বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জমজমাট কলারোয়া পৌরসভার নির্বাচনি পরিবেশ

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:০৩

পরপর দুই বারের নির্বাচিত মেয়র গাজী মো. আক্তারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলা মামলার আসামি হওয়ার কারণে বুধবার থেকে রয়েছেন কারাগারে। তার প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে।

আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচন নিয়ে সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে একই প্রশ্ন- কে হচ্ছেন এবার পৌর মেয়র।

দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচার, চলছে মাইকিং। পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা পৌর এলাকা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় বন্ধ হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা পৌর এলাকা। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের প্রচারে মুখরিত নয়টি ওয়ার্ড। প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের গণসংযোগ রয়েছে চোখে পড়ার মতো। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করার পাশাপাশি বের করা হচ্ছে মিছিলও।

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুল, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজেদুর রহমান খান মজনু, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা।

নৌকার প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুল গত দুই মেয়াদে বেশির ভাগ সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এতে একদিকে তার অভিজ্ঞতা বেড়েছে, অন্যদিকে বেড়েছে জনপ্রিয়তা। সেই কারণে এবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি ও তার সমর্থকরা আশাবাদী।

বিএনপি প্রার্থী শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন বিএনপির দলীয় টিকিট পেয়ে পৌরসভার অলিগলিতে করছেন গণসংযোগ। জয়ের বিষয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজেদুর রহমান খান মজনু তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ও বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

পরপর দুই বারের নির্বাচিত মেয়র গাজী মো. আক্তারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলা মামলার আসামি হওয়ার কারণে বুধবার থেকে রয়েছেন কারাগারে। তার প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনি মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন।

নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘আমার স্বামী দুই বারের নির্বাচিত মেয়র। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। সেই কারণে বিভিন্ন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। আমি জয়ী হয়ে সেসব অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করব।’

পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চার জন, নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও তিনটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী লড়ছেন। ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ২৮০জন।

১৯৯০ সালে কলারোয়া পৌরসভা হওয়ার পর প্রথম ২০১১ সালে প্রথম ও ২০১৫ সালে দ্বিতীয় বারের মতো পৌরসভা নির্বাচন হয়। পরপর দুই নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হলেও পরে বরখাস্ত হন গাজী আক্তারুল ইসলাম। সেই দুই বারেই পৌরসভার ২ নম্বর তুলসীডাঙা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন মনিরুজ্জামান বুলবুল। ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে সিংহভাগ সময় দায়িত্ব পালন করেন বুলবুল।

এ বিভাগের আরো খবর