বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রচারে জমাট নকলা

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:১৩

নির্বাচনে নৌকা বা ধানের শীষ প্রার্থীর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সবাই। স্বাভাবিক কারণেই নকলা পৌরসভায় এবার কে হবেন নতুন মেয়র এ নিয়ে চলছে নানান কল্পনা-জল্পনা।

শেষ মুহুর্তে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন শেরপুর জেলার নকলা পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রচারে রয়েছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।

ভোটারদের পক্ষে টানতে চেষ্টার কমতি নেই কারোর। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে আটঘাট বেঁধে প্রচারে নেমেছেন হাফিজুর রহমান লিটন। পিছিয়ে নেই বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ধানের শীষ প্রতীকের এনামুল হক রিপন।

মেয়র পদে নৌকা বা ধানের শীষ প্রার্থীর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান ও জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আনার।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সবাই। কে হচ্ছেন নকলার নগর পিতা, এ নিয়ে চলছে নানান কল্পনা-জল্পনা। চলছে এলাকাভিত্তিক ভোটের হিসাব নিকাশ।

প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের কাছে দোয়া ও ভোট চাচ্ছেন, দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি।

প্রচারে সরব নকলার প্রার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা

নকলা উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে মেয়র পদে চার জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৫ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন নির্বাচন করেবেন। তবে বাছাইয়ের সময় যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় মুক্তার হোসেন নামে এক মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

পৌরসভা নির্বাচন অবাদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে নির্বাচনী কাজ পুরোদমে শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আজিজ।নকলা পৌরসভার কে হতে পারেন মেয়র? এমন প্রশ্নে ভোটার আলমগীর হোসেন জানান, যে প্রার্থী নকলা পৌর এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন বলে মনে হবে তাকেই ভোট দিয়ে জয়ী করা হবে।মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া হাফিজুর রহমান লিটন বলেন, ‘আমি চলতি মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী সার্বিক নির্দেশনায় উন্নয়নমূলক কাজের শুরুতেই নকলা পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নিত করতে সক্ষম হয়েছি।

‘তা ছাড়া আমার আমলে পৌর এলাকার যে উন্নয়ন হয়েছে, তা নকলা পৌরসভা গঠন হওয়ার পর থেকে আমার পূর্ব পর্যন্ত তা কোনো মেয়রের পক্ষেই করা সম্ভব হয়নি।

‘আমার আমলে সারা পৌর এলাকায় সড়ক বাতির ব্যবস্থা করাসহ অপরাধ ঠেকাতে শহরে সড়কে সৌর বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়া রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার, পরিবেশ রক্ষায় পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যাত্রী ছাউনি, পৌরবাসীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন সংযোগ, খেলার মাঠসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করা হয়েছে।’

বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া এনামুল হক রিপন জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগের এক জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এতে স্বাভাবিক কারণেই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ভাগাভাগি হবে। কিন্তু নকলায় বিএনপিতে কোন বিবেধ-দ্বিমত না থাকায় আমি একক প্রার্থী হিসেবে এ পৌর সভার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।

‘বর্তমানে ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোট ভেবে চিন্তেই দিবেন বলে মনে করছি। কোন ভোটার তাদের ভোট নষ্ট করতে আগ্রহী নয়। সবাই চাইবেন তারা যাকে ভোট দিবেন সেই প্রার্থী যেন নির্বাচিত হন।’

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি নকলা পৌরবাসীকে মেয়র হিসেবে দীর্ঘদিন সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তখন ইচ্ছা করলে আমি শত কোটি টাকার মালিক হতে পারতাম। আজ আমাকে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে এ নির্বাচনে অংশ নিতে হতো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভেবেছিলাম জনগনের স্বার্থে নৌকা প্রতীক নিয়ে আমি পৌরসভার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাব। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। কিন্তু জনগণের চাওয়া পূরণে তথা সাধারণ ভোটারদের চাপের মুখে আমাকে এ নির্বাচনে আসতে হয়েছে।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আনার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনিত ও বিদ্রোহী মিলে দুই জন প্রার্থী নির্বাচনে রয়েছেন। অন্যদিকে নকলাতে বিএনপির দলীয় কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়, ফলে বিএনপির ভোটারদের মধ্যেও নির্বাচনি কোনো আমেজ নেই। এসব বিবেচনায় ভোটাররা আওয়ামী লীগ সরকারের আমল বিবেচনা করে দলীয় বিভেদকে দূরে ঠেলে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যোগ্য মনে করে জগ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’

৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় দেশের পৌরসভা নির্বাচনে নকলা পৌরসভায় মোট ভোটার ২৭ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার আট জন ও নারী ভোটার ১৪ হাজার ১৫২ জন।

৯টি ওয়ার্ডের ভোটারদের সুবিধার্থে ১২টি কেন্দ্রের ৮১টি ভোটকক্ষে হবে ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট।

এ বিভাগের আরো খবর