চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের এক নেতার ‘ভোট আগে থাকতি কইরে ফেলতি হবে’ এমন বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় শোকজ করা মেয়র প্রার্থীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে শোকজের জবাব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান কাদির। তার জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাকে শোকজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
আলমডাঙ্গা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে গত শুক্রবার একটি কর্মিসভার আয়োজন করেন কাদির। সেখানে আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের বক্তব্যের এক মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ মঙ্গলবার ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ওই ধরনের সভা-সমাবেশের আয়োজন করায় পৌরসভা নির্বাচনের বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন তারা। যেহেতু সভায় কাদির উপস্থিত ছিলেন, তাই এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী তার কাছেই ব্যাখা চাওয়া হয়।
ভবিষ্যতে তাকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতেও সতর্ক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১৪ ফেব্রুয়ারির ভোটে কাদির ছাড়াও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আরও দুই প্রার্থী। তারা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাবেক মেয়র মীর মহিউদ্দিন এবং জেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি সবেদ আলী।
ভিডিওতে যা বলেছিলেন দেলোয়ার
সেই কর্মীসভায় নেতা কর্মীদের দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোট করে ফেলতে হবে কেন্দ্রে আসার আগেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে পরিশ্রম করছি কিসির জন্যি? ভোটের জন্যি। এই ভোটগুলো কীভাবে বাড়ির কাছে আটকে দেব? গলির মদ্যি জামাত-বিএনপি।
‘টুক করে ভোটের আগের রাত্রি গলির মদ্যি বুলে আসতি হবে…তুই বাড়ির মদ্যিতি নড়বিনে। নড়লি তোর খবর আছে…ভোট করার কায়দা আছে, অনেক কায়দা আছে। ভোট আগে থাকতি কইরে ফেলতি হবে। সেন্টারে যায়ে ভোট হবে না।’
তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে দেলোয়ার দাবি করেন, তিনি ওই কথাগুলো বলেননি। ষড়যন্ত্র করে কেউ তার বক্তব্য পাল্টে দিয়েছে।