চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার বাসিন্দা জামিনা খাতুন ও মোমেদা বেগম। বয়স ৮০ এর বেশি।
লাঠিতে ভর করে ভোট দিতে এসেছিলেন হাজি আইয়ুব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
দুই বোন বলেছেন, ভোট দেয়া তাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ছেলের বউদের।
মোমেদা বেগম বলেন, ‘কোনো ভোটই হ্যামি বাদ দেয়নি, ভোট দিতে হ্যামাকে ভালো লাগে।’
মোমেদার পুত্রবধূ সাবিনা খাতুন জানান, সকালেই তাকে তাগাদা দিয়েছেন কেন্দ্রে আসার জন্য। তিনি বলেন, ‘মা বলে, চলগে মা, ভোটটা সকাল সকাল দিয়ে আসি, দিয়ে বাড়ির কাজ করবি।’
জামিনা খাতুনের সঙ্গে আসা পুত্রবধূ মোহসিনা খাতুন জানান, ভ্যানে করে তারা এসেছেন কেন্দ্রে। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি, ভোট ভালোই হচ্ছে।
এবার প্রথম বারের মতো ভোট দিয়েছেন খাতিজাতুল কোবরা, যিনি নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়েন।
এবারই প্রথম ভোট বলে উত্তেজনা ছিল বেশি। সকাল নয়টায় চলে আসেন কেন্দ্রে। প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর তিনি ভোট দিয়েছেন।
ভোট দেয়ার অনুভূতি জানিয়ে খাতিজা বলছিলেন, ‘ফাস্ট টাইম ভোট দিচ্ছি, আমার আলাদা একটা অনুভূতি। অন্যরকম একটা আনন্দ, নিজেকে সত্যিকারের নাগরিক মনে হচ্ছে। একটা ভালো কাজ করলাম মনে হলো।’
এই পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন সাত জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস, বিএনপির তারিক আহমদ, আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী মতিউর রহমান খান ও নূরে আলম সিদ্দিকী, বিএনপির দুই বিদ্রোহী মফিজ উদ্দিন ও আশরাফুল হক এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জোহনা খাতুন।
রহনপুরে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৯৭ জন।