আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে এজেন্টদের মারধর, জোরপূর্বক সিল মারার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার বিএনপি মেয়র প্রার্থী।
ভোট কেন্দ্রগুলোর খবর নেয়ার পর বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি প্রার্থী মো. তোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, ‘কেন্দ্রগুলো থেকে আমার এজেন্টদের মারধর বের করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের লোকজন আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। ন্যাক্কারজনক আচরণ করেছে।
‘এই প্রহসনের নির্বাচনের কোনো দরকার ছিল না। মাঠ খুব স্বচ্ছ হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার একটি পাতানো নির্বাচন করছে। আমি এই নির্বাচনের তীব্র নিন্দা জানাই।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শওকত উসমানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সালমা আনিকা।
তিনি বলছেন, ১৪টি কেন্দ্রের সবকটিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা এজেন্টদের মারপিট করে বের করে দিয়েছে; জোরপূর্বক সিল মারছে।
নির্বাচন বাতিল করে পুনঃর্নিবাচনের দাবি জানিয়ে উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন আনিকা।
কটিয়াদী উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসে আমাকে ফোনে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে আমি বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে থাকায় অভিযোগ এখনও দেখা হয়নি।’
এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলমও। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার নিকট কেউ অভিযোগও করেনি।’
তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ভোট হচ্ছে ৬২টি পৌরসভায়।
ভোট হচ্ছে না ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভায়। ত্রিশালে এক মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। আর কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভায় মেয়র, সাধারন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে সেখানে ভোট নেয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।
এর আগে প্রথম দফায় ২৪টি পৌর নির্বাচনে ভোট পড়ে ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৬২ শতাংশ।
দুই দফায় ভোট হয়েছে মোট ৮৪ পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকাতেই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও কিছু এলাকায় ভোট নিয়ে অভিযোগও ছিল।