন, আগের মেয়র পৌরসভায় নানা উন্নয়ন করেছেন বলে থাকলেও আসলে সব মিথ্যা। রাস্তা ভাঙাচোরাসহ কোনো উন্নয়নই হয়নি এখানে।

তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার মানুষ আমাকে খুব ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসার ভোটেই আমি জয়ী হব। আমি নির্বাচিত হলে মুলাদীবাসীর কষ্ট লাঘবে সর্বদা কাজ করব।’

বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান রুবেল। তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে মুলাদী পৌরসভার অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। উন্নয়ন না হলে এ পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হতো না।’

তিনি দাবি করেন, প্রচার আর উঠান বৈঠকে নৌকার জোয়ার বইছে। সাধারণ মানুষ নৌকাকেই সমর্থন করছে। নৌকার বিজয় নিয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদী।

দলের প্রার্থীকে না মেনে ভোটে দাঁড়ানোয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আহসান খান ও তার নয় সঙ্গীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। তারপরও ভোট থেকে না সরার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। কোনোভাবেই সরে দাঁড়াব না।’

আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর এমন অবস্থানের কারণে নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এরই মধ্যে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

এ পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী দলের পৌর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম।

ভোটে সহিংসতার আশঙ্কা করেছেন বিএনপির প্রার্থীও। তিনি বলেন, ‘নৌকা বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে আমাদের ওপর চাপ না থাকলেও তারা নিজেরাই ঝগড়াঝাটি করছেন। আওয়ামী লীগ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ায় সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’

তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই জানিয়ে মামুন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে বিএনপি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।

মেয়র ছাড়া মুলাদী পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আট জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় ভোটারের সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৬১ জন। রোববার ১০ কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর