টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় হয়েছে আরেকটি মামলা। এ মামলায় আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু।
সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ওই ঘটনার পর থেকে গোপালপুরের পরিস্থিতি থমথমে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত খলিলের বাবা নছিম উদ্দিন সোমবার রাতে হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রকিবুল হক ছানার সমর্থক রফিকুল ইসলাম হীরা আরেকটি মামলা করেন। এ মামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার গিয়াস উদ্দিনের আট সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আট জন হলেন হুমায়ুন কবির, শেখ ফরিদ, রাজু আহমেদ, আল আমিন, ফরিদ, সাহেব আলী, সেলিম মিয়া ও মঞ্জুর হক।
সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা চেয়ার
এ বিষয়ে গিয়াস জানান, সোমবার সন্ধ্যায় তার বাসা থেকে ওই আট জনকে পুলিশ আটক করে। পরে তাদের আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু জানান, ময়নাতদন্ত শেষে খলিলের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় দুটি মামলার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গোপালপুর বাজারের কাছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের বাসা ঘেরাও করেন।
খবর পেয়ে গিয়াসের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে তার বাসার কাছে আসার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় গিয়াসের সমর্থক খলিলকে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।