স্টলে বসে চায়ে চুমুক দিচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তার সঙ্গে চা খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছেন কাউন্সিলর পদে দাঁড়ানো বাকি দুই প্রার্থী।
চাঁদপুরের নয় নম্বর ওয়ার্ডের হাজীগঞ্জ প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের পাশে চায়ের দোকানে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ দৃশ্য দেখা গেছে। ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে নেই দৃশ্যত কোনো বিরোধ।
উট পাখি প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি গত বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক আমি তা মেনে নেব। এতদিন মানুষকে সেবা দিয়েছি। তাদের রায়ের প্রতি আমি আস্থা রাখি।
‘তারা যদি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কাউকে মূল্যায়ন করে তাহলে আমি তাকেই ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব।’
টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ভোটে দাঁড়ানো জামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি ভোটের মাঠে। কিন্তু বাইরে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই। এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। জয়-পরাজয় যাই হোক মেনে নেব।’
তাদের আড্ডার আরেক সঙ্গী পাঞ্জাবি প্রতীকের মোস্তফা কামাল।
এই ওয়ার্ডের বাকি তিন প্রার্থী হলেন ডালিম প্রতীকের আইয়ুব আলী, পানির বোতল প্রতীকের সালেহ আহমেদ রানা এবং ব্রিজ প্রতীক নিয়ে দাঁড়ানো সাহাদাত হোসেন বাবুল।
তাদেরও নেই কোনো অভিযোগ। ফলাফল যাই হোক তারা মেনে নেবেন।
এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ হাজার ৪৪২ জন। প্রার্থীদের এমন মনোভাবে খুশি ভোটাররাও।
তৃতীয় ধাপে দেশের ৬২ পৌরসভায় ভোট হচ্ছে। এরই মধ্যে নানা অভিযোগে পাঁচ পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।