চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের প্রশংসা করে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন চতুর্থ।
সেখানে জয় পাননি আওয়ামী লীগের প্রার্থীও। জিতেছেন ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে লড়া এক নেতা।
বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়া এক নেতা হয়েছে তৃতীয়। দলের আরও একজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন পঞ্চম।
জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমান খান। তার চামচ প্রতীকে ভোট পড়েছে সাত হাজার ৬২৭টি। নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস পেয়েছেন সাত হাজার ৬২ ভোট। ভোটের ব্যবধান ৫৬৫।
বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়া আশরাফুল হক তিন হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে হয়েছেন তৃতীয়।
বিএনপির তারিক আহমদের ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পড়েছে দুই হাজার ৮৮০ ভোট।
বিএনপির আরেক বিদ্রোহী মফিজ উদ্দিনের নারকেল গাছ প্রতীকে ভোট পড়েছে এক হাজার ৭৬টি।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে আরও দুই জন প্রার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে মোবাইল ফোন প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোগী নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী ভোট পেয়েছেন ৮৩টি। আর বাংলাদেশ কংগ্রেসের জোহনা খাতুনের ডাব প্রতীকে ভোট পড়েছে ৫০টি।
তৃতীয় ধাপে যে ৬২টি পৌরসভায় ভোট হয়েছে, তার বেশ কয়েকটিতে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে, যার একটি ছিল এই রহনপুর।
সকালে ভোটের পরিস্থিতি দেখে প্রার্থীরা সবাই সেখানে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দিনভর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায়। মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে রায় দেন।
এই পৌরসভায় ভোটার ছিলেন ২৭ হাজার ৯৭ জন। এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২২ হাজার ৩৩৯ জন। ভোটের হার ৮২.৪৪ শতাংশ।
গোমস্তাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপির প্রার্থী তারিক আহমদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনটি কেন্দ্র ঘুরেছি। ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। আমার ভালোই লেগেছে।’
সরকারি দল থেকে কোনো ধরনের সমস্যা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো কিছু নেই।’
একই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মতিউর রহমান বলেন, ‘নয়টি সেন্টার ঘুরেছি। পরিবেশ ভালো আছে। ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস দুপুরের আগে বলেন ‘ভোট ভালো হচ্ছে। জনগণ যে রায় দিবে, তা মেনে নিব।’