ঠাকুরগাঁও পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অফিসে ককটেল বিস্ফারণের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দলটির জেলা কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাংশ দত্ত টিটো দলের কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিচতলায় একটি ককটেল ও পরে দ্বিতীয়তলায় আরেকটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। ককটেল দুটি বিস্ফোরিত হলে আশাপাশ এলাকা ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায়। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসিনুর বলেন, ‘আমরা রিকশা চালাই। আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ কানে আসে। তখন নেতা-কর্মীদের নিচে নামতে দেখি।’
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণে দেখা দিয়েছে পৌর নির্বাচনে উত্তেজনা। ছবি: নিউজবাংলা
পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ ও তার সমর্থকরা জড়িত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের নেতা-কর্মীদের দিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। তার দায় আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ও আর্ট গ্যালারি এলাকায় পুড়ে যাওয়া নৌকার নির্বাচনি অফিস পরির্দশন করেছি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ইভিএমে ভোট নেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, বিএনপির শরিফুল ইসলাম শরিফ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।