বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভোট আগে থাকতি কইরে ফেলতি হবে, স্যান্টারে যায়ে হবে না’

  • জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা   
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:২৫

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আলমডাঙ্গা উপজেলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে আগের রাতে ভোট দেয়ার কৌশল শেখাতে দেখা গেছে।

‘ভোট করার কায়দা আছে, অনেক কায়দা আছে। ভোট আগে থাকতি কইরে ফেলতি হবে। স্যান্টারে যায়ে ভোট হবে না।’

মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিওতে পৌর নির্বাচনের ভোট নিয়ে এসব কথা বলতে দেখা গেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে।

তবে দেলোয়ার জানান, ভিডিওটি তার হলেও ওই বক্তব্যগুলো তার নয়; সেগুলো পরে সংযোজন করে দেয়া হয়েছে।

আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের হাসান কাদির। আলমডাঙ্গা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে তিনি গত শুক্রবার একটি কর্মিসভার আয়োজন করেন। সেখানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার।

তার বক্তব্যের ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি মঙ্গলবার ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।

ওই ভিডিওতে দেলোয়ারকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা বিএনপি বা জামায়াত করে তাদের ঘর থেকি বাইর হতি দেয়া যাবে না। তাদের বলতি হবে তুই হচ্চে রাজাকার, তুই হচ্চে জামাত। ঘর থেকি নড়বিনি। নড়লি খবর আচে। এমন করি যদি তাদের আটকানু যায়, তাইলি আমাদের ৫০০ ভোট তা থেকিই গেল।”

এরপর তিনি আগের রাতে ভোট দেয়ার কৌশল সেখান কর্মীদের। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা এখানে পরিশ্রম করছি কিসির জন্যি? ভোটের জন্যি। এই ভোটগুলো কীভাবে বাড়ির কাছে আটকে দেব? গলির মদ্যি জামাত-বিএনপি।

‘টুক করে ভোটের আগের রাত্রি গলির মদ্যি বুলে আসতি হবে…তুই বাড়ির মদ্যিতি নড়বিনে। নড়লি তোর খবর আছে…ভোট করার কায়দা আছে, অনেক কায়দা আছে। ভোট আগে থাকতি কইরে ফেলতি হবে। সেন্টারে যায়ে ভোট হবে না।’

ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে দেলোয়ার বলেন, ‘ভিডিওর বক্তব্য রাখা ব্যক্তিটি আমি। কিন্তু আমার বক্তব্য সরায় নতুন করে বক্তব্য বসানো হইছে।’

তিনি দাবি করেন, তিনি ওই কথাগুলো বলেননি। ষড়যন্ত্র করে কেউ তার বক্তব্য পাল্টে দিয়েছে।

তার এই ভিডিও সম্পর্কে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মীর মহিউদ্দিন বলেন, মানুষ এখন অনেক সচেতন। কারও হুমকিতে তারা বাড়িতে বসে থাকবে না।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সবেদ আলী বলেন, ‘আমি তার দেয়া হুমকিতে ভয় পাই না। ভালোবাসা দিবসে আলমডাঙ্গার মানুষ ভালোবেসে আমাকে ভোট দেবেন।’

এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বলেন, ভিডিওটি নিয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গা পৌরসভায় হবে ভোট। মেয়র পদের জন্য লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির, জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মীর মহিউদ্দিন ও জেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি সবেদ আলী।

এ বিভাগের আরো খবর