নির্বাচনে এলাকাবাসীর ভোট নিজের দিকে টানতে ঠাকুরগাঁওয়ে সারা দিন চলছে প্রচার। মেয়র, কাউন্সিলর সব প্রার্থীই বারে বারে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি।
এতে বিরক্ত হয়ে এক বাসিন্দা তার বাড়ির ফটকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন নোটিশ।
সেখানে লেখা রয়েছে, ‘এই পৌরসভায় আমাদের ভোট নেই। তাই ভোট চাইতে এসে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।’
১৪ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের প্রচার থেকে বাঁচতে এই অভিনব কাজ করেছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফেরদৌস আরা।
এই পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী তিনজন। আর ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আটজন ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী ছয়জন।
নোটিশ দেখে ফেরদৌস আরার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি নিউজবাংলার প্রতিবেদকের সঙ্গেও কথা বলেননি।
২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘দুপুর হলেই প্রার্থীদের মাইকের শব্দে থাকা যায় না। একটু বিশ্রাম নেবেন, সেই সময় কলবেল বেজে ওঠে। দরজা খুললেই প্রার্থীর লোকজন হাতে একটা প্রতীকের ছবি ধরিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ঠাকুরগাঁও জেলার সভাপতি প্রবীণ শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দে বলেন, ‘প্রার্থীরা পৌর উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য পৌর শহর বাস্তবায়ন করতে হলে কী কী করবেন, তা কেউই সঠিকভাবে তুলে ধরছেন না।
‘ভোটের আগে সব প্রার্থীই নিজেকে সৎ, যোগ্য, অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে নির্ভীক, সমাজসেবক দাবি করে ভোট চাইছেন। ভোট পেরোলেই এসব চেতনা হারিয়ে যায়।’