ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারে নৌকার জোয়ার চলছে। নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে শত শত কর্মী-সমর্থক দেখা যায়। তবে ভাটা যাচ্ছে ধানের শীষের প্রচারে। বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে থাকেন হাতে গোনা কয়েকজন।
ভোটাররা বলছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যেই লড়াই হবে।
এখানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. তাকজিল খলিফা কাজল। বিএনপির প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু।
তা ছাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল হক ভূঁইয়া নারিকেল গাছ ও যুবলীগ নেতা মো. শফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিন্ন ভিন্ন কৌশল নিয়ে মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। কেউ গাইছেন গান, আবার কেউবা বিক্রি করছেন নৌকা প্রতীকের কোট পিন। আর ভোটারদের বাড়িতে সকাল হতে না হতেই ঢুঁ মারছেন প্রার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
নৌকার প্রার্থীর ভোট চাইতে গিয়ে বীণা ঘোষ নামের এক নারী অনেকের দৃষ্টি কেড়েছেন। তিনি মাইকে ‘ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে কাজল ভাইয়ের নাও’, ‘ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নাও’, গান গেয়ে ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।বীণা ঘোষ পৌরসভার রাধানগর এলাকার বাসিন্দা। নৌকার প্রার্থীর বাড়ির পাশেই তার পৈতৃক ভিটা। শুধু বীণা ঘোষ নন, তার সন্তানরাও নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।
তাকজিল খলিফার ছোট ভাই নেসার আহমেদ খলিফা বলেন, ‘বীণা ঘোষ বেশ আন্তরিক। তার গানের গলাও ভালো। প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে তিনি গানের মাধ্যমে ভোট চাইছেন। এলাকার মানুষও বিষয়টি বেশ উপভোগ করছেন। আমাদেরও ভালো লাগছে।’
এদিকে বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদিন আব্দুর প্রচারে ভাটা চলছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, বিএনপির পৌর কমিটি বিতর্কিত হওয়ায় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত। দলীয় কোন্দলের কারণে ধানের শীষের প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে খুব বেশি মানুষ থাকছেন না।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাকজিল খলিফা কাজলের সঙ্গে শত শত কর্মী-সমর্থক থাকেন। সেখানে জয়নাল আবেদিন আব্দু গুটি কয়েক লোক নিয়ে ভোট চাইতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি।কর্মী-সমর্থকের খরার বিষয়ে জয়নাল আবেদিন আব্দু অন্য কথা বলেন। তার অভিযোগ, ‘অনেকটা ভয়ভীতি নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। যেকোনো সময় তাকজিল খলিফা কাজলের সমর্থনকারীদের দ্বারা হামলার শিকার হওয়া শঙ্কা রয়েছে। তাই আমার নির্বাচনী প্রচারে অনেকটা ভাটা পড়ে গেছে।’এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৌর কমিটি নিয়ে অনেকটাই বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বিএনপিতে। তাই সবাই এক হয়ে কাজ করছে না। তবে জেলা কমিটির নেতারা চেষ্টা চালাচ্ছেন এই কোন্দল কাটিয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে।