বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেশরহাটে আ. লীগ, বিএনপি ও ‘জামায়াত’ এর লড়াই

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৩২

ভোটযুদ্ধে কাগজে-কলমে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রুস্তম আলী প্রামাণিক। তবে তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। জামায়াতের সমর্থন নিয়ে জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন হাফিজুর রহমান আকন্দ। এতে বিএনপির ভোট কমে যাওয়ার আশায় খানিকটা ফুরফুরে মেজাজে আছেন নৌকার প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অর্থাৎ আর এক দিন পরই শেষ হচ্ছে তৃতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়। তাই শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভায় টানা দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র হতে চান আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো.শহিদুজ্জামান। আর নতুন মুখ বিএনপি প্রার্থী খুশবর রহমান চমক দেখানোর আশায় মাঠে রয়েছেন।ভোটযুদ্ধে কাগজে-কলমে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রুস্তম আলী প্রামাণিক। তবে তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। জামায়াতের সমর্থন নিয়ে জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন হাফিজুর রহমান আকন্দ। এতে বিএনপির ভোট কমে যাওয়ার আশায় খানিকটা ফুরফুরে মেজাজে আছেন নৌকার প্রার্থী।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলেও আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলী নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গণসংযোগ ও প্রচারে তিনি নৌকার পক্ষে কাজও করছেন। তার অবস্থান বদলের কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী।

গেল কয়েকদিন ধরে তিন মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারে মুখর কেশরহাট। পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ধানের শীষের প্রার্থী খুশবর রহমান বলেন, ‘পৌরসভার সবাইকে নিয়ে ভোট দিতে চাই। জনগণ ভোট দিতে পারলে ভোট হবে।

‘নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ অসংখ্য। অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। পোস্টার ছেঁড়া পাচ্ছি, কিন্তু কারা ছিঁড়ছে সেটি পাচ্ছি না। জনগণকে হুমকি দেয়া হচ্ছে, নৌকা প্রতীক ছাড়া ভোট দেয়া হবে না বলে হুমকি আসছে।’

তিনি বলেন, ‘গতবার বিএনপি জামায়াত এক সঙ্গে ভোট করেছিল। এবার তারা আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। তবে আমি শুধু বিএনপির না, সবাইকে নিয়েই স্বপ্ন দেখছি।

জামায়াতের প্রার্থী হাফিজুর রহমান বলেন,‘ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। আমি আশাবাদী আগের ভুলগুলোকে কাজে লাগিয়ে এবার নির্বাচিত হব। বিএনপি প্রার্থীর বিষয়ে আমার কোনো অভিযোগ নাই।’

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রচার চালাচ্ছি। ভোটের মাঠও ভালো। এর আগে আমি দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। এবার নিয়ে চার বারের মেয়র প্রার্থী। অতীতেও আমি মেয়র হয়ে মানুষের সেবা করেছি। দলীয়ভাবে না, সবার জন্যই আমি মেয়র। সবার সঙ্গে আমি থাকি। তাই এবার আমাকেই সবাই নির্বাচিত করবে।’

অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেদেরকেই তারা হুমকি দিচ্ছে। আমি তাদের শান্ত থাকতে বলেছি। এসবের বিচার আমি জনগণকে দিচ্ছি। তারা এগুলো ব্যালটের মাধ্যমে বিচার করবে। আমি জয়ী হবো।’

রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। ভোটের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।

দ্বিতীয় শ্রেণির এই পৌরসভার যাত্রা ২০০২ সালের ২২ ডিসেম্বর। ৩০ জানুয়ারি এখানে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। পৌরসভায় ভোটার ১৫ হাজার ৭৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ সাত হাজার ৬৮১ ও নারী ৮ হাজার ৯৫ জন।

এ বিভাগের আরো খবর