ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে ৩০ জানুয়ারি ভোট হবে। নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন পাঁচ জন। এদের মধ্যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থীরাই রয়েছেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। বাকি তিন প্রার্থীরা নামমাত্র।
ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, বিএনপির প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল, জাতীয় পার্টির ইয়ামিন হাসান ইমন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের তারিকুল ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলনের গোলমুর রহমান আজম।
বড় দুই দলের প্রার্থী নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা। ভোটাররা বলছেন লড়াই হবে দুই সেয়ানে।
ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী এবং সকলের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আস্থাভাজন হওয়ায় তার অবস্থান তুঙ্গে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিশাল একটি অংশ তার সমর্থক। এর আগে একাধিকবার পৌর কাউন্সিলর হলেও এই প্রথম মেয়র পদে লড়ছেন তিনি।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল মাঠে রয়েছেন সমান তালে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি এখন চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। যার কারণে সবাই মরিয়া হয়ে কাজ করছে আলালের জন্য। এই মুহূর্তে দলে কোনো কোন্দল নেই। দল ও স্থানীয়দের মাঝে ব্যক্তি ইমেজ ভালো হওয়ায় তার জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন আলাল।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও শেষ পর্যন্ত থাকবে কি-না তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। শেষ পর্যায়ে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করে তিনি বলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হলে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে তিনি জয় লাভ করবেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিয়াজী বলেন, ‘বিএনপি পার্থী প্রতিদিন তাদের শত শত নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচার ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। শহরের প্রাণ কেন্দ্র ট্রাংক রোড়, এসএসকে রোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রচুর পোস্টার দেখা যাচ্ছে। তাদের মাইকিংও শোনা যাচ্ছে-এর চেয়ে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আর কি হতে পারে?’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, ৩০ জানুয়ারি ফেনী পৌর নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট হবে। ১৮টি সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ছয়টি মহিলা কাউন্সিলর পদের মধ্যে নয়টিতে ভোট হবে।
পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত পাঁচটি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী থাকায় মোট ১৫ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তারা।
এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৯১ হাজার ৬৬২ জন। এদের মধ্যে ৪৭ হাজার ৩০৭ জন পুরুষ এবং ৪৪ হাজার ৩৫৫ জন নারী।
নির্বাচন কমিশন বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে ফেনী পৌরসভায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কিছু বিচ্ছিন্ন অভিযোগ এলেও বড় ধরনের কোনো অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি।’