চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। পৌর এলাকার হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত ওই কার্যালয়ে রোববার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে হামলার ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও রিটার্নিং কর্মকর্তা।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম জানান, রাতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাজাহান কবীরের সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচনি সভা চলছিল। সে সময় ৪০ থেকে ৫০টি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন ব্যক্তি জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে কার্যালয়ের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
এতে আতঙ্কিত হয়ে কার্যালয় বন্ধের চেষ্টা করেন সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। তখন দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক ছড়ালে তারা সরে যান। সেই সুযোগে কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। এরপর তারা চলে গেলেও প্রায় ১৫ মিনিট পর আবার ফিরে এসে কার্যালয়ের বাইরের ব্যানার-পোস্টারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তাজুল বলেন, ‘পরে আমার পোস্ট অফিস পাড়ার বাসায় হামলা চালায় ওরা। রামদা ও হাঁসুয়া উঁচিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হুমকি দেয়। পরে আবার বাসস্ট্যান্ডের মুরগি বাজারে পটকা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তারা।’
এই হামলা নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা চালিয়েছেন দাবি করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাজাহান কবীর বলেন, ‘আমাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে। তারা জোর করে নির্বাচনে জয় পাওয়ার চেষ্টা করছে।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে বোমা মারার কোনো আলমত পাওয়া যায়নি। হামলার কোনো অভিযোগ এখনও কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকনও জানান, কেউ হামলার অভিযোগ করেনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি জীবননগন পৌরসভার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে।