ভোট নিয়ে অনিয়ম ঠেকাতে দ্বিতীয় ধাপের মতো তৃতীয় ধাপেও পৌরসভা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌঁছানো হয়েছে ভোটের সকালে।
তৃতীয় ধাপে ৬২টি পৌরসভায় শনিবার সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে; শেষ হবে বিকেল চারটায়।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সবকেন্দ্রে পাঠানো হয় ব্যালট পেপার।
গত ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ভোট হয় ৬০ পৌরসভায়। ওই দিন যেসব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছিল সেগুলোতেও সকালে পাঠানো হয় হয়েছিল ব্যালট পেপার। এর আগে এমন নজির দেশের নির্বাচনি ইতিহাসে খুব একটা দেখা যায়নি।
শনিবার খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার কেন্দ্রগুলোতে সকাল সাতটার আগেই কড়া নিরাপত্তায় পৌঁছায় ব্যালট পেপার।
সেখানে সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হলেও নয়টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। এই পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সেলিম জাহাঙ্গীর ও সিপিবর প্রশান্ত মন্ডল।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার দ্বিতীয় ধাপে স্থগিত একটি কেন্দ্রে হচ্ছে ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সকাল ছয়টায় কড়া নিরাপত্তায় ব্যালট পেপার পিকআপ ভ্যানে করে কেন্দ্রে নেয়া হয়।
গত ১৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টির ফলাফল ঘোষণা হয়। গোলযোগের কারণে শহরের ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজের ২০ নম্বর কেন্দ্রটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। ওই কেন্দ্রেই এখন হচ্ছে ভোট।
নওগাঁর সদর ও ধামুইরহাট পৌরসভাতেও সকালে কেন্দ্রে গেছে ব্যালট পেপার। এর আগে শুক্রবার বিকেলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট বাক্সসহ ভোটের অন্যান্য সরঞ্জাম পৌঁছে দেন নির্বাচনি কর্মকর্তারা।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সকাল ছয়টার পর কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে ব্যালট পেপার। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব জানান, ব্যালট পেপার ছাড়া অন্যান্য সব সরঞ্জাম শুক্রবারই প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রথম দফায় পৌর নির্বাচনে ভোট পড়ে ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৬২ শতাংশ। দুই দফায় ভোট হয়েছে মোট ৮৪ পৌরসভায়। এর মধ্যে বেশির ভাগ এলাকাতেই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও কিছু এলাকায় ভোট নিয়ে অভিযোগও উঠে।
তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায় ভোটের জন্য তফসিল হলেও ভোট হচ্ছে না ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও কুমিল্লার লাকশাম পৌরসভায়।
ত্রিশালে এক মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। আর কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভায় মেয়র, সারাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে সেখানে ভোট নেয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।