৮০ বছর বয়সী আছিয়া বেগম। বৃদ্ধ স্বামী নঈম বেপারীর সঙ্গে বসবাস করেন সরিষাবাড়ি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মূলবাড়ি গ্রামে। সেখানে রয়েছে তার সন্তান ও নাতি নাতনি।
বয়সের ভারে ঠিক মতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। বাড়ি থেকে হেঁটে কেন্দ্র পর্যন্ত আসতে বিশ্রাম নিয়েছেন তিন বার। দীর্ঘ লাইনে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। শেষে একটু বিশ্রাম নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
এত কষ্ট করে ভোট দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আছিয়া বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাফু গো, আর কয় দিন বাচমু। সামনের বার বুট দিবের পাই কিনে জানি না তো। কফালে মনো হয়তাছে সামনের বার বুট দিবের পামু না। বেশি দিন আর বাঁচমু না। তাই এইবার কষ্ট কইরে এই জনমের শেষ বুটটা দিলাম।’
‘বাবা বুটটা দিয়ে খুব শান্তি লাগতাছে। যত কষ্টই হইক বুট তো দিছি’-আছিয়াদের কাছে নিজের মত প্রকাশ এক আনন্দের বিষয়।
সরিষাবাড়ি পৌরসভা নির্বাচনে অনেক বয়স্ক, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের ভোট দিতে দেখা যায়।
পৌরসভার ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ। এমন অংশগ্রহণ নির্বাচনকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে বলে বলছেন ভোটাররা।
পৌরসভার মোট ভোটার ৪২ হাজার ৮৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২১ হাজার ৩৯ জন এবং নারী ২১ হাজার ৮৩০ জন।
৯টি ওয়ার্ডের ১৮টি ভোটকেন্দ্রের ১১৭টি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে।
তিন জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মনির উদ্দিন, বিএনপির এ কে এম ফয়জুল কবীর তালুকদার শাহীন ও বিএনপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ফজলুল হক খান (নারিকেল গাছ)।
এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৩ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।