বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগ ৪৫, স্বতন্ত্র ১৪, বিএনপি ৩

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০২:৪৮

যেখানে আওয়ামী লীগ জিতেছে, তার বেশিরভাগে ভোটের ব্যবধান দেখা গেছে অনেক বেশি। এর মধ্যে ফেনী পৌরসভায় জয়ের ব্যবধান হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বিএনপির তুলনায় ৬৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল। এর মধ্যে নয়টি কেন্দ্রে ঘটেছে অস্বাভাবিক ঘটনা। বিএনপির পক্ষে কোনো ভোটই পড়েনি সেখানে। কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপির প্রার্থীরা মোট নয়টি পৌরসভায় ভোট বর্জন করেন দিনের নানা সময়।

কোথাও ভোটার উপস্থিতি, কোথাও বর্জন, কোথাও সংঘাত, কোথাও জাল ভোটের মধ্য দিয়ে তৃতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনেও প্রথম দুই ধাপের মতোই বড় জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

শনিবারে ভোটে ৬২ পৌরসভার মধ্যে বিএনপি জিতেছে কেবল তিনটিতে। ১৪টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যাদের ১০ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন। বাকি ৪৫টিতেই জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

যেখানে আওয়ামী লীগ জিতেছে, তার বেশিরভাগে ভোটের ব্যবধান দেখা গেছে অনেক বেশি। এর মধ্যে ফেনী পৌরসভায় জয়ের ব্যবধান হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বিএনপির তুলনায় ৬৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল। এর মধ্যে নয়টি কেন্দ্রে ঘটেছে অস্বাভাবিক ঘটনা। বিএনপির পক্ষে কোনো ভোটই পড়েনি সেখানে।

কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপির প্রার্থীরা মোট নয়টি পৌরসভায় ভোট বর্জন করেন দিনের নানা সময়।

এর আগে ২৮ ডিসেম্বর ও ১৬ জানুয়ারি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপেও আওয়ামী লীগ বড় জয় পেয়েছিল। তবে এবারের মতো এত বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হননি।

শনিবার ভোট হওয়ার কথা ছিল ৬৪ পৌরসভায়। এর মধ্যে একটিতে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এবং একটিতে মেয়র প্রার্থী মারা যাওয়ায় ভোট হয়েছে ৬২ টিতে।

সকাল আটটায় ভোট শুরুর পর বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের লাইন দেখা গেলেও কোথাও কোথাও ফাঁকাও দেখা গেছে। তবে কুয়াশা কেটে গেলে আবার ভোটার ফিরেছে বহু এলাকায়।

প্রথম ধাপের ২৪ পৌরসভায় সবগুলোতে এবং দ্বিতীয় ধাপের ৬০ পৌরসভায় অর্ধেক কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট হলেও এবার সবগুলোতে ভোট নেয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে। বিতর্ক এড়াতে দ্বিতীয় ধাপের মতো এবারও কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয়েছে সকালে।

কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুরে।

জাল ভোট দেয়ায় টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এক যুবলীগ কর্মীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

কোথায় কে জিতল?

রংপুর বিভাগ

দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌরসভায় টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের জামিল হোসেন চলন্ত। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৯২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী পেয়েছেন চার হাজার ৯৩৭ ভোট।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করে জয় পেয়েছেন মুকিতুর রহমান রাফি। তিনি ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ১৪৯। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফারুক আহমেদ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৯৪ ভোট। আওয়ামী লীগের খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯ ভোট।

কুড়িগ্রাম উলিপুরে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী মামুন সরকার মিঠু। ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬৭। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হায়দার আলী মিঞা পেয়েছেন ৭ হাজার ৪১৩ ভোট।

নীলফামারীর জলঢাকায় জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াছ হোসেন বাবলু। পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট পান ১০ হাজার ৬০৮ ভোট।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভায় ভোট দিচ্ছেন একজন ভোটার

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহীর মুন্ডুমালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান জিতেছেন পাঁচ হাজার ৪৫৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমিন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৯৮ ভোট।

কেশরহাট পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শহিদুজ্জামান শহিদ। ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ৯১৪টি। নিকটতম বিএনপির খুশবর রহমানের ধানের শীষে পড়েছে এক হাজার ৩২৫ ভোট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিউর রহমান খান। ভোট পেয়েছেন সাত হাজার ৬২৭। নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস পেয়েছেন সাত হাজার ৬২ ভোট।

নওগাঁ পৌরসভায় টানা তৃতীয় জয় পেয়েছেন বিএনপি নেতা নজমুল হক সনি। তার ধানের শীষে ভোট পড়ে ২৯ হাজার ২৬৯ টি। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নির্মল কৃষ্ণ সাহার নৌকায় ভোট পড়েছে ২৪ হাজার ৯৪৪টি।

একই জেলার ধামইরহাটে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের আমিনুর রহমান।

তিনি ভোট পেয়েছেন সাত হাজার ৯৮৩। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী চপল পেয়েছেন তিন হাজার ৪৯ ভোট।

নাটোরের সিংড়ায় টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪২১ ভোট। নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী তায়জুল ইসলাম পেয়েছেন এক হাজার ৩১২ ভোট।

পাবনা পৌরসভায় নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ১২২ ভোটে হারিয়েছেন একই দল থেকে বিদ্রোহী হয়ে লড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ উদ্দিন প্রধান।

শরীফ উদ্দিন প্রধান পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৬৯ ভোট। আওয়ামী লীগের আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৪৭ ভোট।

বগুড়ার শিবগঞ্জে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ১২ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে জিতেছেন তৌহিদুর রহমান মানিক। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মতিয়ার রহমান মানিক পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬৬ ভোট।

কাহালু পৌরসভায় জিতেছেন বিএনপির আব্দুল মান্নান। ভোট পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩২১টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হেলাল উদ্দিন কবিরাজ পেয়েছেন চার হাজার ২৯০ ভোট।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় একটি কেন্দ্রের সামনে নারীদের দীর্ঘ লাইন

ধুনটে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এজিএম বাদশাহ। তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিন হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের টিআইএম নুরুন্নবী তারিক পেয়েছেন দুই হাজার ৯৩২ ভোট।

গাবতলী পৌরসভায় মেয়র হয়েছেন বিএনপির সাইফুল ইসলাম। পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৫৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোমিনুল হক শিলু পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১১৬ ভোট।

নন্দীগ্রাম পৌরসভার জিতেছেন আওয়ামী লীগের আনিছুর রহমান। ভোট পেয়েছেন সাত হাজার ৬৬৯। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সুশান্ত কুমার সরকার শান্ত পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৮৮ ভোট।

খুলনা বিভাগ

খুলনার পাইকগাছায় টানা তৃতীয় জয়ে হ্যাট্ট্রিক করেছেন আওয়ামী লীগের সেলিম জাহাঙ্গীর। ভোট পেয়েছেন আট হাজার ৩৬৫টি। দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির নেতা প্রশান্ত কুমার মণ্ডল। ভোট পেয়েছেন এক হাজার ৬২৩টি।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় টানা তৃতীয়বার মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের মতিয়ার রহমান। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাবিবুর রহমান পেয়েছেন এক হাজার ৯১ ভোট।

যশোরের মণিরামপুরে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কাজী মাহামুদুল হাসান। ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শহীদ ইকবাল হোসেন পেয়েছেন এক হাজার ৭০০ ভোট।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সহিদুজ্জামান সেলিম জিতেছেন আট হাজার ৩৪২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এস কে এম সালাহউদ্দীন বুলবুল সিডল পেয়েছেন সাত হাজার ১২৮ ভোট।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভায় একটি কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি

একই জেলার হরিণাকুন্ডুতে জয় পেয়েছে নৌকা। সাত হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের ফারুক হোসেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম টিপু পেয়েছেন চার হাজার ৯১৩ ভোট।

নড়াইল পৌরসভায় প্রথম এক নারী মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হয়ে জিতেছেন আনজুমান আরা। পেয়েছেন ১৯ হাজার ২৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জুলফিকার আলী পেয়েছেন তিন হাজার ৬২৬ ভোট।

একই জেলার কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ওয়াহিদুজ্জামান হীরা ১২ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ওহিদুজ্জামান মিলু পেয়েছেন ৬২৬ ভোট।

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান বুলবুল ১৩ হাজার ৪৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা পেয়েছেন মাত্র এক হাজার ৬৮৮ ভোট।

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনিরুল হক তালুকদার।

বরিশাল বিভাগ

১৪ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়ে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভায় বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ খান। নিকটতম প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের শাহজালাল পেয়েছেন ৯২৪ ভোট।

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র তৃতীয়বারের মতো জিতেছেন আওয়ামী লীগের হারিছুর রহমান হারিছ। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৭২ ভোট। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান পেয়েছেন ৬৭৯ ভোট।

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভায় একটি কেন্দ্রে ভোটারের লাইন চলে আসে মহাসড়কে

একই জেলার মেহেন্দিগঞ্জে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কামাল উদ্দিন খান। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ১৫১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের জাহাঙ্গীর হোসেন খোকন পেয়েছেন দুই হাজার ৪৪১ ভোট।

বরগুনা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ জিতেছেন নয় হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ছয় হাজার ৯০৩ ভোট।

একই জেলার আরেক পৌরসভা পাথরঘাটাতেও জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আকন পেয়েছেন ছয় হাজার ৬৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমান খান পেয়েছেন দুই হাজার ২৩২ ভোট।

ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম ৭ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনিরুজ্জামান কবির পেয়েছেন ৬৬২ ভোট।

দৌলতখান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের জাকির হোসেন তালুকদার পাঁচ হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে তৃতীয় বারের মতো জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ার হোসেন কাকন পেয়েছেন ৮৩০ ভোট।

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে আওয়ামী লীগের গোলাম কবির টানা দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন তিন হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুর রহমান খান পেয়েছেন তিন হাজার ১৪৪ ভোট।

ময়মনসিংহ বিভাগ

শেরপুরের নকলায় দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের হাফিজুর রহমান লিটন ১২ হাজার ৬ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মিজানুর রহমান (নারিকেল গাছ) পেয়েছেন চার হাজার ১৫০ ভোট।

একই জেলার নালিতাবাড়ী পৌরসভায় ১২ হাজার ৯৫৬ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবু বক্কর সিদ্দিক। বিএনপির আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন দুই হাজার ৪১১ ভোট।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের আলাল উদ্দিন আলাল জিতেছেন ১১ হাজার ১২৩ ভোট পেয়ে। বিএনপির জামাল উদ্দিন পেয়েছেন এক হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে।

ময়মনসিংহে ভালুকা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম জিতেছেন ১৩ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হাতেম খান পেয়েছেন চার হাজার ১০৯ ভোট।

একই জেলার ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভায় জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার। ভোট পেয়েছেন নয় হাজার ৩৭। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান পেয়েছেন সাত হাজার ৯৬০ ভোট।

গৌরীপুর পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে জিতেছেন সাত হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম হবি পেয়েছেন সাত হাজার ২৬৬ ভোট।

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনিরউদ্দিন মনির। ভোট পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৯৯। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফয়জুল কবির তালুকদার পেয়েছেন তিন হাজার ৪৭১ ভোট।

ঢাকা বিভাগ

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের ফয়সাল বিপ্লব। পেয়েছেন ২৭ হাজার ২৭৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন দুই হাজার ৬০৪ ভোট।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভায় টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত উসমান। ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৪৬। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তোফাজ্জল হোসেন খাঁন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৯৫ ভোট।

টাঙ্গাইলের পাঁচটি পৌরসভা নির্বাচনের সবগুলোতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা বড় জয় পেয়েছেন।

টাঙ্গাইল পৌরসভায় এসএম সিরাজুল হক আলমগীরের নৌকায় ভোট পড়েছে ৬৬ হাজার ৬১৭ টি। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু পেয়েছেন ২২ হাজার ৯০০ ভোট।

সখীপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাত হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সানোয়ার হোসেন সজিব পেয়েছেন সাত হাজার ৫৪৪ ভোট।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় ১৬ জানুয়ারি স্থগিত একটি কেন্দ্রেও ভোট হয় শনিবার। এতে জয় হয় আওয়ামী লীগের

মির্জাপুরে নৌকা প্রতীকের সালমা আক্তার ১২ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি শফিকুল ইসলাম পেয়েছন দুই হাজার ৯২৪ ভোট।

ভূঞাপুরে টানা তৃতীয় জয়ে হ্যাটট্রিক করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ। তিনি নয় হাজার ৪১৩ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন চার হাজার ৪১৩ ভোট।

মধুপুর পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা নিয়ে লড়া সিদ্দিক হোসেন খান। পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৯২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল লতিফ পান্না পেয়েছেন এক হাজার ৬৫১ ভোট।

রাজবাড়ীর পাংশায় আওয়ামী লীগ ওয়াজেদ আলী মণ্ডল জিতেছেন ১১ হাজার ১৬১ ভোট পেয়ে। চার হাজার ২৪৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুল হক ফরহাদ।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পৌরসভার জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল বাশার চোকদার। পেয়েছেন তিন হাজার ৮৮৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আব্দুল মান্নান হাওলাদার পেয়েছেন দুই হাজার ৩৩৮ ভোট।

জাজিরায় জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস মিয়া। পেয়েছেন ছয় হাজার ৬০৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আব্দুল হক কবিরাজ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৭৪ ভোট।

নড়িয়ায় জিতেছেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ। পেয়েছেন ১২হাজার ৮৭৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সৈয়দ রিন্টু পেয়েছেন ৪৫৪ ভোট।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন আওয়ামী লীগের তোজাম্মেল হক টুটুল।

সিলেট বিভাগ

সিলেটের জকিগঞ্জে দুই ভোটের ব্যবধানে এখানে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আহাদ। তিনি ভোট পেয়েছেন দুই হাজার ৮৩। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমদ পেয়েছেন দুই হাজার ৮১ ভোট।

একই জেলার গোলাপগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রাবেল জিতেছেন পাঁচ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপুল পেয়েছেন চার হাজার ৫৫৮ ভোট।

মৌলভীবাজার পৌরসভায় টানা দ্বিতীয় জয় পাওয়া আওয়ামী লীগের ফজলুর রহমান পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭০০ ভোট। ভোটের আগের দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো বিএনপি নেতা অলিউর রহমানের ধানের শীষে পড়ে তিন হাজার ৭৩২ ভোট।

চট্টগ্রাম বিভাগ

কুমিল্লার বরুড়ায় ১০ বছর পর বরুড়ায় হারল বিএনপি। টানা দুইবারের মেয়র জসিম উদ্দিন পাটোয়ারীকে হারিয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বক্তার হোসেন ওরফে বখতিয়ার। নৌকায় সেখানে ভোট পড়েছে ১৬ হাজার ২২৮টি। আর ধানের শীষে তিন হাজার ৭৫৩টি।

একই জেলার চৌদ্দগ্রামে ১৫ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হারুন অর রশীদ পেয়েছেন এক হাজার ৮৮০ ভোট।

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে জয় পেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ। মোবাইল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪১৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আকতার হোসেন ফয়সাল পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৮ ভোট।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের কে এম ওবায়দুল্লাহ বিল্পব জিতেছেন ১৬ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুর রহিম পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫৫ ভোট।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে টানা দ্বিতীয় জয় পেলেন আওয়ামী লীগের আসম মাহবুব উল আলম লিপন। ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৫৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল মান্নান খান বাচ্চু পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৪৯ ভোট।

ফেনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম স্বপন জিতেছেন ৬৯ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলাল উদ্দিন আলাল পেয়েছেন এক হাজার ৯৪৯ ভোট।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের পাটোয়ারী জিতেছেন ১৬ হাজার ৬০১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু পেয়েছেন দুই হাজার ১০১ ভোট।

এ বিভাগের আরো খবর