বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভিএমে ভয় লালমনিরহাটের প্রার্থীদের

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:২৮

প্রার্থী ও ভোটাররা জানান, এতদিন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন পৌরবাসী। ইভিএম তাদের কাছে নতুন। হাতে কলমে ভোট দেয়া শেখানো না হলে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন তারা।

দেশে চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে লালমনিরহাট সদরে ভোট আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। পৌরসভাটিতে এবারই প্রথম ভোট নেয়া হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

নতুন পদ্ধতিতে ভোট দেয়া নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ, উৎসাহের সঙ্গে রয়েছে উদ্বেগও। শঙ্কা আছে প্রার্থীদের মাঝেও। তারা বলছেন, ঠিকমতো শেখানো না হলে ভোট দিতে সমস্যায় পড়বেন পৌরবাসী।

প্রার্থী ও ভোটাররা জানান, এতদিন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন পৌরবাসী। ইভিএম তাদের কাছে নতুন। হাতে কলমে ভোট দেয়া শেখানো না হলে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন তারা।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা বেশি হবে বলে মনে করেন অনেকে। তারা জানান, বৃদ্ধদের আঙুলের ছাপ ইভিএমে নাও মিলতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে জ্ঞান কম থাকায় সেক্ষেত্রে তারা সমস্যায় পড়বেন।

ইভিএম নিয়ে শঙ্কা থাকলেও প্রচার থেমে নেই। শেষ মুহূর্তে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ইভিএমে ভোট কীভাবে দিতে হবে প্রচারে সে বিষয়েও জোর দিচ্ছেন অনেক প্রার্থী।

লালমনিরহাট পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোস্তাফিজার রহমান জানান, পৌরসভার ভোটারদের ইভিএম সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কৌতুহল রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে সমস্যা হলে পোলিং এজেন্টরা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেন। শেখানো নামে এজেন্টরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে দিতে পারেন। এ কারণে আগে থেকেই ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের ধারণা দিতে হবে।

তিন নম্বর ওয়ার্ডের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমার কোনো ধারণা নাই। ইভিএম নিয়ে আগে থেকেই প্রচার করা দরকার। মানুষকে বোঝানো দরকার কীভাবে ভোট দিতে হবে। তাহলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে মানুষ সঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন।’

দুই নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী রাশেদুল হাসান রাশেদ বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকে ইভিএমের বিষয়টিই বোঝেন না। এই ভোটদান পদ্ধতি নিয়ে সরকার আগে থেকে প্রচার করলে ভালো হতো।

‘তবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। ১০ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে আমার ওয়ার্ডে ভোটারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাবে নির্বাচন কমিশন। আশা করি, ভোটাররা সঠিক জায়গায় ভোট দিতে পারবেন।’

এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন জানান, ইভিএমে প্রথম ভোট হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। তারা ব্যক্তিগতভাবে ইভিএমে ভোট দেয়ার বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করছেন। নির্বাচন কমিশনও এ বিষয়ে কাজ করছে।

নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি লালমনিরহাট পৌরসভাকে একটি আধুনিক ডিজিটাল পৌরসভায় রূপান্তর করতে চাই। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।’

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন বলেন, ‘ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ না থাকলেও দুই-এক জন সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

লালমনিরহাটকে একটি আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তরিত করবেন বলেও জানান তিনি।

লালমনিরহাট পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম জানান, ইভিএম নিয়ে প্রচার খুব শিগগিরই শুরু হবে। উদ্বেগের কোনো কিছু নেই। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রতি সেন্টারে মক ভোটিং কার্যক্রম চলবে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি।লালমনিরহাট পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৪৭ হাজার ৭৬৯ জন। এ পৌরসভার ১৮টি কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ১৫০টি। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচ জন। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে লালমনিরহাট সদরে ইভিএমে ভোট নিয়ে শঙ্কা থাকলেও সেই ভয় নেই পাটগ্রাম পৌরসভায়। এ পৌরসভায় ভোট হবে ব্যালটে। নতুন প্রযুক্তির সমস্যা না থাকলেও ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল বলেন, ‘বর্তমানে পাটগ্রাম পৌরসভার নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, এই পরিবেশ ঠিক থাকে কি না।’

এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম সুইট বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রয়েছে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। আমি পাটগ্রাম পৌরসভায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাব।’পাটগ্রাম পৌরসভায় ভোটারের সংখ্যা ২১ হাজার ৮৫৫ জন। এ পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী চার জন। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ২৫ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে পাঁচ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর