চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ময়মনসিংহের ফুলপুরে নির্বাচনি আমেজে প্রার্থী-ভোটাররা কাটাচ্ছেন সময়। কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
সেই প্রচারে সমানে সমান এগিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা। কারো বিরুদ্ধে নেই কোনো অভিযোগ। দিচ্ছেন ভোটারদের উন্নয়নের ফিরিস্তি।
ভোটারদের দাবি, প্রতিশ্রুতি নয়, তারা চান শতভাগ নাগরিক সুবিধার নিশ্চয়তা।
অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশনও।
২০০১ সালে গঠিত ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভায় ভোটার ২২ হাজার ৯৩৪ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌর নির্বাচনি প্রচারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শশধর সেন
সাধারণ ভোটারা জানান, বিগত সময়ে এই পৌরসভায় উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মত। পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট পাকা হয়েছে। কাঁচা রাস্তা নেই বললেই চলে, রাস্তা পৌরসভার একটি উল্লেখ যোগ্য উন্নায়নের অংশ।
তবে পৌরসভায় এখনো বিদ্যুৎ ও পয়নিষ্কাশন সমস্যা রয়েছে বলেও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। আর আগামী নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছে এসন সমস্যা সমাধান করে নাগরিক সুধিবার শতভাগ নিশ্চিয়তার দাবি জানান ভোটাররা। যারা নাগরিক সুযোগ সুবিধার জন্য কাজ করবে আমরা তাদের নির্বাচিত করার কথাও জানান তারা।
বিগত পাঁচ বছরে ফুলপুর পৌর এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি করেন বর্তমান মেয়র বিএনপির আমিনুল ইসলাম।
বলেন, ‘বিগত সময়ে আমি পৌরসভায় দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছি। মানুষের পাশে থেকেছি। সেই উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে আমি কাজ করবো। জনগণ আমাকে ভোট দেবেন।’
নির্বাচনি পরিবেশ এখন পর্যন্ত খুব ভালো বলেছেন তিনি। কোনো প্রার্থী বা কারও বিরুদ্ধে তাই অভিযোগও নেই আমিনুল ইসলামের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারে এখনও কোনো বাধার মুখে পড়িনি। শেষ পর্যন্ত এমন পরিবেশ থাকলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হব।’
জোর প্রচারে ব্যস্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী শশধর সেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকার জন্য মনোনীত করেছেন, সারা দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের উন্নায়নে বিশ্বাসী, তারা এ সরকারের উন্নায়নে ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকাকে বিজয়ী করছে, ফুলপুরের মানুষও নৌকাকে বিজয়ী করবে।’
প্রচারে বিএনপির প্রার্থী আমিনুল ইসলামও দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি
তিনি জানান, পৌরসভায় কোনো পার্ক নেই, কবরস্থান নেই। নির্বাচিত হতে পারলে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, ড্রেনেজের পাশাপাশি এসব সমস্যারও সমাধান করবেন তিনি।
নতুন নতুন উন্নয়নের পতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছেন স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী। জগ প্রতীকে ভোট চাইছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নারকেল গাছ প্রতীকের রকিবুল হাসান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের এ এইচ এম ইউসুফ।
ফুলপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা সৈয়দা আশুরা আক্তার খাতুন জানান, ফুলপুরবাসীকে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছেন তারা। এখনও কোথায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কেউ যদি নির্বাচনি আচরণবিধি লংঘন করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।