দেশে চতুর্থ দফায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীরা প্রচারে সরব।
এখানে নির্বাচনী প্রচার পরিবেশ নিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ ও এর বিদ্রোহী প্রার্থী।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ প্রার্থী রয়েছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র শামসুল হক, বিএনপির শাহ জালাল ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এম এম জাহাঙ্গীর আলম।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের পরিবেশ ইতিমধ্যে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। পৌরসভার অলিগলিতে পোস্টার টাঙানো হয়েছে। বিকেলে প্রচার শুরু হলে নানা স্লোগান শোনা যায়। গানের মাধ্যমে চাওয়া হয় ভোট। আর প্রার্থীরা ঘুরছেন পাড়া-মহল্লায়।
সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এবারের পৌরসভা নির্বাচনে উন্নয়ন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতিমুক্ত পৌর কাউন্সিল গঠন এবং বিভিন্ন দলমত ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সহাবস্থানকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এম জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। বাইরে থেকে লোকজন এনে এসব করা হচ্ছে। আমার পক্ষে যারা প্রচার চালাচ্ছেন, তাদের গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশসানের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় আমি মৌখিকভাবে এসব অভিযোগ করেছি।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হক পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী যেসব অভিযোগ করছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে নির্বাচনের পরিবেশকে তিনি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি (এম এম জাহাঙ্গীর আলম) আওয়ামী লীগ করতেন, দলের বাইরে তার এমন কোনো কর্মকাণ্ড নেই যে ভোটাররা তাকে ভোট দেবে। দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির প্রার্থী শাহ জালাল বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। কোথাও কোনো হামলা বা ভয়ভীতির অভিযোগ তিনি পাননি।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মোট ভোটারসংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৮০৬ জন ও নারী ৯ হাজার ১৫৯ জন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমে ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।