চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে।
শহরের আনন্দধামে ও কলেজপাড়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল প্রতীকের এম সবেদ আলীর নির্বাচনি অফিসের ভাঙচুর চালানো হয়।
এ ঘটনার পর তার কর্মীরা চাতালমোড়, কলেজপাড়া ও শেফা ক্লিনিকের পাশে ও গোবিন্দপুর হরিপাড়ায় নৌকা প্রতীকের হাসান কাদির গনুর চারটি নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় জখম হয় গনুর তিন সমর্থক।
হামলায় আহত আ. লীগের মেয়র প্রার্থী গনুর সমর্থক। ছবি: নিউজবাংলা
সবেদের অভিযোগ, নির্বাচনের শুরু থেকেই নৌকার প্রার্থীরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুটি নির্বাচনি অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তারা জাসদ নেতা নজরুল ইসলামের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
গনুর পাল্টা অভিযোগ, সবেদের কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ মিডেলের বাড়িতে ইট ছোড়ে ও গেটে কুড়াল জাতীয় অস্ত্র দিয়ে কোপায়। তারা বিপ্লব, রশিদ ও শাহীনকে কুপিয়ে মেরে জখম করে। তাদের প্রথমে শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সবেদ বলেন, ‘তারা নিজেরা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমাদের দোষারোপ করছে। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’
আ. লীগের মেয়র প্রার্থী গনুর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ জানান, এখনও কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি তিনি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির নিউজবাংলাকে জানান, হামলার ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে এখনও কেউ থানায় মামলা বা অভিযোগ করেনি। কাউকে আটক করা হয়নি।
নির্বাচনের আগে যেকোনো সংঘাত কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।