বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে প্রচার মাইক ভাঙচুর ও কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপির প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে আমি ও আমার পরিবার আজ অসহায় হয়ে পড়েছি। কেউ আমার সাথে দেখা বা কথা বললে তাদের হুমকি-ধমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি আমি নির্বাচনি প্রচারে শহরের কেবি এলাকায় গেলে শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর চড়াও হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের মারপিট করা হয়। ২৯ জানুয়ারি আমার প্রচার মাইক ও রিকশা ভাঙচুর করা হয়। এ সময় রিকশাচালককেও মারপিট করা হয়। এ ছাড়া ১৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে না পেয়ে আমার মা ও বোনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসব বিষয়ে আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মোল্লাসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে বিএনপি প্রার্থীর করা সব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, এ পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর ভরাডুবি হবে বুঝতে পেরে তারা অপপ্রচারের আশ্রয় নিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজুবুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরাজি বেনজির আহমেদ বলেন, এ পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব প্রার্থী শান্তিপূর্ণভাবে তাদের নির্বাচনি প্রচার চালিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মেয়র প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল আমার কাছে লিখিত কিছু অভিযোগ দিয়েছিলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
১৪ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান হাবিবুর রহমান নৌকা ও বিএনপির প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন।
কাউন্সিলর পদে ২০ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ভোটার ৩৮ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৯ হাজার ৭৭৯ জন ও পুরুষ ভোটার ১৮ হাজার ৪২১ জন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট কেন্দ্রসংখ্যা ১৫টি।